সময়ের সাথে সাথে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ঘিরে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে শুরু করেছে। সম্প্রতি সাংবাদিক পিয়েরস মরগ্যানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের বর্তমান ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং কোচ এরিক টেন হাগকে নিয়ে রীতিমত বোমা ফাঁটিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
সেই সাক্ষাৎকারের বিষয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোন কিছু না জানালেও ভেতরের খবর অনুযায়ী রোনালদোর ওপর বেশ অখুশি দলের ম্যানেজমেন্ট। সেই সাথে শোনা যাচ্ছে রোনালদোর বিপক্ষে মামলাও করতে পারে ক্লাবটি।
ইএসপিএনকে ইউনাইটেডের এক ঘনিষ্ট সূত্র থেকে দেয়া খবরানুযায়ী, ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে রোনালদোকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে ইচ্ছুক না ক্লাব। তবে যদি রোনালদো জোরপূর্বক ক্লাব ছাড়তে চায়, তখন ক্লাব কর্তৃপক্ষ চাইলেও মামলা করতে পারে।
সম্প্রতি ক্লাবের পক্ষ থেকে রোনালদোর ক্লাব এবং কোচের বিরুদ্ধে দেয়া সাক্ষাৎকারের জবাবে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এগোচ্ছে।’
সূত্রটি ইএসপিএনকে আরও জানিয়েছে যে, ক্লাব কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই রোনালদোর সাথে চলমান চুক্তি বাতিল করতে চলেছে। যেটা ২০২৩ সালে জুন অবধি রয়েছে। তারা কাতার বিশ্বকাপের পর ৩৭ বছর বয়সী এই পর্তুগীজ তারকাকে আর দলে রাখতে চাইছে না। সাথে সাথে আরও জানা গিয়েছে যে, তারা এই সমস্যা দ্রুতই সমাধান করতে চাইছে যা উদ্দেশ্যে গত সোমবার থেকে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ আইনী ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে।
উৎস থেকে আরও জানা গিয়েছে যে, ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ কোনো দীর্ঘমেয়াদী আইনী জটিলতা চাই না,যদিও এটা নির্ভর করছে রোনালদো কি বলে তার ওপর। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বর্তমানে তাঁর জাতীয় দল পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে কাতারে অবস্থান করছেন। বিশ্বকাপে পর্তুগাল বৃহস্পতিবার ঘানার বিপক্ষে তাদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে।
উৎস থেকে আরও জানা যায়, ইউনাইটেড কতৃপক্ষ বিশ্বকাপের পর ২১ ডিসেম্বর তাদের ফুটবল মৌসুম পুনরায় চালু হবার পূর্বেই এই জটিলতা থেকে নিরসন চাই।২১ ডিসেম্বর কারাবাও কাপে বার্নলির বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে মুখোমুখি হবে ইউনাইটেড। অপরদিকে বিরতির পর ইউনাইটেডের প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচ ২৭ ডিসেম্বর নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে।
ইএসপিএন আরও জানতে পারে, বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়েই ইউনাইটেড কতৃপক্ষ রোনালদোকে জানিয়ে দেবে, বিশ্বকাপের পরে তাকে আর ইউনাইটেডের ট্রেনিং গ্রাউন্ড ক্যারিংটনে তাঁকে আর চাই না তারা।এমনকি যদি পর্তুগাল বিশ্বকাপ থেকে আগেও বাদ পড়ে যায়।