টানা চার রান আউটের নাটক!

বৃষ্টি, বৃষ্টি আর বৃষ্টি – ডানেডিনে ব্যাট বলের লড়াই জমে ওঠার আগেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছিল আকাশের মেঘপুঞ্জ। অবশ্য কেবল তিনবার নয়, বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে বৃষ্টি হয়েছে চারবার। শেষবার অবশ্য ওপর থেকে বর্ষণ হয়নি, বাইশগজে চার ছক্কার বৃষ্টি হয়েছে। আর তাতে ভেসে গিয়েছে বাংলাদেশের সব প্রতিরোধ।

হতশ্রী – শেষ দশ ওভারে সফরকারীরা যেমন বোলিং করেছে সেটা বর্ণনা দেয়ার জন্য এই একটা শব্দই বোধহয় যথেষ্ট। ডেথ ওভারে বোলারদের স্রেফ তুলোধুনো করেছেন কিউই ব্যাটাররা, বিশেষ করে টম লাথাম আর উইল ইয়ং তান্ডব চালিয়েছেন বাইশ গজে। ২১ ওভার থেকে ৩০ ওভার এই সময়ে তাঁরা ১২৮ রান তুলেছে।

স্বাগতিক ব্যাটাররা যতটা ভাল ব্যাট করেছেন এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাজে বোলিং করেছে টাইগাররা। শেষদিকে টানা বোলিং করা সৌম্য সরকার মোটেই পরীক্ষা নিতে পারেননি ব্যাটারদের, উল্টো তাঁকে পাড়ার বোলার বনে যেতে হয়েছে। নিজের প্রথম দুই ওভারে নয় রান দেয়া সৌম্য পরের তিন ওভারে দিয়েছেন ৫৪!

অন্যদিকে মেহেদি হাসান মিরাজ প্রথম দুই ওভারেই দিয়েছিলেন ২০ রান, পরের তিন ওভারেও দু’হাত মেলে রান দিয়েছেন। এক ওভারের জন্য আক্রমণে আসা আফিফ হোসেনও বাদ যাননি ব্ল্যাকক্যাপস ঝড়ের হাত থেকে, তিনি দিয়েছেন ১৭ রান।

ক্ষতে প্রলেপ দিতেই বোধহয় ইনিংসের শেষ ওভারে আবার ঘটেছে রান আউটের নাটক। এক, দুইটা নয়, পাঁচ বলের ব্যবধানে তিনটি রান আউট দেখেছে দর্শকরা। আট বলে চারটা। দ্বিতীয় বলে উইল ইয়ংকে দিয়ে শুরু, এক বল পরে প্রায় একই ভাবে আউট হন টম ব্লান্ডেল। আর শেষ বলে বাড়তি এক রান নিতে গিয়ে কাটা পড়েন অভিষিক্ত জস ক্লার্কসন।

আবার এর আগের ওভারের পঞ্চম বলেও হয়েছে আরেকটা রান আউট। ৩০ গজ বৃত্তের ভিতরে রান নিতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন মার্ক চ্যাপম্যান।

সমাপ্তি রেখার কাছে এসে এমন হুড়োহুড়ি কিউইদের রান তোলার ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব ফেলতে না পারলেও ডার্ক ওয়াথ লুইস পদ্ধতির নিয়মানুযায়ী কিছুটা সুবিধা হয়েছে বাংলাদেশের। এমন ধ্বসের কারণেই কেবল পাঁচ রান যোগ হয়েছে কিউইদের ইনিংস, তা নাহলে রান পাহাড় আরো অনেকটা উঁচু হয়ে যেতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link