বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংলিশদের বিপক্ষে ১০ উইকেটে হেরে বিধ্বস্ত হয়ে বাদ পড়ার পর, পুরো ভারত সহ বিশ্বজুড়েই চলছে ভারতের হার নিয়ে কাটাছেঁড়া। অনেক বড় বড় ক্রিকেট বোদ্ধা রাই নিজেদের মতামত দিচ্ছেন। কি করা উচিত ছিল, কি করা উচিত কিংবা সামনের দিনে কি করতে হবে তা নিয়ে সবাই-ই নিজস্ব মতামত দিচ্ছেন।
ঠিক সেরকমই নিজের এক ইউটিউব চ্যানেলে ভারতের হারের পর নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি পেস বোলার, শোয়েব আখতার। এর আগে সুপার টুয়েলভের খেলা শেষে শোয়েব আকতার তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে বলেছিলেন, ‘ভারত আহামরি কোনো দল নয়। সেমিফাইনালেই তারা বাদ পড়বে।’
শোয়েবের জ্যোতিষবিদ্যা জানা আছে কি না জানা নেই। তবে শোয়েবের ভবিষ্যদ্বাণী,তা ফলেছে একদম অক্ষরে অক্ষরে। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত হয়েই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ভারত। সেমিফাইনালে ভারতের পারফরম্যান্স যেন শোয়েবের কথার মত প্রমানের জন্যই একদম পারফেক্ট – ‘আহামরি কোনো দল নয়!’
সমস্ত বিশ্বজুড়েই চলছে ভারতের এই পারফরম্যান্স এর কাটাছেঁড়া। চুল চেরা বিশ্লেষণ। ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব ভারতের হারের কারণ হিসেবে বেশ কয়েকটি কারণকে দাড় করান।
রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে ভারতের উচ্চ গতির কোন পেস বোলার না থাকা অনেক বড় একটা কারণ।কেননা,অস্ট্রেলিয়ার মত বাউন্সি এবং গতিশীল কন্ডিশনে উচ্চ গতিসম্পন্ন বোলাররা প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ংকর হতে পারত বলে বলেন শোয়েব। ভারতের আর্শদ্বীপ এবং ভুবেনেশ্বর দুইজনই সুইং এর ওপর নির্ভরশীল বোলার। যার ফলে বল পুরনো হয়ে গেলেই তাদের কার্যকারিতা কমে গিয়েছে। অপরদিকে একমাত্র গতিশীল বোলার মোহাম্মদ শামী, তিনিও সম্প্রতি ইনজুরি থেকে ফিরেই বিশ্বকাপ দলে ঢুকেছিলেন। তাই তারও ভাল করার সম্ভাবনা কমই ছিল।’
আরেক কারণ হিসেবে শোয়েব বলেন, ‘তাদের আরেকটা ভুল ছিল চাহালকে না খেলানো। তারা চাহালকে কেন খেলায় নি তা আমার বোধগম্য নয়। যেখানে অন্যান্য সব দল তাদের লেগস্পিনার কে খেলিয়েছে , সেখানে ভারত তাদের সেরা স্পিনারকেই বসিয়ে রেখেছে। অথচ অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে চাহাল হতে পারত ভারতের ট্রাম্প কার্ড।
বিশ্বকাপ পরবর্তী দলে পরিবর্তনের বিষয়ে শোয়েব বলেন, ‘রোহিতের থেকে আপাতত পান্ডিয়াকেই দলের অধিনায়ক করা উচিত। তাছাড়া পান্ডিয়া সম্প্রতি আইপিএলে নিজ দল গুজরাট টাইটান্সকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন ও করেছে। তাই তাকেই দলের অধিনায়কত্ব দেয়া উচিত।’