শুভাগতর ‘জয়ের লড়াই’

অনেকটাই ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জন্যে। এমন এক ম্যাচে অধিনায়ক দাঁড়িয়ে রবেন নিশ্চুপ ভঙ্গিমায়- সেটা নিশ্চয়ই বেমানান। তাইতো শুভাগত হোম এগিয়ে এলেন। দলের জয়টাকে সহজ করে দিলেন বল হাতে। গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেটের পাশে নিজের নাম যুক্ত করে নিলেন। তাতে করেই মহাগুরুত্বপূর্ণ জয়টা ধরা দিয়েছে চট্টগ্রামের হাতে।

চট্টগ্রামের ব্যাটিং ইনিংসের হাইলাইটস জুড়েই অবস্থান তরুণ ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিমের। তার অনবদ্য সেঞ্চুরির কল্যাণেই যে ১৯২ রানের পুঁজি পেয়েছিল চ্যালেঞ্জার্স শিবির। সেটার উপর ভর করেই জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল শুভাগত হোমের দল।

তবে খুলনা টাইগার্স অল্পতেই জয় পেতে দেবে কেন? এনামুল হক বিজয়ের দলও লড়াই চালিয়ে গেছে শেষ অবধি। তবে সেই লড়াইয়ে এবার পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন শুভাগত হোম। দারুণ খেলতে থাকা শাই হোপকে ফিরিয়ে খুলনার জয়ের আশা পণ্ড করেন শুভাগত।

আগের বলেই বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন হোপ। এরপরে বলে আরও একটি বাউন্ডারির প্রত্যাশায় সুইপ শট খেলেন হোপ। তবে অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলটি হাওয়া উড়তে থাকে একেবারে। বাইশ গজের ঠিক পাশেই সে ক্যাচ নিজেই লুফে নেন শুভাগত হোম। হোপের বিদায়ের পরই যেন খুলনার জয়ের যে সংকীর্ণ আশা বাকি ছিল সেটা নিভে যেতে শুরু করে।

কিন্তু তখনও খুলনার ডাগআউট থেকে নিশ্চিতরুপেই ভরসা করছিল আফিফ হোসেন ধ্রুবর উপর। তবে তাকেও ফেরান শুভাগত। তার আগে শুভাগতর শিকারে পরিণত হন মাহমুদুল হাসান জয়। লং অন বাউন্ডারিতে কাটা পড়েন জয়।

নিজের প্রথম দুই ওভারে ২০ রান হজম করা শুভাগত এরপর থেকেই যেন চেপে ধরতে শুরু করেন খুলনার ব্যাটারদের। দারুণ সব বলে ব্যতিব্যস্ত করে রাখেন আফিফ হোসেন, জেসন হোল্ডারদের। তার সৃষ্টি করা অসহ্যকর চাপে আফিফও ধরেছেন প্যাভিলিয়নের পথ। ব্যাটের খোঁচা লেগে বল জমা হয় উইকেট রক্ষকের হাতে।

সেখানেই সমাপ্তি ঘটে খুলনার সকল প্রচেষ্টার। আর জয়ের সুবাতাস পেতে শুরু করে চট্টগ্রাম। শেষ অবধি ৬৫ রানের বিশাল এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম। তাতে করে প্লে অফের স্থানও নিশ্চিত করে ফেলেছে দলটি।

এমন সব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের এগিয়ে আসতে হয়। অধিনায়কদের থাকতে হয় সম্মুখভাগে। ব্যাট হাতে তেমন কিছু করে দেখানোর সুযোগ শুভাগত পাননি। কিন্তু বল হাতে জয়ের নেতৃত্ব দিতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি চট্টগ্রামের অধিনায়ক।

প্রথম দুই ওভারে প্রচুর রান হজম করলেও নিজেকে সামলে নেন শেষের দুই ওভারে। শেষের দুই ওভারে স্রেফ পাঁচ রান খরচা করেছেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। তাতে করে কোটার চার ওভার শেষে ২৫ রান খরচায় ৩ উইকেটের মালিক বনে যান শুভাগত হোম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link