২০২২ সালের টি২০ বিশ্বকাপে অ্যালেক্স হেলস আর জশ বাটলারের ওপেনিং জুটি ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো। কিন্তু এবার হেলস প্রত্যাশিত ফর্মে নেই, তাতে অবশ্য দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই। কেননা ফিল সল্ট ইতোমধ্যে নিজের বার্তা দিয়ে রেখেছেন, ইতোমধ্যে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি আসরে নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন তিনি।
রহমানউল্লাহ গুরবাজের মত ওপেনারকে পাশে সরিয়ে সল্টকে শুরু থেকেই সুযোগ দিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যানেজম্যান্ট। সেটার প্রতিদান দিতে ভুল হয়নি তাঁর, প্রায় প্রতি ম্যাচেই দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন তিনি। সবশেষ পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র, সুনীল নারাইনের সঙ্গে মিলে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন বাইশ গজে।
এদিন ৩৭ বল খেলতে পেরেছিলেন ইংলিশ তারকা, তাতেই করেছেন ৭৫ রান। সমান ছয়টি চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে এই ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি। উদ্বোধনী জুটিতে নারাইনকে সাথে নিয়ে ১৩৮ রান যোগ করেছিলেন; তাঁর এমন পারফরম্যান্সের সুবাদেই পাহাড়সম পুঁজি পেয়েছে কলকাতা।
শুরুতে কিছুটা রয়ে সয়েই শুরু করেছিলেন এই ব্যাটার। কিন্তু তৃতীয় ওভারে হার্শাল প্যাটেল আক্রমণে আসতেই তাঁর ওপর চড়াও হন তিনি; টানা তিন বলে হাঁকান দুই ছয় ও এক চার। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে, মাত্র ২৫ বলেই হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেলেন।
এতটুকুতেই সন্তুষ্ট হননি এই ডানহাতি, উল্টো আগ্রাসনের মাত্রা বাড়ান খানিকটা। তেরোতম ওভারে আউট হওয়ার আগের দুই বলেও দুই ছয় মেরেছিলেন। অর্থাৎ সেসময় আউট না হলে পাঞ্জাবের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তো সেটা নিশ্চিত। তবে যা করেছেন তিনি, তাই যথেষ্ট হয়েছে ইডেন গার্ডেন্সে রেকর্ড সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ অর্জনের জন্য।
এর আগের ম্যাচেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১৪ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ক্যামিও খেলেছিলেন এই ওপেনার। আবার লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ম্যাচে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা, সত্যি বলতে কলকাতার সব জয়েই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তাঁর।