সাকিব আল হাসান ফর্মে নেই, বিতর্কেও নেই; লাইমলাইট থেকে বোধ হয় একটু দূরে সরে গিয়েছিলেন। আর সেটা পছন্দ হয়নি তাঁর নিজের, তাই তো গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে জ্বলে উঠলেন স্বরূপে। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের সাথে দুর্দান্ত অধিনায়কত্বে দলকে এনে দিয়েছেন জয়।
সেই সাথে অবশ্য বিতর্কেও নাম লিখিয়েছেন এই অলরাউন্ডার, উপস্থিত এক দর্শকের সাথে বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন দেশের চলমান ইস্যু নিয়ে। সেখানে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেন একজন বাংলাদেশী; পাল্টা তিনি উত্তর দিয়েছিলেন দেশের জন্য আপনি কি করেছেন। যদিও পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই ঝামেলা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
বাংলা টাইগার্স মিসিসাগার অধিনায়ক করা হয়েছে টাইগার তারকাকে, তবে অধিনায়কসুলভ পারফরম্যান্স ছিল না সাম্প্রতিক সময়ে। কিন্তু, অফ ফর্মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি ঠিকই ঘুরে দাঁড়ালেন টরেন্টো ন্যাশনালসের বিপক্ষে। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ২৪ রান; হাঁকিয়েছেন তিন তিনটি ছক্কা।
সংখ্যার হিসেবে রান বেশি নয়, কিন্তু সাকিবকে এমন স্বাচ্ছন্দ্যে সবশেষ কবে ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে সেটা কারোই জানা নেই। হেড পজিশন নিয়ে এদিন খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি তাঁকে; সেই সাথে টাইমিং ইস্যুতেও খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে বটে ৷
বল হাতেও আহামরি পারফরম্যান্স করেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, তবে এদিন অন্তত এলোমেলো মনে হয়নি। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩০ রান খরচ করেছেন তিনি, নিয়েছেন এক উইকেট।
যদিও এর মধ্যে প্রথম ওভার পাওয়ার প্লেতে করেছেন এই বাঁ-হাতি; দুইজন ফিল্ডার বাউন্ডারিতে থাকা সত্ত্বেও মাত্র ছয় রান দিয়েছিলেন। আবার শেষ দুই ওভার করেছেন ডেথে, সবমিলিয়ে তাই বোলিং ফিগারকে খারাপ বলার কোন সুযোগ নেই। বিশেষ করে ছন্দহীন অবস্থায় এমন পারফরম্যান্স নি:সন্দেহে তাঁকে সেরা রূপে ফেরার জ্বালানি দিবে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই তারকা এখনো নাম্বার ওয়ান, নিজের শতভাগ দিতে না পারলেও তাঁর বিকল্প কিংবা সমতুল্য নেই কেউই। তাই তিনি পুরোপুরি ফর্মে ফিরলে সবচেয়ে বেশি লাভ হবে বাংলাদেশেরই। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আর এশিয়া কাপ খেলবে বাংলাদেশ, তাঁকে ঘিরেই কিন্তু দুই টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা সাজানো হবে।