কাউকে ভুল প্রমাণ করতে খেলেন না আজম খান

আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হারার পর পাকিস্তান দলের সমালোচনা চলছে চারদিকে। বাজে পারফর্ম করে কটুক্তি শুনতে হচ্ছে আজম খানকেও। এমনই সমালোচকরা টেনে আনছেন আজম খানের ফিটনেসও। পাকিস্তানের স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সমালোচকদের রীতিমতো ধুয়ে দিলেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।

এমনিতেই তাঁর শারীরিক গড়ন নিয়ে বিদ্রুপের শেষ নেই। সাথে যোগ হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি মইন খানের পুত্র হবার চাপ। তাই আজম খানের পারফরম্যান্স খারাপ হলে সমালোচকরা যেন ঘিরে ধরেন তাকে। সদ্য সমাপ্ত আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে আজম খানের পারফরম্যান্স ছিলো গড়পরতারও নিচে। পাকিস্তানও সেরা খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেবার ফল টের পেয়েছে আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হেরে।

আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হারার পর পাকিস্তান দলের সমালোচনা চলছে চারদিকে। বাজে পারফর্ম করে কটুক্তি শুনতে হচ্ছে আজম খানকেও। এমনই সমালোচকরা টেনে আনছেন আজম খানের ফিটনেসও। পাকিস্তানের স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সমালোচকদের রীতিমতো ধুয়ে দিলেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।

আজম খান বলেন, ‘আমি সবার মুখ বন্ধ রাখতে পারব না। খারাপ ধরণের সমালোচনা এলে সেটিকে এক পাশে সরিয়ে রাখতে হয়। কারণ, যারা এসব বলছে তারা সাধারণত জীবনে খুব বেশি কিছু করতে পারেনি।’

পাকিস্তানের জার্সিতে খুব ভালো ফর্মে না থাকলেও আত্মবিশ্বাসে একটুও চির ধরেনি। সমালোচনাকারীদের মন্তব্য খুব একটা গায়ে মাখতে চাননা কিছুদিন আগেই বিপিএল খেলে যাওয়া এই ব্যাটার। সমালোচনায় কান দেবার চেয়ে নিজের কাজেই বেশি মনযোগী হতে চান আজম।

তিনি আরো বলেন, ‘যারা আমার ব্যাটিংয়ের ধরণ নিয়ে সমালোচনা করেন তাদের আমার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দেখা উচিত। আমি তাদের মতামতকে সম্মান জানালেও তাদেরকে ভুল প্রমাণ করার জন্য ক্রিকেট খেলি না আমি। আমি ক্রিকেট খেলি আমার নিজের সন্তষ্টির জন্য। যতদিন আমি নিজে আমার খেলায় সন্তুষ্ট থাকব ততদিন আমি ক্রিকেট চালিয়ে যাব।’

এর আগেও পাকিস্তানের সাবেক পেসার আকিব জাভেদও পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়দের ফিটনেসের মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এছাড়াও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের স্কোয়াড নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তিনি।আকিব বলেন, ‘আমি জানি না এটি কি ধরণের এক্সপেরিমেন্ট ছিল। আমি নিশ্চিত পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য যে ধরণের স্কিল ও ফিটনেসের মানদণ্ড ঠিক করে দেয়া দরকার তেমন কিছুই এই সিরিজের স্কোয়াড নির্বাচনের সময় বিবেচনা করা হয়নি।’

আকিব রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেন দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ও ফিটনেস নিয়ে, ‘আমি যদি এই স্কোয়াডের খেলোয়াড় হতাম তাহলে এই দলের হয়ে আমি খেলতাম না। সবাইকে অন্তত নূন্যতম ফিটনেস অর্জন করতে হবে খেলতে নামার আগে। আশা করি এই সিরিজ থেকে তারা শিখবে।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...