সুস্থতা নিয়েই শফিউলের চিন্তা

দুঃসময় যেনো পিছু ছাড়ছে না পেসার শফিউল ইসলামের। চোটের কারণে সহসাই মাঠে ফেরা হচ্ছে না তার। চোট কাটিয়ে উঠতে  ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এই অভিজ্ঞ পেসারকে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভারতে যেতে চান তিনি।

সহজেই ভিসা পেতে বিসিবির কাছে আবেদনও করেছেন শফিউল ইসলাম। আপাতত নিজের সুস্থতা নিয়েই ভাবছেন জাতীয় দলের এই ফাস্ট বোলার। তিনি বলেছেন, এই মুহুর্তে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট নিয়ে ভাবছেন না।

করোনা প্রকোপের ভিতরই গত আগস্টে প্রস্তুতি ক্যাম্পের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই ক্যাম্পে ছিলেন শফিউল ইসলামও। ক্যাম্প চলাকালীন চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান তিনি। পরে খেলা হয়নি বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপেও।

কদিন আগেই শেষ হয়েছে পাঁচ দলের অংশ গ্রহণে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপ। চোট কাটিয়ে টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে মাঠে ফিরলেও টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই পুনরায় চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে যান এই পেসার। ২৬ নভেম্বর চোট পাওয়ার পরই দল ছাড়েন শফিউল ইসলাম।

গত ২১ ডিসেম্বর বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, শফিউলের মেরুদণ্ডের চোট সারাতে দেওয়া হচ্ছে ইনজেকশন। তবে ইনজেকশনের চিকিৎসা ফলপ্রসূ না হলে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করানো লাগতে পারে তাকে।

শফিউলকে নিতে হচ্ছে দেশের বাইরে চিকিৎসা করার সিদ্বান্তই। চিকিৎসা করাতে ভারত যেতে হচ্ছে এই পেসারকে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে খেলা ৭১ কে শফিউল বলেন, ‘ভিসা এখনো পাইনি, ভিসা পেলেই ভারত যাবো। আপাতত ইনজেকশন নিচ্ছি। আশা করি অস্ত্রপচার করতে হবে না, ইনজেকশনেই কাজ হবে।’

শফিউল চোট পেয়েছেন এক মাসেরও অধিক সময় হলো। চোট পাওয়ার পর থেকেই  বিসিবির মেডিকেল টিমের তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন এই পেসার। চোটের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চোট আগের মতোই আছে। আগের মতো বলতে এখনো ব্যথা পাই।’

আগামী মাসেই বাংলাদেশ সফরে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দীর্ঘ দিন পর এই সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ। তবে এই সিরিজে শফিউলের খেলার সম্ভবনা নেই বললেই চলে। বিসিবির প্রধাণ নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও গতকাল বলেছেন তাকে বাদ দিয়েই স্কোয়াড সাজানোর পরিকল্পনা করবেন নির্বাচকরা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নিয়ে নিজেও ভাবছেন না শফিউল ইসলাম। এখন তার ভাবনা জুড়ে শুধুই চোট কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নিয়ে খেলা ৭১ কে শফিউল বলেন, ‘এখন এই সিরিজ নিয়ে ভাবছি না। আগে ভারতে গিয়ে ট্রিটমেন্টটা করি। ইনজেকশন দেওয়ার পর বোঝা যাবে কি অবস্থা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link