সুদর্শনের গুজরাটি দর্শন

গুজরাট টাইটান্সের এবারের আইপিএল যাত্রার শুরুটা হয়েছিল একদম চ্যাম্পিয়নদের মতোই। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আসরের দ্বিতীয় ম্যাচেও এবার জয় তুলে নিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। দিল্লী ক্যাপিটালসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টানা দুই ম্যাচে জয়ের দেখা পেল গুজরাট টাইটান্স। 

গুজরাট টাইটান্সের এবারের আইপিএল যাত্রার শুরুটা হয়েছিল একদম চ্যাম্পিয়নদের মতোই। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আসরের দ্বিতীয় ম্যাচেও এবার জয় তুলে নিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। দিল্লী ক্যাপিটালসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টানা দুই ম্যাচে জয়ের দেখা পেল গুজরাট টাইটান্স।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে এ দিন শুরুটা ভালই করেছিল দিল্লীর দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আর পৃথ্বী শ। স্ট্রাইক রোটেট, স্ট্রোক মেকিং শট খেলে দুর্দান্ত কিছুরই আভাস দিচ্ছিলেন এ দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ২৯ রানে দিল্লীর ইনিংসে প্রথম আঘাত হানেন মোহাম্মদ শামি। গুজরাটের এ পেসারের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আলজারি জোসেপের তালুবন্দী হন পৃথ্বী শ।

এর পর থেকেই দিল্লী ক্যাপিটালসের ইনিংসে ছন্দ চ্যুতি ঘটে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় কেউই তেমন ইনিংস বড় করতে পারেননি। ওয়ার্নার ফেরেন ৩৭ রানে। চারে নামা সরফরাজ খানও তাঁর ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন। ৩৪ বলে ৩০ রানের মন্থর গতির এক ইনিংস খেলে রশিদ খানের বলে আউট হন তিনি।

দিল্লীর ইনিংসে যা একটু গতি এসেছে, তা অভিষিক্ত অভিষেক পোরেল আর অক্ষর প্যাটেলের সৌজন্যে। পোরেলের ২০ আর শেষ দিকে অক্ষর প্যাটেলের ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬২ রানের সংগ্রহ পায় দিল্লী ক্যাপিটালস।

১৬৩ রানের লক্ষ্যে ঝড়ো শুরুরই আভাস দিয়েছিলেন গুজরাটের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা আর শুভমান গিল। এ দুজনের ব্যাটিং তাণ্ডবে প্রথম দুই ওভারেই ২২ রানের উড়ন্ত সূচনা পায় গুজরাট। তবে তৃতীয় ওভারেই গুজরাটের ইনিংসে পাল্টা আঘাত হানেন দিল্লীর পেসার এনরিখ নর্কিয়া।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসা নর্কিয়ার প্রথম বলটা সামলাতে পরাস্ত হন ঋদ্ধিমান সাহা। বোল্ড হয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ১৪ রানে। এরপর অপর ওপেনার শুভমান গিলও একই পথ ধরেছেন। নর্কিয়ার বলে বোল্ড হয়ে তিনিও সাজঘরে ফেরেন ১৪ রানে।

নর্কিয়ার এমন বোলিং তাণ্ডবে দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরে আসে দিল্লী ক্যাপিটালস। নর্কিয়ার পর খলিল আহমেদও দারুণ এক ডেলিভারিতে ফেরান গুজরাটের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে। ম্যাচ জমে ওঠে তখনই। গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি উইকেট হারিয়ে গুজরাট তখন বেশ চাপের মুখে।

তবে দলের এমন দুঃসময়ে হাল ধরেন সাঁই সুদর্শন আর ইম্প্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে নামা বিজয় শঙ্কর। দুজনের অর্ধ-শতক পেরোনো ৫৩ রানের জুটিতে জয়ের পথে বেশ ভালভাবেই এগিয়ে যায় গুজরাট।

শঙ্কর ২৯ রানে ফিরে গেলেও ব্যক্তিগত অর্ধ-শতক তুলে নিতে ভুল করেননি সাঁই সুদর্শন। বাঁ-হাতি এ ব্যাটারের ৬২ আর শেষ দিকে ডেভিড মিলারের ঝড়ো ১৬ বলে ৩১ রানের ইনিংসে ১১ বল হাতে রেখে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় গুজরাট টাইটান্স।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...