২০১৯ বিশ্বকাপে এইডেন মার্করামকে বোল্ড করেছিলেন সাকিব আল হাসান, এরপরই মুষ্টিবদ্ধ উদযাপন তাঁর; পাঁচ বছর একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটলো। তবে বাংলাদেশের জার্সিতে নয়, কাউন্টি দল সারের হয়ে সাদা পোশাকে। দুর্ধর্ষ এক আর্মারে তিনি উপড়ে ফেলেছেন টম অ্যাবেলের স্ট্যাম্প, তাল সামলাতে না পেরে তখন মাটিতেই গড়িয়ে পড়েছিলেন অ্যাবেল।
ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টুর্নামেন্টের দল সারের হয়ে এবারই অভিষেক হল বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের; কেমার রোচের কাছ থেকে ক্যাপ পেয়ে শুরু হয় নতুন পথ চলা। সূচনাতেই অবশ্য রংধনুর রঙে নিজেকে রাঙিয়েছেন তিনি, প্রথম ইনিংসে একাই নিয়েছেন চার উইকেট। তাঁর বোলিং দাপটে ৩০৫/৬ থেকেই ৩১৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছে সমারসেট।
এদিন এগারোতম ওভারেই টাইগার স্পিনারকে আক্রমণে আনেন সমারসেট অধিনায়ক; এরপর টানা বল করে গিয়েছেন, ক্লান্তিহীন মেশিনের মতই। প্রথম উইকেট পেতে তাঁকে বোলিং করতে হয়েছে ২১ ওভারের বেশি – তবে একবার উইকেটের বাঁধ খুলতেই জোয়ারের জলের মত এসেছে শিকার।
একই ওভারে আলব্রিজ আর ওভারটনকে ফিরিয়েছিলেন সাকিব, এরপর রেনডেলকে আউট করে পূর্ণ করেন নিজের ফোরফার। স্রেফ উইকেট দিয়ে অবশ্য তাঁকে মূল্যায়ন করা যাচ্ছে না, সবমিলিয়ে সমারসেটের বিপক্ষে ৩৩.৫ ওভার বল করেছেন তিনি। অর্থাৎ ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বোলিং করা ড্যানিয়েল ওরালের চেয়ে দ্বিগুণ!
এত সময় ধরে বোলিং করা কিংবা এত দ্রুত বল হাতে তুলে নেয়া – এমন রূপে আল হাসানকে আগে কখনও দেখা গিয়েছে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। সাম্প্রতিক কালে তিনি যে নিজের পারফরম্যান্স বিশেষ করে বোলিং নিয়ে বড্ড সিরিয়াস সেটা আর তাই বলার অপেক্ষা রাখে না।
পাকিস্তান সিরিজেই প্রচণ্ড একাগ্রতা নিয়ে খেলেছিলেন এই তারকা, এখন ভিনদেশি একটি চার দিনের ম্যাচেও নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছেন। ভারত সফরের আগে বাংলাদেশের জন্য এর চেয়ে বেশি স্বস্তির খবর আর কিছুই হতে পারে না।