আম্পায়ারদের কী বলছিলেন সাকিব?

বৃষ্টি শেষে আবার মাঠে গড়াবে ম্যাচ। সেই সময়ই আম্পায়রদের সাথে আলোচনায় জড়াতে দেখা গেল বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। আম্পায়ারদের হয়তো কিছু একটা বলতে চাচ্ছেন সাকিব। কিংবা কোন ব্যাপারে হয়তো তাঁদের সাথে একমত হতে পারছিলেন না তিনি।  কোন কারণে কী আম্পায়ারদের সাথে তর্কে জড়িয়েছিলেন সাকিব? এসবই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আর এসবের উত্তর দিয়েছেন সাকিব নিজেই।

একেবারে শুরু থেকেই বলা যাক। লিটনের ফ্লায়িং স্টার্টে প্রথম সাত ওভারে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছিল ৬৬ রান। তখনই অ্যাডিলেডে শুরু হলো বৃষ্টি। এতে অবশ্য দুশ্চিন্তার কিছু ছিল না বাংলাদেশের সমর্থকদের। কেননা সাত ওভারের খেলা শেষে রান রেট অনুযায়ী ১৭ রানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ও

অর্থাৎ বৃষ্টির কারণে যদি আর বল মাঠে না গড়াতো সেক্ষেত্রে ম্যাচটা জিতে যেত বাংলাদেশই। ফলে লিটনের অমন শুরুর পর বেশ ফুরফুরেই ছিল বাংলাদেশ শিবির। ওদিকে অ্যাডিলেডের বৃষ্টি যেন বেড়েই চলল।

বৃষ্টি থামলে কত ওভার খেলা হবে সেসব সমীকরণ নিয়ে তখন ব্যস্ত সবাই। ওদিকে বৃষ্টি থামার পর খুব দ্রুতই আবার খেলা শুরু হয়। বাইরে থেকে দেখে মনে হচ্ছিল মাঠ তখনও পুরোপুরি শুকায়নি। এছাড়া লিটনও রান নিতে গিয়ে দুবার পিছলে পড়েছেন।

ফলে দর্শকদের মনে প্রশ্ন জাগে, তাহলে মাঠ পুরোপুরি তৈরি হবার আগেই আবার খেলা শুরু হল? সেটা নিয়েই কি আম্পায়রদের সাথে তর্কে জড়িয়েছিলেন সাকিব? সাকিব অবশ্য এরকম আলোচনায় কান দিতে চান না।

সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানান খুব স্বাভাবিক কথাই হয়েছে তাঁদের মধ্যে। সাকিব বলছিলেন, ‘আম্পায়ার দুই অধিনায়ককে ডেকেছিলেন। তারা আমাদের জানিয়েছিলেন পরিবর্তিত লক্ষ্য কি, পরিবর্তিত নিয়ম কি। আমাদের কত ওভার আরও খেলতে হবে এবং আমাদের লক্ষ্য কি হবে। এটুকুই।’

ওদিকে বৃষ্টির পর বাংলাদেশকে করতে হত নয় ওভারে ৮৫ রান। সব মিলিয়ে ১৬ ওভারে বাংলাদেশের টার্গেট ১৫১ রান। প্রথম সাত ওভারেই ৬৬ রান করা বাংলাদেশের জন্য কাজটা খুব বেশি কঠিন ছিল না। এছাড়া উইকেট থেকেও যথেষ্ট সহায়তা পাচ্ছিলেন ব্যাটাররা।

তবে ম্যাচের বড় টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায় লিটনের রান আউট। আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসা লিটন এভাবে আউট হবার পর স্বাভাবিকভাবেই বিশাল আঘাত পায় বাংলাদেশ। লিটনের এই আউটের জন্য অবশ্য ভেজা মাঠকে দায়ী করতেই পারে বাংলাদেশ।

কেননা লিটন রান আউট হবার আগেও একটা ভেজা উইকেটে পিছলে পড়ে গিয়েছিলেন। এরপর যে বলটায় রান আউট হন সেটিতেও একবার স্লিপ কেটে আবার দৌড় শুরু করেন। আর এতেই রান আউট হয়ে যান লিটন। ফলে এই ভেজা মাঠই বাংলাদেশের হারের বড় কারণ কিনা সেই প্রশ্ন করা যেতেই পারে।

অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অবশ্য এমনটা মনে করেন না। ভেজা মাঠ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে কিছু করার থাকে না। আমাদের কাজ মাঠে ক্রিকেটটা খেলা। আমরা এটাকে অজুহাত হিসেবে দাড় করাতে চাইনা। ভেজা মাঠ তো ব্যাটসম্যানদেরও সাহায্য করে। এটা বলা খুব কঠিন।’

সাকিব অস্বীকার করলেও বাংলাদেশের অনেক ভক্তই মনে করছেন ভেজা উইকেট কিংবা ভেজা মাঠ বাংলাদেশের হারে বড় ভূমিকা পালন করেছে। যদিও লিটন আউট হবার পরেও শেষ বল অবধিই ম্যাচ গড়িয়েছে। শেষ ওভারে চার-ছয় মেরে খানিকটা উত্তেজনার সৃষ্টি করেছিলেন নুরুল হাসান সোহান।

সব মিলিয়ে দলের এমন পারফরম্যান্সে খুশি সাকিব বলেন, ‘আমরা অনেক ক্লোজ গিয়েছি। যদিও জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। তবে আমরা ভাল একটা ম্যাচ খেলেছি। সবাই যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত।’

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link