প্রতিভার পর্বত, রানের ঝর্ণাধারা

সময়টা ১৯৬৯ সাল! মা-বাবার কোলে আলো হয়ে জন্ম নিলেন এক শিশু। বাবা মা আর বড়-ভাইবোন আদর করে নাম রাখলেন ‘ব্রায়ান চালর্স লারা’! ১১ ভাই-বোনের মাঝে দশম সন্তান ছিলেন লারা। অবশ্যই আদরের, তাইতো পরিবারের সবাই তাকে ‘প্রিন্সি’ বলে ডাকতেন। কিন্তু তারা কি জানতো তাদের প্রিন্সিকে একদিন সবাই ক্রিকেটের বরপুত্র বলে ডাকবে? হয়তো জানতো!

বয়স তখন পাঁচ পেড়িয়ে, যেখানে বই-খাতা কিনে দেওয়ার কথা সেখানে বাবা-মা ভর্তি করিয়ে দিল ক্রিকেট কোচিং-এ! বয়সটাও যে খুব বেশী, সেটিও নয়। পরিবারের আদরের প্রিন্সিকে মাত্র ছয় বছর বয়সেই ভর্তি করিয়ে দেওয়া হল স্থানীয় হার্ভার্ড কোচিং ক্লিনিক নামে এক ক্রিকেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। সেই থেকে ক্রিকেটে পথচলা শুরু। শুধু ক্রিকেটেই নয় সাথে পড়াশোনাও চালিয়ে গেলেন লারা। একদিকে পড়াশোনা আরেক দিকে ক্রিকেট টেকনিক শিক্ষা। লক্ষ্য একটাই তাকে মস্ত বড় ক্রিকেটার হতে হবে! করতে হবে মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ।

বয়স যখন ১৪। লারাকে ভর্তি করানো হল পোর্ট অব স্পেনের ফাতিমা কলেজে। ক্রিকেট ক্যারিয়ারের যাত্রাটা মূলত সেখানেই শুরু। গুরু হ্যারির পরামর্শে নিজেকে তৈরি করতে থাকলেন লারা। কিন্তু লারা যে শুরুতেই এতটা ভয়ংকর হয়ে উঠবেন ব্যাট হাতে সেটা বোধহয় গুরু হ্যারি স্বপ্নেও ভাবেননি! হ্যারি না ভাবলেও লারা হয়তো ভেবেছিলেন। তাইতো ইন্টার স্কুল কম্পিটিশন টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে রূঢ়মূর্তি ধারণ করে ১২৬.১৬ গড়ে করেছিলেন ৭২৪ রান!

স্কুল ভিত্তিক টুর্নামেন্টে আগুনে পারফরম্যান্সে জায়গা হয়ে গেল ত্রিনিদাদের অনূর্ধ্ব-১৬ দলে। সেখানে নিজের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতে থাকলেন তিনি। সময়ের সাথে সাথে নিজেকে তৈরি করে জায়গা করে নিলেন ওয়েষ্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। এর আগে ১৯৮৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুব চ্যাম্পিয়নশিপে ৪৯৮ রানের ইনিংসের মাধ্যমে কার্ল হুপারের ৪৮০ রানের রেকর্ডটি নিজের করে নেন লারা।

তখনো লারা ক্রিকেটে নতুন। ক্রিকেটের বরপুত্র তো দূরের কথা খেলাও হয়নি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে! কিন্তু সেই দুরন্ত লারার মাঝে ছিল নিজেকে প্রমাণ করার ক্ষুধা, ছিল বিশ্ব মঞ্চে নিজেকে চেনানোর নেশা। অবশ্য লারা পেরেছেন, পেরেছেন নিজের স্বপ্নকে পূরণ করতে।

প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে আগমন যখন হয় তখন ১৯৮৮ সাল! ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর হয়ে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয়ে গেল লারার। নিজের অভিষেক ম্যাচে নিজেকে খুব বেশি চেনাতে না পারলেও নিজের সেরাটা দিতে সময় নেননি তিনি। নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই সোই সময়ের সেরা বোলার ম্যালকম মার্শাল আর জোয়েল গার্নারের বিপক্ষে ৩০০ বলের মোকাবিলা করে খেলেছিলেন ৯২ রানের ইনিংস। সেদিন নিজেকে কিছুটা প্রমাণ,জানিয়ে দিয়েছিলেন, ক্রিকেট বিশ্ব তুমি প্রস্তুত হও আমি আসছি!

প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করতে থাকেন তিনি। এরই সাথে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-২৩ দলেও জায়গা পাকা করে নেন লারা। ঘরোয়া ক্রিকেট বলেন আর স্কুল ভিত্তিক ক্রিকেট বলেন, লারা যেন অনূর্ধ্ব-২৩ এও সেই সুপার ফর্মে। ভারতের বিপক্ষে উপহার দিলেন ১৮২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। এবার লারার উপর চোখ পড়লো বড়দের। নিজেকে প্রমাণের রাস্তাটা তখন অনেকটা কাছে চলে এল লারার।

ঘরোয়া ক্রিকেট বলেন আর অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে বলেন লারা তখন উড়তে থাকা পাখির মত! কি ছিলো না তার ব্যাটিংয়ে? অসাধারণ পারফর্ম আর দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা। সবকিছু মিলিয়ে লারা তখন নিজের কাজে মনোযোগী, হঠাৎ করে বাবার ফোন! জাতীয় দলে ডাক পেয়েছে তাঁদের লারা। কতোটা ভাগ্যবান হলে বাবার মুখে শুনতে পারেন জাতীয় দলে সুযোগের খবর! হ্যাঁ, লারাকে এই একটা দিক দিয়ে অনেক ভাগ্যবান বলায় যায়।

কিন্তু, কথায় আছে সুখতো সবার কপালে জোটে না, সবার ভাগ্য হয়না স্বপ্ন পূরণ করার। তেমনি ভাগ্য সহায়ক হয়নি লারার। জাতীয় দলে ডাক পাবার পরে খবর এল লারার বাবা দুনিয়ায় মায় ত্যাগ করেছেন। এমন সুখের সময় এমন দুঃসংবাদ শুনতে হবে সেটা হয়তো লারা কখনোই ভাবেননি। কিন্তু কি করার! এ তো বিধাতার পরীক্ষা মাত্র! বাবার মৃত্যুতে জাতীয় দলে ডাক পেলেও নিজেকে সরিয়ে নিলেন লারা।

আচ্ছা কি ভাবছেন! এখানেই লারা থমকে গেল! নাকি আবার নতুন করে উঠে দাঁড়ালো? উত্তর খুঁজুন… এবার উপরের শিরোনাম দেখুন, কি বুঝলেন? লারা কি থেমে যেতে পারে? না পারে না। তাইতো সবকিছু ভুলে আবারো ক্রিকেটে ফিরলেন লারা। জায়গা হল জাতীয় দলে।

সময়টা ১৯৯০ সাল!

পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে যায় সেই সময়ের তরুণ লারার। বাবার মৃত্যু লারাকে অনেকটা পিছিয়ে দিলেও ক্রিকেট থেকে দূরে রাখতে পারেনি। কিন্তু লারার জীবনে যে এমন দিন দেখতে হবে সেটা হয়তো নিজেও কখনো ভাবেনি! নিজের অভিষেক ম্যাচে করলেন ৪৪ এবং ৫ রান!

কিন্তু, এরপর যে মুদ্রার উল্টো পিঠটা দেখতে হল লারাকে। যেই লারা স্কুল ভিত্তিক বলেন আর ঘরোয়া ক্রিকেটে বলেন, সব জায়গায় রানের ফুলঝুরিতে মাতিয়ে রেখেছিলেন নিজেকে সেই লারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসে নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকলেন। কিন্তু কিছুতেই ফিরে পাচ্ছিল না সেই পুরোনো লারাকে। হয়তোবা বাবার অভাব তাকে পুরোনো দিনের স্মৃতিতে যেতে দিচ্ছিল না। তবে লারা কি দমে গিয়েছিল? নাকি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল। উত্তর খুঁজুন।

ক্যারিয়ারের দিকে তাকালে দেখতে পাওয়া যায় প্রায় তিন বছর কেটে গেলেও একটা সেঞ্চুরি অধরাই রয়ে গেছে। কিন্তু লারা তখনো ফুরিয়ে যায়নি। সব কিছুর একটা খারাপ দিক আছে, যেটি পার করে আসতে হয় সবাইকে! লারা ক্যারিয়ারে হয়তো সেটা শুরুতেই দেখতে পেয়েছিল। আসুন জানতে থাকি। ফিরে যাই লারার পুরোনো রূপে।

২.১.১৯৯৩!

নিশ্চয়ই ভাবছেন, এটা আবার কি? এটি কোনো রান সংখ্যা নয়, এটি ছিল লারার পুরোনো ফর্মে ফিরো আসার দিন। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া। লারা ফিরে পেলেন সোনালী অতীত। ফিরে গেলেন আবারো সেই দিনগুলোতে। তবে এবার নতুন করে। যেই লারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩ বছর পারি দিয়েও নামের পাশে যুক্ত করতে পারেনি একটি সেঞ্চুরি, সেই লারাকে তো তখন অচেনাই মনে হবে। কিন্তু সেদিন দেখা দিয়েছিল চেনা লারা। অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার ক্রেইগ ম্যাকডারমট, মার্ভ হিউজ, শেন ওয়ার্নদের তুলোধুনো করে খেলেছিলেন ২৭৭ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস। সেদিন সিডনি হয়ে উঠেছিল লারাময়!

এই শুরু এরপর থেকে লারাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দিতে হয়নি কঠিন পরীক্ষা। তবে লারার বিপক্ষে সেরা সেরা বোলারদের দিতে হয়েছিল পরীক্ষা। তবে এই যাত্রায় সেরা অবশ্যই লারা। কেননা একে একে ক্রিকেটের রেকর্ডগুলো তখন নিজের করে নিচ্ছিলেন লারা। ব্যাট হাতে পুরোনো স্মৃতি ফিরে পাওয়া লারার সামনে তখন ইংল্যান্ড! সেই ইংল্যান্ডের বোলারদের তুলোধুনো করে খেললেন ৩৭৫ রানের ইনিংস! ভেঙেছিলেন স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্সের ২৬ বছরের রেকর্ড!

৪৭৪ মিনিটের গল্প বলি এবার।

সময়টা ১৯৯৪ সাল। লারা তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ ভাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন। কিন্তু এই গল্পটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নয়। গল্পটা ঘরোয়া ক্রিকেটের, গল্পটা বিশ্ব রেকর্ডের! কেননা সেদিন ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে ডারহামের বিপক্ষে এজবাস্টনে লারা হয়ে উঠেছিলেন ভয়ংকর। ধারণ করেছিলেন রূঢ়মূর্তি! সেদিন বিপক্ষের বোলারদের পাত্তা না দিয়ে ৪২৭ বলের মোকাবিলায় করেছিলেন ৫০১* রান! যেখানে চিরচেনা মারমুখী লারার আগমন। সেদিন ৫০১ রানের মাঝে ছিল ৬২ টি চার আর ১০ টি ছক্কা! সব মিলিয়ে তখন ঘরোয়া ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্ব্বোচ্চ রানের ইনিংসটিও নিজের করে নিয়েছিলেন, যেটি আজ অবধি অক্ষত রয়েছে।

এক ইনিংসে ৪০০; সময়টা ২০০৪ সাল!

রেকর্ড ভাঙা যেন লারার অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল সেই সময়। কিছুদিন আগে সোবার্সের রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার পর সেটি ভেঙে দেন ম্যাথু হেইডেন! কিন্তু লারা সেটি মেনে নিতে পারছিল না। তাইতো ব্যাট হাতে ফিরলেন চিরচেনা রূপে। এক পায়ে ভর দিয়ে খেলা চোখ ধাঁধানো পুল শটগুলো দিয়ে সেদিন লারা উপহার দিলেন ৪০০ রানের ইনিংস! কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হবার কিছুই নেই, লারা একমাত্র ক্রিকেটার যিনি আন্তর্জাতিক টেস্টে এক ইনিংসে ৪০০ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন। সেদিন লারা শুধু ম্যাথুর রেকর্ড ভাঙেননি, গড়েছিলেন নতুন রেকর্ড। নাম লিখিয়েছিলেন রেকর্ড পাতায়।

সাদা পোশাকের মত রঙিন পোশাকেও লারা ছিলেন দুর্দান্ত পারফর্মার। ওপেনিং থেকে শুরু করে ৯ নাম্বার পজিশনেও ব্যাটিং করার রেকর্ড আছে তার, মাঝে ৮ নাম্বার পজিশনে কখনোই ব্যাটিং করা হয়নি তার। এই পজিশন গুলোর মাঝে সেরা পারফর্ম ছিল ওয়ান ডাউনে। ক্যারিয়ারে ১৩০৮৭ টি বলের মোকাবিলায় ডাক মেরেছেন ১৬ বার, বাউন্ডারি ছিল ১০৩৭ টি এবং ছক্কা ছিল ১৩৩ টি! এই কারণে সেই সময়ে লারাকে মারমুখী ব্যাটসম্যান হিসেবেই চিনতো সবাই।

একজন লারাকে নিয়ে লিখে শেষ করা যাবে না। তবে কিছু রেকর্ড তো বলায় যায়; আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক লারার কিছু রেকর্ড।

  • ঘরোয়া ক্রিকেটে এক ইনিংসে ৫০০+ রান করা একমাত্র ব্যাটসম্যান লারা।
  • আন্তর্জাতিক টেস্টে এক ইনিংসে ৪০০+ রান করা একমাত্র ক্রিকেটার লারা।
  • টেস্টে দুটি ৩৫০+ রানের ইনিংস খেলা একমাত্র ব্যাটসম্যান লারা।
  • ক্যারিয়ারে দুটি কোয়াড্রুপল সেঞ্চুরি পাওয়া দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান লারা।
  • সর্বোচ্চ ইনিংসের বিশ্বরেকর্ড দুবার ভাঙা একমাত্র ব্যাটসম্যান লারা।
  • অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ টেস্ট স্কোরের মালিক লারা।
  • ওয়েষ্ট ইন্ডিজের পক্ষে টেস্টে সর্ব্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড লারার দখলে।
  • টেস্ট খেলুড়ে সব দেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি রয়েছে লারার(নতুন বাদ দিয়ে)
  • একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরির বিরল রেকর্ডের মালিক লারা।
  • ইনিংস বিবেচনায় টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম ১০ ও ১১ হাজার রান করার রেকর্ড লারার।
  • এক সেশনে সেঞ্চুরি করা ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান ছিলেন লারা।
  • ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দলের রানের ৪২% রান করে বিশ্বরেকর্ড করেন লারা।
  • পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন বছরে ১,০০০ টেস্ট রান করার বিরল রেকর্ডের মালিক লারা।

এমন অনেক রেকর্ডের সাক্ষী হয়ে আছেন লারা। যেইগুলা তাকে রেকর্ডের বরপুত্র বানিয়ে দিয়েছে। তবে লারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাদা পোশাককে বিদায় বলে দেন ২০০৬ সালে! তবে চালিয়ে যান ওয়ানডে ক্রিকেট। অবশ্য নিজের শেষ ম্যাচটি দেশের মাটিতে খেলার ভাগর হয়েছিল তার। যদিও শেষটা রঙ্গিন ছিল না। বরপুত্র তার বিদায়ী ম্যাচে খেলেছিলেন ১৮ রানের ইনিংস।

এক নজরে ২২ গজের পারফরম্যান্স

  • টেস্ট ক্রিকেট: ওয়েষ্ট ইন্ডিজের পক্ষে ২৩২ ইনিংসে সর্ব্বোচ্চ ৪০০* রানে ৫২.৮৯ গড়ে করেছিলেন ১১,৯৫৩ রান! যেখানে ছিলো ৩৪ সেঞ্চুরি, ৯ টি ডাবল সেঞ্চুরি, ১ টি ট্রিপল সেঞ্চুরি এবং একটি ৪০০ রানের ইনিংস!
  • ওয়ানডে: ২৮৯ ইনিংসে ব্যাট করে ৪০.৪৯ গড়ে ১৯ সেঞ্চুরির সাহায্যে করেছিলেন ১০,৪০৫ রান। যা তাঁকে সেরাদের কাতারে রাখতে বাধ্য করেছিল। টেস্টের মত এই ফরম্যাটেও ছিলেন রেকর্ডের বরপুত্র। ক্যারিয়ারে ছিল ৬৩ টি হাফ সেঞ্চুরি!
  • লিস্ট এ: ৪২৯ ম্যাচে ৩৯.৪৭ গড়ে সর্ব্বোচ্চ ১৬৯ রানে ২৭ সেঞ্চুরি এবং ৮৬ হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে করেন ১৪,৬০২ রান!
  • প্রথম শ্রেণি: ২৬১ ম্যাচে সর্ব্বোচ্চ ৫০১* রানে মোট ৬৫ সেঞ্চুরি এবং ৮৮ হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে ৫১.৮৮ গড়ে করেন ২২,১৫৬ রান।

লারাকে নিয়ে বলার আসলে কোনো শেষ নেই। তাঁকে নিয়ে লিখতে গেলে লিখতে হবে উপন্যাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link