একের পর এক উইকেট হারিয়ে দল যখন দিশেহারা অবস্থায়, তখনই দলের হাল ধরলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার শেরফান রাদারফোর্ড। বুঝে-শুনে ব্যাট চালিয়ে দলকে নিয়ে যান নিরাপদ অবস্থানে।
এই পিচে রান করতে বেশ বেগ পেতে হবে তা জানান দিয়েছিল আগের দিনের বৃষ্টি। তাইতো টসে জিতে রোভম্যান পাওয়েলদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। কিউইরা প্রথম দিকে সুযোগের সঠিক ব্যবহার করতে পারলেও। ইনিংসের শেষের দিকে তা আর হতে দেননি উইন্ডিজ ব্যাটার রাদারফোর্ড।
পাওয়ার প্লেতে দলের রান যখন ২৩, তখন উইকেট গিয়েছে ৪ টি। আর ৩০ রানের মাথায় নেই ৫ জন টপ অর্ডারের ব্যাটার। এই ম্যাচে কিউই বোলাররা যেন চেপে ধরেছিলেন উইন্ডিজ ব্যাটারদের। শেরফান রাদারফোর্ড, ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটারের কল্যাণে সম্মান রক্ষা হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
ক্যারিবিয়ানদের ত্রাতা হিসেবে আগমন ঘটে রাদারফোর্ডের। ৬ নাম্বার ব্যাটার হিসেবে ২২ গজে পা রাখেন রাদারফোর্ড। তবে ততক্ষণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২২ রান। অপর প্রান্তে আকিল হোসেন, আন্দ্রে রাসেলদের আসা যাওয়া চললেও, রাদারফোর্ড ব্যাট চালান সুযোগ বুঝে। ক্রিজের এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার।
ইনিংসের শেষের দিকে অভাবনীয় ভাবে হাত খুলে ব্যাট চালাতে থাকেন তিনি। তাঁর এই ইনিংস খেলতে তিনি খরচ করেন ৩৯ বল। তবে সেখানে ২ টি চার এবং ৬ টি গুরুত্বপূর্ণ ছক্কার মার। আর স্ট্রাইক রেটটা ছিল ১৭৪ এর কোঠায়, ৩৩ বলে পেয়ে যান অর্ধ-শতকের দেখা।
খাঁদের কিনারা থেকে তুলে আনেন দলকে। শেষ পর্যন্ত ৬৮ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন এই ক্যারিবিয়ান। ততক্ষণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঝুলিতে ১৪৯ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ দাঁড়িয়ে গিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজনের দিনে কথা বললো রাদারফোর্ডের ব্যাট। তিনি যেন আবির্ভূত হলে দ্য সেভিয়র রূপে। এই ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের জয় নিশ্চিত হলে,তাঁরা পেয়ে যাবে পরবর্তী রাউন্ডের টিকিট। আর কিউইদের দেখতে হবে বাড়ি ফেরার পথ।