চার ম্যাচের তিনটিই জিতে টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত শুরু হয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের। এ ম্যাচেও তারা নেমেছিল ফেভারিট হিসেবেই। তবে স্যাম কারানের বোলিংয়ের পর সিকান্দার রাজার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে পাঞ্জাব কিংস।
প্রথমবারের মত আইপিএল খেলতে আসা রাজার ব্যাটে চড়ে লখনৌকে দুই উইকেটে হারিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। বল হাতে এক উইকেট নেবার পর ব্যাট হাতে ৫৭ রান করে ম্যাচ সেরা সিকান্দার রাজা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতই লখনৌকে ভালো সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার কাইল মায়ার্স ও লোকেশ রাহুল। ওপেনিং জুটিতে ৫৩ রান যোগ করার পর ব্যক্তিগত ২৯ রানে হারপ্রিত ব্রার শিকার হন মায়ার্স। এরপর দীপক হুডাও দ্রুত ফিরে গেলে ফর্মে থাকা ক্রুনাল পান্ডিয়াকে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক রাহুল।
ব্যক্তিগত ১৮ রান করে কাগিসো রাবাদার শিকার হন ক্রুনাল। অন্যপ্রান্তে ব্যাটাররা যাওয়া আসার মিছিলে থাকলেও আরেকপ্রান্ত আগলে রাখেন রাহুল। দলীয় সর্বোচ্চ ৫৬ বলে এক ছক্কা ও আট চারে ৭৪ রান করেন তিনি। ১৯ তম ওভারে আর্শদ্বীপ সিংয়ের বলে রাহুল যখন আউট হন দলের সংগ্রহ তখন দেড়শো ছাড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত আট উইকেটে ১৫৯ রানে থামে লখনৌ।
১৬০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অবশ্য শুরুতেই হোঁচট খায় পাঞ্জাব। প্রথম ওভারেই যুদ্ভীর সিংয়ের বলে আউট হয়ে সাজ ঘরে ফেরেন ওপেনার অথর্ব তাইদে। আরেক ওপেনার প্রভসিমরান সিংও ব্যক্তিগত চার রান করে যুদ্ভীরের শিকার হলে আরো চাপে পড়ে পাঞ্জাব।
এরপর পাঞ্জাবের হাল ধরেন হারপ্রিত সিং ভাটিয়া ও ম্যাথু শর্ট। ২২ বলে এক ছক্কা ও পাঁচ চারে ৩৪ রান করেন শর্ট। এরপর পাঞ্জাবকে ম্যাচে ফেরান সিকান্দার রাজা। এক প্রান্ত আগলে রেখে আইপিএলে নিজের প্রথম অর্ধ-শতক তুলে নিয়ে পাঞ্জাবকে জয়ের পথে রাখেন রাজা।
রাজা ৪১ বলে তিন ছক্কা ও চার চারে ৫৭ রান করে বিষ্ণয়ের শিকার হলে ততক্ষনে জয়ের কাছাকাছি পাঞ্জাব। শেষ দিকে শাহরুখ খানের ১০ বলে ২৩ রানের ক্যামিওতে জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব কিংস।
পাঁচ ম্যাচে দুই হার ও তিন জয় নিয়ে ছয় পয়েন্ট লখনৌর। অন্যদিকে, পাঁচ ম্যাচ শেষে সমান ছয় পয়েন্ট পাঞ্জাবেরও।