রাওয়ালপিন্ডির হাইওয়ে পিচকে একটু স্পিন সহায়ক বানাতে কত প্রায়শ! কারখানার বিশাল সব ফ্যান আনা হয়েছে। হিটারও ব্যবহার করা হয়েছে। যাতে করে নিখাঁদ ব্যাটিং উইকেটে বোলারদেরও একটু সুবিধা দেওয়া যায়। এমন প্রবল প্রচেষ্টা আর পরিশ্রমকে বিফলে যেতে দিলেন না সাজিদ খান। ইংলিশ ব্যাটারদের খাবি খাইয়েছেন নিজের ঘূর্ণি জাদুতে।
মুলতানে দ্বিতীয় টেস্টের দলে ছিলেন। সেখানে একই উইকেটে খেলা হয়েছিল দুই টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্টে একাদশে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগিয়েছিলেন সাজিদ খান। দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছিলেন ৯টি উইকেট। প্রথম ইনিংসে শিকার করেছিলেন ৭ উইকেট।
সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন তিনি রাওয়ালপিন্ডি টেস্টেও। এই রাওয়ালপিন্ডিতে কিছুদিন আগেই, ৪৪৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেও ম্যাচ হেরেছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশ ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে ম্যাচ জিতেছিল ১০ উইকেটের ব্যবধানে। সে ক্ষতের দাগ শুকায়নি নিশ্চয়ই।
তাইতো একই ভুল করতে নারাজ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। রাওয়ালপিন্ডির প্রায় সিমেন্ট দিয়ে বানানো উইকেটের মত উইকেটের উপরিভাগের মাটি খানিক নরম ও আলগা করতে অভিনব কায়দা অবলম্বন করে। এর সুবিধা নিয়ে ছয়টি উইকেট নিজের করে নিয়েছেন সাজিদ।
অলি পোপকে দিয়ে শুরু করেন নিজের শিকারের যাত্রা। জো রুট, হ্যারি ব্রুক ও বেন স্টোকসের মত গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন সাজিদ খান। শেষের দিকে জ্যাক লিচের উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে অলআউট করেন ডানহাতি অফস্পিনার। সাজিদের অনবদ্য বোলিংয়ের কল্যাণে মাত্র ২৬৭ রানেই গুটিয়ে গেছে ইংল্যান্ড।
এমনকি ইংল্যান্ডের সব ক’টি উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের স্পিনাররাই। তাইতো বলাই যায় রাওয়ালপিন্ডির মাঠকর্মীদের পরিশ্রম বৃথা যায়নি। তবে প্রশ্ন হচ্ছে এই উইকেটে পাকিস্তান টিকবে তো?