ভারত ফাইনালে ওঠার পর যখন অস্ট্রেলিয়াও উঠে এলো শিরোপার শেষ লড়াইয়ে, তখনি মানসপটে ভেসে উঠেছিল ২০০৩ বিশ্বকাপের কথা। সেবার সৌরভ গাঙ্গুলিদের দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল রিকি পন্টিংরা। তাই তো ঘরের মাঠে দুই দশক আগের সেই হারের প্রতিশোধ নিতে মুখিয়ে ছিল রোহিত শর্মার দল।
কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি, বরং পাঁচবার বিশ্বকাপ জেতা দলটা আরো একবার নিজেদের ঝুলিতে পুরেছে সোনালী ট্রফি। ফলাফলে মিলে যাওয়ার পাশাপাশি দুইটি বিশ্বকাপ আসর আরো একটা বিন্দুতে এক হয়েছে – আর সেটি হলো টু্র্নামেন্ট সেরার মঞ্চ।
দুইবারই কৃতিত্বের এই পুরষ্কার জিতেছেন ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি, জোহানেসবার্গে শচীন টেন্ডুলকারের হাতে উঠেছিল আর এবার আহমেদাবাদে একই মঞ্চে দেখা গেলো বিরাট কোহলিকে।
দুজনেই আবার হয়েছেন বিশ্বকাপ আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অনুষ্ঠিত সেই আসরে ১১ ম্যাচ খেলে ৬৭৩ রান করেছিলেন শচীন; ব্যাটিং গড় ছিল ৬০ এর উপর। সবমিলিয়ে সাতটি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে, যার একটি ছিল আবার তিন অঙ্কের।
অন্যদিকে বিরাট কোহলি তো এবার রেকর্ড গড়েছেন। ১১ ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৭৬৫ রান, গড় ৯৫.৬২! পুরো আসরে সেঞ্চুরি করেছেন তিনটি আর হাফসেঞ্চুরি আরো ছয়টি। বিশ্বকাপ ইতিহাসেই এক আসরে এত রান করতে পারেনি আর কোন ব্যাটার।
ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন, কত শত রেকর্ড গড়েছেন তবু কোহলি হয়তো বিশ্বকাপ ট্রফির জন্যই মন খারাপ করবেন। ক্যারিয়ারের শেষ বৈশ্বিক আসরে শিরোপা জিতেই বিদায় বলতে চেয়েছিলেন; শচীন টেন্ডুলকারও নিশ্চয়ই একই বাসনা লুকিয়ে রেখেই টুর্নামেন্ট সেরার পুরষ্কার নিতে গিয়েছিলেন।