সাদমানের ব্যাটে আলোর বর্তিকা!

সাদমান ইসলামের নামের পাশে টেস্ট ব্যাটারের তকমা। তাই তো ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতেও তিনি আলোচনায় থাকেন না। তবে এবারের এনসিএলে যেন আলোর বর্তিকা হয়ে উঠেছে তাঁর ব্যাট। সেঞ্চুরি তুলে ব্যাট উঁচিয়ে তাই একটা অদৃশ্য বার্তা ছুড়ে দিলেন হয়তো, বললেন ‘টি-টোয়েন্টিটা আমিও পারি।’

সাদমান ইসলামের নামের পাশে টেস্ট ব্যাটারের তকমা। তাই তো ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতেও তিনি আলোচনায় থাকেন না। তবে এবারের এনসিএলে যেন আলোর বর্তিকা হয়ে উঠেছে তাঁর ব্যাট। সেঞ্চুরি তুলে ব্যাট উঁচিয়ে তাই একটা অদৃশ্য বার্তা ছুড়ে দিলেন হয়তো, বললেন ‘টি-টোয়েন্টিটা আমিও পারি।’

বরিশাল টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিল। তবে সাদমান যেন সেই সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগলেন। শুরু থেকেই রুদ্ররূপ দেখা দিল তাঁর ব্যাটে।

প্রতিপক্ষ বোলার যেই আসুক, দৃষ্টিনন্দন সব শটে মাঠের বাইরে পাঠাতে থাকেন একেকটা বলকে। কখনো পুল, কখনো স্ট্রেট ড্রাইভ, কখনো বা কাভার অঞ্চল দিয়ে বল পার করেছেন সীমানার গণ্ডি। ঠাঁই হয়েছে গ্যালারিতেও।

মাত্র ৫৯ বলে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন সাদমান। শেষপর্যন্ত ইনিংস থেমেছে ১০১ রানে। ১১ চারের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন চার ছক্কা। স্ট্রাইক রেটটা ১৬৫.৫। এদিন রবিনের সঙ্গে মিলে গড়েছিলেন ১৭৭ রানের রেকর্ড জুটি।

এবারের এনসিএলে শতকের সূচনা এলো তাঁর ব্যাটে। নিজেও প্রথমবারের মতো তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁলেন টি-টোয়েন্টিতে। এই কৃতিত্বটা অবশ্য ১৫তম বাংলাদেশি হিসেবে।

সাদমান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেন নতুন রূপে নিজেকে আবিষ্কার করলেন এই ইনিংসের মাধ্যমে। একেবারে নিখুঁত ব্যাটিংয়ে নিজের সক্ষমতার জানান দিলেন।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link