Social Media

Light
Dark

শততম টেস্ট ক্লাবের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য

শততম টেস্টের স্বীকৃতি স্বরূপ শচীনকে দেয়া হয়েছিল একটি স্মারক এবং এনপাওয়ার স্ট্যাম্প; যদিও তাঁর অর্জন আর ইম্প্যাক্ট এমন স্বীকৃতিতে আটকে নেই। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর সৌরভ, অবসরের এতগুলো বছর পরেও তিনি অতুলনীয়। হয়তো আজীবন এমনই থাকবেন।

ক্রিকেট ঈশ্বর – শচীন টেন্ডুলকারকে তো আর এমনি এমনি এত বড় উপাধি দেয়া হয়নি। ব্যাট বলের খেলাটার অজস্র রেকর্ড আছে তাঁর ঝুলিতে, অসংখ্যবার তিনি নিজের নাম লিখিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। ব্যতিক্রম হয়নি সাদা পোশাকেও, আভিজাত্যের ফরম্যাটেও তাঁকে দেখা গিয়েছে রেকর্ড বয় হিসেবেই।

এর মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে শততম টেস্ট খেলার কীর্তি বোধহয় সবচেয়ে ‘আন্ডাররেটেড’। যেখানে লাল বলে খেলা ক্রিকেটারদের স্বপ্ন, পুরো ক্যারিয়ারে একশো টেস্ট ম্যাচ খেলা যেখানে দূরতম কল্পনা সেখানে এই কিংবদন্তি মাত্র ২৯ বছর বয়সে অন্যরকম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।

১৯৮৯ সালে স্রেফ ১৬ বছর ২০৫ দিন বয়সে কুলীন ফরম্যাটে অভিষেক হয় তাঁর; সে ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান, খেলাটাও তাঁদের মাটিতে। তবু নিজের সামর্থ্যের প্রতিফলন দেখাতে ভুল করেননি তিনি। পরের সময়টাতে ইনজুরি আর বিশ্রাম ছাড়া তাঁকে বাদ দেয়ার কথা কখনোই ভাবেনি টিম ম্যানেজম্যান্ট।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০০২ সালে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে মাঠে নামেন শচীন। এরই সাথে সাথে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার গৌরব অর্জিত হয় তাঁর।

প্রথম ইনিংসে ৫৪ রান করেছিলেন এই তারকা, তবে রাহুল দ্রাবিড়ের ২১৭ রানে ভর করে ৫০৮ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ভারত। শেষমেশ সেই ম্যাচ ড্র হয়, সিরিজও ১-১ এ নিষ্পত্তি হয়। ১৯৮৬ সালের পর সেবারই প্রথম ইংলিশদের মাটিতে সিরিজ হার এড়াতে পেরেছিল টিম ইন্ডিয়া।

শততম টেস্টের স্বীকৃতি স্বরূপ শচীনকে দেয়া হয়েছিল একটি স্মারক এবং এনপাওয়ার স্ট্যাম্প; যদিও তাঁর অর্জন আর ইম্প্যাক্ট এমন স্বীকৃতিতে আটকে নেই। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর সৌরভ, অবসরের এতগুলো বছর পরেও তিনি অতুলনীয়। হয়তো আজীবন এমনই থাকবেন।

Share via
Copy link