সরফরাজ খানকে নিশ্চয়ই অন্য যে কারও চেয়ে একটু বেশি করেই নিজেকে প্রমাণ করতে হয়। প্রথম পাঁচটি টেস্ট ইনিংসেই যার তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি তাঁর নিশ্চয়ই এর পরের দুই টেস্ট ডাগ আউট থেকে দেখার কথা নয়।
হ্যাঁ, সরফরাজের সাথে এমন ‘অবিচার’টাই হয়েছে। যদিও, এই অবিচার বড় কিছু নয়। আরও বছর দু’য়েক আগেই সাদা পোশাকে অভিষেক হয়ে যেতে পারত তাঁর। কিন্তু, সেই সুযোগ তিনি পাননি, পাননি ঘরোয়া ক্রিকেট ব্র্যাডম্যানসুলভ ব্যাটিং গড় থাকার পরও।
কারণ, একটাই – ভারতের বিখ্যাত ব্যাটিং লাইন আপ, আর সরফরাজের ফিটনেস। আরও একটা ব্যাপার ছিল, সমালোচনা ছিল – বলা হচ্ছিল – সরফরাজ আর যাই করুক সেঞ্চুরি তো পাচ্ছেন না। এই জের ধরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পুরোটা তাঁকে দেখতে হল ডাগ আউট থেকে।
তবে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সুযোগটা মিলল। প্রথম সুযোগে ডাক। ভারত অল আউট মাত্র ৪৬ রানে। ভারতের মাথায় আকাশ সমান চাপ। সরফরাজের ওপর আরও বেশি। কারণ, পরিবর্তনের ঝড় তাঁর ওপর দিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সেটাও রীতিমত ওয়ানডের স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে। ১১০ বল খেলে তিনি পৌঁছে যান ১০০ রানের মাইলফলকে। ১৩ টি চার ও তিনটি ছক্কার ইনিংসে তিনি বুঝিয়ে দেন – ভারতের এই দল ভয় পেতে শেখেনি। সরফরাজরা চাপে ভেঙে পড়তে শেখেননি।
ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামোই আসলে প্রকাণ্ড এক বট গাছ। তাঁর অনেক শাখা প্রশাখা। প্রতিটা পর্যায়ে তাঁদের এত চাপ নিয়ে প্রতিযোগিতায় জিততে হয় যে, অল্পতে ভেঙে পড়ার ভাবনাও আসার সুযোগ নেই।