দলের বাকি বোলারদের ভরসা করেন সাকিব

সাকিবের আইপিএলে খেলতে যাওয়া নিয়ে এই টেস্টের আগে জলঘোলা কম হয়নি। শেষ পর্যন্ত অনাপত্তিপত্র না পেয়ে আইপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার করেছেন সাকিব। অনেকেরই ধারণা ছিলো সেই অভিমান থেকেই পুরো টেস্ট জুড়েই সাকিবকে ঠিক সাকিব সুলভ ভাবে দেখা যায়নি।

পুরো টেস্ট জুড়েই যেন সাকিবকে সাকিব সুলভ ভাবে খুঁজে পাওয়া যায় নি। সাকিবের আইপিএলে খেলতে যাওয়া নিয়ে এই টেস্টের আগে জলঘোলা কম হয়নি। শেষ পর্যন্ত অনাপত্তিপত্র না পেয়ে আইপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার করেছেন সাকিব। অনেকেরই ধারণা ছিলো সেই অভিমান থেকেই পুরো টেস্ট জুড়েই সাকিবকে ঠিক সাকিব সুলভ ভাবে দেখা যায়নি।

এমনকি প্রথম ইনিংসে বোলিংয়েও আসেন ৬৫ ওভারের পর। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনেও যেন সাকিব তাঁর এই টেস্টে বোলিং নিয়ে করা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সেই অনুমানের সত্যাতার আঁচই দিলেন। প্রথম ইনিংসে এত দেড়িতে কেন বোলিংয়ে আসলেন সাকিব, কেনই বা পুরো ইনিংসে করেছেন মাত্র পাঁচ ওভার? সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কিছুটা অভিমানই যেন ঠিকরে বেরোলো সাকিবের কথায়।

সাকিব বলেন, ‘এটার মানে কি, আমি ছাড়া বাংলাদেশের বোলিং চলে না? আমাদের পর্যাপ্ত বোলার আছে ২০ উইকেট নেবার মত এবং তাদের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। বোলিং কাউকে করতেই হবে এমন কোনো কথা নেই।’

শুধু বোলিংই কেন, প্রথম ইনিংসে যেন অধিনায়কত্বেও মন ছিলো না সাকিবের। এমনকি এক পর্যায়ে তামিম ইকবালকেও দেখা গেছে মাঠের ফিল্ডিং সাজাতে। তাই দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগেরই অনুমান ছিলো ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য শেষ আইপিএল খেলতে না পারেই কিছুটা বিমর্ষ সাকিব।

প্রথম ইনিংসে ৬৫ ওভারের পর বোলিংয়ে এসে করেছইলেন মাত্র তিন ওভার। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংয়ে এলেন প্রথম ওভারেই। উইকেট ও পেয়েছেন সে ওভারে। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য সাকিব করেছেন ১৩ ওভার।

অবশ্য আইপিএলে খেলতে না যাওয়া নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে রাজি হননি সাকিব। সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘অবশ্যই বিশ্বকাপের বছরে আইপিএলটা খেলতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু ফ্যামিলি ইমারজেন্সি তো ফ্যামিলি ইমারজেন্সিই।’

বোলিংয় নিয়ে করা প্রতিটি প্রশ্নেই সাকিব বারবার দলের পর্যাপ্ত বোলার থাকাকেই সামনে এনেছেন। যদিও অন্যান্য পরিস্থিতিতে দল যখনই বিপদে থাকে বা প্রতিপক্ষের বড় কোনো পার্টনারশিপ হয়ে যায় তখনই নিজে থেকেই বোলিংয়ে আসতে দেখা যায় সাকিবকে। এমনকি চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ এলান ডোনাল্ডও জানান যে তিনি নিজেও জানেন না কেন সাকিব এত কম বোলিং করলেন।

অন্তত বোলিংয়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে অন্য এক সাকিবেরই দেখা মিলেছে এবার। আর পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই সাকিব যেমন একটা রহস্য তেমন চিরায়ত রহস্য হয়েই যেন রয়ে গেলো সাকিবের এমন বক্তব্য।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...