পর পর দুই ম্যাচে বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ; সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে ভারতে আসলেও সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবতা থেকে দূরে সরে গিয়েছে। এসবের মধ্যেই আবার সাকিব আল হাসানের চোট বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার সময় বাম পায়ের উরুর পেশিতে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। সেজন্যই পরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে এই অলরাউন্ডার খেলবেন কি না সেটা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে ক্রিকেটাঙ্গনে। আপাতত সাকিবের খেলা, না খেলা নির্ভর করছে তাঁর চোটের প্রকৃতি কেমন সেটার ওপর।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ওয়ানডে অধিনায়কের চোট গ্রেড ওয়ান টিয়ার। এই ধরনের ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে এক সপ্তাহের বেশি সময়ের বিশ্রাম দরকার হয়ে থাকে। কিন্তু ভারত বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এত সময় পাবেন না তিনি; কিউইদের বিরুদ্ধে হারার পাঁচ দিন পরেই ম্যাচ খেলতে হবে টাইগারদের।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষেই এমআরআই করতো গিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু পরীক্ষার রিপোর্টে কি এসেছে তা পুরোপুরি স্পষ্ট করেনি বিসিবি। চোটের ধরন কিংবা সাকিবের ফিট হয়ে উঠতে কতদিন লাগবে সেসব কিছুই বলা হয়নি। ক্রিকেট বোর্ডের দেয়া বিবৃতিতে কেবল প্রতিদিন এই তারকার শারিরীক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার কথা জানানো হয়।
যদিও খালেদ মাহমুদ সুজন গণমাধ্যমে এই আলোচিত ইনজুরি নিয়ে যা বলেছেন তাতে বোঝা গিয়েছে, মাংসপেশির তন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাকিবের।
বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর আরো যোগ করেন, ‘টুর্নামেন্টে এখনও ছয়টা ম্যাচ বাকি আছে। আমরা চাই না একটা ম্যাচ খেলে সে পুরো টুর্নামেন্ট মিস করুক।’
অবশ্য হাঁটা চলার ক্ষেত্রে সাকিব আল হাসান তেমন কোনো অস্বস্তি অনুভব করছেন না। ভারতের বিপক্ষে নিজ থেকেই খেলতে ইচ্ছুক তিনি। এমনকি ৮০/৯০ ভাগ ফিট থাকলেই, তাঁকে নামানো হতে পারে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আরো পরে।
তবে ঝুঁকি এড়াতে চাইলে আগামী বৃহস্পতিবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে না খেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। কারণ খেললে যদি আবার একই জায়গায় চোট পান সাকিব, তাহলে আরো গুরুতর রূপ ধারণ করবে। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপই শেষ হয়ে যেতে পারে নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডারের। এখন দেখার বিষয়, সবকিছু বিবেচনা করে কি সিদ্ধান্ত গ্রহন করে টিম ম্যানেজম্যান্ট।
তবে সাকিব অবশ্য ফিরতে চান ভারতের বিপক্ষে। তাইতো ভারতের পুনেতে দলের অনুশীলনে আলাদাভাবে অনুশীলন করেছেন সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটীয় সরঞ্জাম গায়ে চাপিয়ে ছোট দূরত্বে দৌড়ে বেড়িয়ে নিজের অবস্থান জেনে নেওয়ার চেষ্টাই করেছেন সাকিব। চেষ্টা নিশ্চয়ই বিফলে যাবে না।