টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেও বাংলাদেশ দলের মেইন পেসার ছিলেন শরিফুল ইসলাম, অথচ ছোট্ট একটা ইনজুরি বদলে দিয়েছে সবকিছু। পুরো বিশ্বকাপে একটি ম্যাচও খেলতে পারলেন না তিনি, ক্ষোভ মেটানোর সুযোগ অবশ্য পেয়েছেন চলতি লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল)। আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে কোন ভুল হয়নি তাঁর।
এলপিএল শুরুর পরপরই ক্যান্ডি ফ্যালকনস দেশ থেকে উড়িয়ে আনে এই পেসারকে। প্রথম ম্যাচে উইকেট পেলেও খানিকটা খরুচে ছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে পুরোদস্তুর চেনা ছন্দে দেখা গেলো তাঁকে। লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের পেস আক্রমণকে নেতৃত্ব দেয়ার পর এবার ভিনদেশী লিগেও তাঁর সামর্থ্যের ছাপ পাওয়া গেলো।
এদিন চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ৩২ রান খরচ করেছেন এই বাঁ-হাতি; বিনিময়ে শিকার করেছেন দুই উইকেট। দল হারলেও নিজের সর্বোচ্চ দিয়েছেন তিনি, ইনিংসের সেরা বোলারও বলা যায় তাঁকে। যদিও দল হারায় কিছুটা বর্ণ হারিয়েছে তাঁর এমন পারফরম্যান্স।
শুরুতেই শরিফুলের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা; নিরাশ করেননি তিনি। তিন চার হজম করলেও নিরোশান ডিকওয়েলার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট এনে দিয়েছিলেন দলকে। পরের ওভারে উইকেট না পেলেও চারটি ডট আদায় করে নিয়েছিলেন তিনি।
এরপর অবশ্য পথ হারিয়ে ফেলে ক্যান্ডি, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় গল মারভেলসের হাতে। তবু শেষ চেষ্টা করেছিলেন টাইগার বোলার। বিধ্বংসী ভানুকা রাজাপাকসেকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান তিনি; তবে যথেষ্ট ছিল না সেটা।
ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে হাতে চোট পাওয়ার পর আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলা হয়নি এই তারকার। এলপিএল দিয়েই ক্রিকেট মাঠে প্রত্যাবর্তন করেছেন তিনি, তাই তো এই টুর্নামেন্টে তাঁকে পারফরম করতে দেখাটা যেকোনো বাংলাদেশীর জন্যই স্বস্তির। লাল-সবুজ জার্সিতে ফিরেও তিনি পুরনো ফর্ম ধরে রাখবেন সেটাই প্রত্যাশা।