মাইন্ড ইওর লিমিট, স্মিথ!

ব্যাটিং আর স্লেজিং উভয় ক্ষেত্রেই বেশ পারদর্শী বিরাট কোহলি। প্রতিপক্ষের ঊর্ধ্বমুখী আত্মবিশ্বাসকে মুহূর্তেই ধসিয়ে দিতে কোহলির জুড়ি মেলা ভার। তাঁর স্লেজিং থেকে রেহাই পায়নি অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথও।

আজকাল স্টিভ স্মিথ আর বিরাট কোহলির মধ্যে বেশ বন্ধু-সুলভ সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়। তবে কয়েক বছর আগেও তাঁদের মাঝে এমন সম্পর্ক ছিল না। বরং উভয়ই ছিলেন কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী। শুধু ব্যাটেই সীমাবদ্ধ ছিল না তাঁদের প্রতিযোগিতা। বরং স্লেজিং আর ঠাট্টা দিয়েও চলত একে অপরকে ঘায়েল করার চেষ্টা।

২০১৪-১৫ সালের বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে এই দুই ক্রিকেটার কয়েকবার জড়িয়ে যান বাক-বিতণ্ডায়। তাঁর মধ্যে একটা ঘটনা সবারই নজর কেড়েছে। এ্যাডিলেডে  প্রথম টেস্টের  চতুর্থ দিনে ব্যাটিং করছিলেন স্মিথ। আর বোলিংয়ে ছিলেন রোহিত শর্মা। একটা বলে রোহিত এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করে। তবে আম্পায়ার তা নাকোচ করে দেন।

রোহিত ভেবেছিলেন তিনি স্মিথকে আউটই করে ফেলেছেন। তাইতো আনন্দে উল্লাস শুরু করে। তাঁর এই অঙ্গভঙ্গি স্মিথের মোটেও ভাল লাগেনি। তিনিও অসন্তোষজনক ভাব দেখান। তবে স্মিথের এই ভাব দেখানো কোহলির মোটেও ভাল লাগেনি।

তাইতো ভারতের সাবেক এই রগচটা অধিনায়ক স্মিথের দিকে তেড়ে আসেন। আর বলেন, ‘নিজের সীমার মধ্যে থাকো।’ উভয়ই সংঘর্ষে জড়ানোর আগেই মাঠের আম্পায়ারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ভাল-খারাপ, অভিজ্ঞ- অনভিজ্ঞ কম বেশী সব খেলোয়াড়ই আশ্রয় নেয় স্লেজিংয়ের। কেননা , স্লেজিংয়ের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের মানসিকতা ভেঙ্গে দেয়া হয়। যার ফলে খেলার গতি নিয়ন্ত্রণ নেয়া সহজ হয়। যদিও আইসিসি প্রণীত আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঝুঁকি থেকেই যায়। খেলোয়াড়দের সেই ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link