পাকিস্তানিদের ভালোবাসা ভুলতে পারেননি শেবাগ

মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে ভারত-পাকিস্তানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীতার গল্পটা নতুন নয়। শুধু খেলা কিংবা রাজনীতির মাঠ নয় ভারত-পাকিস্তানের সাধারণ মানুষও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের এক বিন্দুও ছাড় দিতে চান না কোথাও। তবে এমন চির বৈরিতার গল্পের পাশাপাশি আছে কিছু সৌহার্দের গল্পও। বৈরিতার দেয়াল ভেঙে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আপন করে নেবার গল্পও আছে।

মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে ভারত-পাকিস্তানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীতার গল্পটা নতুন নয়। শুধু খেলা কিংবা রাজনীতির মাঠ নয় ভারত-পাকিস্তানের সাধারণ মানুষও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের এক বিন্দুও ছাড় দিতে চান না কোথাও। তবে এমন চির বৈরিতার গল্পের পাশাপাশি আছে কিছু সৌহার্দের গল্পও। বৈরিতার দেয়াল ভেঙে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আপন করে নেবার গল্পও আছে। তেমনই এক ঘটনা ঘটেছিল বীরেন্দর শেবাগের সাথে।

প্রায় এক যুগ ধরে ভারত-পাকিস্তানের দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ বন্ধ। অথচ আগের সময়টায় ভারত-পাকিস্তান সিরিজের আবেদন কোনোভাবেই কোনো বিশ্বআসর থেকে কম ছিল না। ভারতীয়দের জন্যও পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানের দর্শকদের সামনে খেলা ছিল অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা।

২০০৩ সালে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে গিয়েছিল ভারত। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ভারত জিতে নেয় ৩-২ ব্যবধানে আর টেস্ট সিরিজও ভারত জেতে ২-১ এ। তবে জয় ছাপিয়ে ভারতের সাবেক মারকুটে ব্যাটার শেবাগের মনে দাগ কেটে আছে অন্য একটি ঘটনা।

একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে শেবাগ জানান সেবার পাকিস্তানে গিয়ে কতটা দারুণ আতিথিয়েতা পেয়েছিলেন তারা। শেবাগ বলেন, ‘যখন আমরা ২০০৩-০৪ সালে পাকিস্তান সফরে যাই তখন পাকিস্তানের মানুষদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছিলাম। লাহোরে দ্বিতীয় টেস্টের আগে আমরা কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম।’

দারুণ ভাবে সেই স্মৃতি রোমন্থন করছিলেন শেবাগ, ‘স্থানীয় একটি মার্কেট থেকে আমি ৩০-৩৫ টি পাকিস্তানি স্যুট কিনেছিলাম আমার পরিবারের জন্য। দোকানের মালিক আমার কাছ থেকে টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। সে বলে, আমি এখানে অতিথি। সে কিভাবে একজন অতিথির কাছ থেকে টাকা নেবে! পাকিস্তানের সর্বত্রই আমরা এমন ভালোবাসা পেয়েছিলাম।’

শুধু পাকিস্তানের মানুষই নয়, সেই সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটার ইনজামাম উল হকেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন শেবাগ। জানান, ইনজামাম সমগ্র এশিয়ার সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটার ছিলেন।

শেবাগ বলেন, ‘ইনজি ভাই (ইনজামাম উল হক) খুব মিষ্টি একজন মানুষ। সবাই টেন্ডুলকারের কথা বলে কিন্তু আমার মতে, ইনজামাম এশিয়ার সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটার। আমি ২০০৩-০৪ সালের কথা বলছি যখন আটের আশে পাশের রানরেট ছিল কল্পনা। অনেক দল যেখানে প্যানিক করত এমন পরিস্থিতিতে ইনজামাম অনেক শান্ত থাকত এবং আটের আশেপাশে রান তুলত।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...