ফাইনালে উঠার মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুর্দান্ত এক জয় পেলো ফরচুন বরিশাল। আরেক হট ফেভারিট রংপুর রাইডার্সকে ছয় উইকেটে পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছে তাঁরা। তারকা সমৃদ্ধ দুই দলের লড়াইয়ের ভাগ্য অবশ্য গড়ে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম, বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর তাঁর দৃঢ়তায় শিরোপার আরো কাছে পৌঁছে গেলো তামিম ইকবালের দল।
আগে ব্যাট করতে নেমে রংপুর শুরুতেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের তোপের মুখে পড়ে। নিজের প্রথম ওভারেই দুই ইনফর্ম অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী এবং সাকিব আল হাসানকে সাজঘরে ফেরান তিনি। বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার আগে একই পথ ধরেন ওপেনার রনি তালুকদার, ফলে ১৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে দলটি।
এমন পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন আগের ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাট করা জেমস নিশাম। কিন্তু ২৮ রান করা কিউই তারকাকে আউট করে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন জেমস ফুলার; নিকোলাস পুরানও পারেননি নামের প্রতি সুবিচার করতে। সতীর্থদের ব্যাটারদের ব্যর্থতার মাঝে ব্যতিক্রম ছিলেন শামীম হোসেন, দেখিয়েছেন নিজের সামর্থ্য। মাত্র ২০ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তিনি, কেবল উনিশতম ওভারেই আদায় করেছিলেন ২৬ রান!
নির্ধারিত বিশ ওভার শেষে এই বাঁ-হাতি ২৪ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আবু হায়দার রনি, তাঁদের এই জুটিতে এসেছে ৭২ রান। তাতেই ১৪৯ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছে রাইডার্সরা।
জবাবে দেখেশুনে ব্যাট করেছিলেন বরিশালের দুই ওপেনার মেহেদি মিরাজ ও তামিম। কিন্তু একই ওভারে দু’জনকে ফিরিয়ে বরিশালকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন রনি। যদিও মুশফিকুর রহিম আর সৌম্য সরকারের ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে আবারো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় দলটি, তাঁদের মিলিত অবদানে বোর্ডে যোগ হয় ৪৭ রান।
সৌম্যর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন কাইল মায়ার্স, দারুণ ছন্দে থাকা এই অলরাউন্ডার এদিনও পারফরম করেছেন প্রত্যাশা অনুযায়ী। অন্যপ্রান্তে মুশফিকও শাসন করেন বোলারদের। এই জুটির অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় সোহানের দল। যদিও ২৮ রান করে মায়ার্স প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে খানিকটা আশা জেগেছিল রংপুরের ভক্তদের মনে।
কিন্তু টাইগার উইকেটরক্ষক কোন অঘটন ঘটতে দেননি, ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে বাকি পথ পাড়ি দেন তিনি। এখন অপেক্ষা শুধু একটা ম্যাচের, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারাতে পারলেই আরাধ্য ট্রফি ছুঁতে পারবে ফরচুন বরিশাল।