দলে সাকিব আল হাসানের ভূমিকা কি? ব্যাটিং অর্ডারে তিনি আর আগের মত কার্যকর নন, নিয়মিত উইকেটও পান না। বোলিংয়ে আসেন সবার পরে, ইদানিং মাঠেও তাকে লুকিয়ে রাখতে হয় – মিস করেন রেগুলেশন ক্যাচ। কেন তাঁকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল?
সর্বশেষ, পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলিংটা তাও মন দিয়ে করেছিলেন। কিন্তু, ভারতের বিপক্ষে সেটাও যেন অনুপস্থিত। প্রথম দিনে বোলিং করলেন মাত্র আট ওভার। দলের সবচেয়ে প্রিমিয়াম স্পিনার কেন মাত্র আট ওভার বোলিং করবেন।
ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে তামিম ইকবালও বললেন, সাকিবের আরেকটু আগে বোলিংয়ে আসা উচিৎ ছিল। সাকিব সে কথা শোনেননি। অবশ্য, যে আট ওভার বোলিং করেছেন তাতেও তিনি বেশি নিরামিষ।
রান গুনেছেন ৫০ টি। মানে ওভার প্রতি ছয়ের ওপর। ওয়ানডেতেও এত রান হজম করা অন্যায়, সেখানে টেস্টে কিভাবে এত রান গুনবেন দলের অন্যতম সেরা বোলার। তার উপর প্রতিপক্ষ দল যখন ছয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে।
চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সাকিব আরও বড় অন্যায় করলেন। আকাশ দীপ পুল করতে গিয়েছিলেন। বল ব্যাটে বলে হয়নি, সাকিব স্কয়ার লেগ থেকে দৌঁড়ে যান। আলোর বিপরীতে হলেও ক্যাচটা ধরাটা জরুরী ছিল। সাকিব সেই জরুরী কাজটাও করতে পারেননি।
এমন অনেক জরুরী কাজই সাকিবকে দিয়ে আজকাল আর হচ্ছে না!