আমুল বদলে গেছে স্পেন। বল দখলে মনোযোগ থাকলেও, স্কোরলাইনেও দেখাচ্ছে দাপট। এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপ জয়ের অন্যতম দাবিদার বনে গেছে তারা। রাউন্ড অব সিক্সটিনের লড়াইয়ে জর্জিয়াকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়েছে লুই দে লা ফন্তের দল। অবশ্য শুরুটা হয়েছিল অপ্রত্যাশিত।
ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই জর্জিয়াকে চেপে ধরে স্পেন। একের পর এক আক্রমণ সামলে নিতে হিমশিম খেতে হয়েছে জর্জিয়াকে। কিন্তু হুট করেই স্রোতের বিপরীতে গোল পেয়ে যায় কাভিস্কা কাভারাস্কেলিয়ার দল। ম্যাচের ১৮ মিনিটের মাথায় কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল আদায় করে জর্জিয়া। যদিও তাদের হয়ে বল জালে জড়ান স্পেনের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় রবিন লে নরম্যান্ড।
জর্জিয়ার ফুলব্যাক ওতার কাকাবাদজের ক্রস আটকে রাখতে গিয়ে তা গোলবারে পাঠান নরম্যান্ড। পিছিয়ে পড়ে খানিকটা চাপে পড়েছিল স্পেন। তাদেরকে সেই চাপ থেকে নিস্তার দেন অভিজ্ঞ রদ্রি। ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার ডি-বক্সের ঠিক উপর থেকে বা-পায়ের শটে গোলের দেখা পান। তাতে করে স্পেন পায় নতুন আশার আলো।
জর্জিয়ার রক্ষণদূর্গ ভেদ করা সেই গোলের পর ১-১ সমতায় বিরতিতে যায় দুইদল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার সুযোগ পেয়ে যায় জর্জিয়া। কাউন্টার অ্যাটাকে বল পেয়ে দূরপাল্লার শট চালান কাভারাস্কেলিয়া। স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমন গোলবার ছেড়ে অনেকটা উপড়ে দাঁড়িয়েছিলেন। গোল পেয়ে গেলে ম্যাচের দৃশ্যপটই ভিন্ন হয়ে যেতে পারত। হতে পারত এক দৃষ্টিনন্দন গোল।
এরপর আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয় স্পেন। জর্জিয়া গোল না পেলেও মিনিট পাঁচেক পর ঠিকই গোল পেয়ে যায় স্পেন। লামিল ইয়ামালের ক্রস থেকে হেডে বল জালে জড়ান ফ্যাবিয়ান রুইজ। ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্পেন। সেখানেই হয়ত সন্তুষ্ট থাকত কয়েক বছর আগের স্পেন দল। কিন্তু এই দলটার যে ভীষণ গোলের ক্ষুধা।
তারা আরও গোলের সন্ধান করতে লাগল। বাম দিক থেকে একাই বল নিয়ে ডি-বক্সে পৌঁছে যান নিকো উলিয়ামস। বেশ বুদ্ধিদীপ্ততার সাথে গোলবারের উপরিভাগ ঘেষে গোল আদায় করেন তরুণ এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে ৩-১ গোল ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্পেন। জয় তখন ছিল সময়ের ব্যাপার।
কিন্তু বদলি হিসেবে নামা ড্যানি ওলমো জর্জিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিতে চাইলেন। ৮৩ মিনিটের মাথায় তার বা-পায়ের শট খুঁজে নেয় গোলের ঠিকানা। ৪-১ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে লা ফুয়েন্তের দল। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ জার্মানি।