ওয়ানডে সিরিজে জেতার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ম্যাচ জিততেই হতো। সৌম্য সরকারের অতিমানবীয় ব্যাটিং সেই পথটাই দেখিয়ে দিয়েছিল কিন্তু বোলারদের ব্যর্থতায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারতেই হলো টিম টাইগার্সকে। অথচ টাইগার বোলাররা কিছুটা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে পারলেই পূর্ণতা পেতো সৌম্যের পারফরম্যান্স, উদযাপনের উপলক্ষ পেতো পুরো লাল-সবুজের ক্রিকেটাঙ্গন।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের ইনিংসকে মোটের ওপর দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একভাগে থাকবেন দশজন ব্যাটার, অন্যপাশে সৌম্য সরকার একাই। কেননা কিউইদের বিপক্ষে সব সতীর্থ মিলে যা করতে পারেনি সেটাই করেছেন সৌম্য, আগের ম্যাচে শূন্য রান করা এই ব্যাটার আজ শুরু থেকেই ছিলেন দুর্দান্ত।
পাওয়ার প্লের মাঝেই লিটন দাস, নাজমুল শান্তদের হারায় টাইগাররা। তবে অবিচল থাকেন তিনি৷ প্রথমে তাওহীদ হৃদয় এবং পরবর্তীতে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন। মুশফিকের সঙ্গে তাঁর ১০০ ছুই ছুই জুটি বড় রানের ভিত গড়ে দিয়েছিল আর মুশফিক আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার; সেঞ্চুরি করেই থামেননি তিনি, আরো বড় করেছেন নিজের ইনিংস।
শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১৬৯ রান, বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড সৃষ্টি হয় তাতেই। আর এই ইনিংসের কল্যাণে টাইগারদের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ২৯১ রান।
কিন্তু জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি সেটাও; বোলারদের ছন্নছাড়া বোলিংয়ে বড় জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। ওপেনিংয়েই এদিন উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল দলটি, প্রথম দশ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে ৬১ রান তোলে তাঁরা, দলীয়৷ ৭৬ রানে রাচিন রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন হাসান মাহমুদ কিন্তু লাভের লাভ হয়নি।
উইল ইয়ং আর হেনরি নিকোলসের ১২৮ রানের জুটিতে ম্যাচ কার্যত শেষ হয়ে যায়। অবশ্য দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে গেলেও দুজনের কেউই সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে পারেননি – ইয়ং করেছেন ৮৯ রান এবং নিকোলস ৯৫।
যদিও ম্যাচ শেষ করতে বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয়নি। অধিনায়ক লাথাম আর টম ব্লান্ডেলের অপরাজিত জুটিতে শেষপর্যন্ত সাত উইকেটের জয় পায় ব্ল্যাকক্যাপসরা। এই জয়ে প্রতিবরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ নিজেদের করে নিলো তাঁরা।