অজিদের দূর্গে লাল বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানের সুখস্মৃতি নেই বললেই চলে। অতীতের এই দুঃস্মৃতির ইতিহাস বদলাতে আগামী ১৪ ডিসেম্বর পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাবর-সরফরাজরা। তবে অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে যে পাকিস্তানি ব্যাটাররা তেমন সুবিধা করতে পারবে না, এমন একটা ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যই করেছেন স্টিভেন স্মিথ।
অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটারের মতে, পার্থের পিচে ঘাস থাকবে। যার কারণে পেসাররা পেস মুভমেন্ট পাবে বেশি। যা ব্যাটারদের জন্য খেলা বেশ কঠিন হবে।
এ নিয়ে ফক্স স্পোর্টসে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টিভেন স্মিথ বলেন, ‘পার্থের পিচের আচরণটাই এমন৷ বাউন্সি পিচে পেসাররা সুবিধা পাবে নিশ্চিতভাবেই। তাছাড়া কয়েকদিন খেলা গড়ালেই পিচে ফাটল ধরতে শুরু করবে। তখন পেসারদের পেস সামলানো আরো কঠিন হবে।’
এরপর উপমহাদেশের কন্ডিশনের কথা টেনে এ ব্যাটার বলেন, ‘আমি পাকিস্তানে খেলেছি। সেখানকার পিচ এতটা বাউন্সি না৷ বল নিঁচু হয়ে আসে। আর উপমহাদেশের খেলোয়াড়রা এমন পিচে খেলতেই অভ্যস্ত। আশা করছি, আমাদের পেসাররা বাউন্সি পিচের সুবিধা আদায় করতে নিতে পারবে। পাকিস্তানি ব্যাটারদের জন্য খেলাটা কঠিন হবে।’
স্টিভেন স্মিথ অবশ্য ভুল কিছু বলেননি। ২০১০ এর পরের হিসেব বলছে, গত ১৩ বছরে পাকিস্তানের কোনো ব্যাটারই সেভাবে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। এবারের সিরিজে দলে থাকা পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপের অন্যতম ভরসা বাবর আজম অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৫ ম্যাচে ১০ ইনিংসে মোটে ২৭৮ রান করতে পেরেছেন।
দলের আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার সরফরাজ আহমেদ ৪ ম্যাচের ৮ ইনিংসে অজি কন্ডিশনে ২৩২ রান করেছেন। ব্যাটিং গড় ৩৮.৬৬ হলেও তা পাকিস্তানের হয়ে কাজে এসেছে খুব কমই। একই চিত্র পাকিস্তানের বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদেরও। বাঁহাতও এ ব্যাটার অস্ট্রেলিয়ায় খেলা ২ ম্যাচের ৪ ইনিংসে করেছেন ১৫৬ রান।
অর্থাৎ পুরো চিত্রই বলে দিচ্ছে, অজিদের মাটিতে কেউই আহামরি পারফর্ম করেননি। এই কন্ডিশনে তাই কামিন্স, স্টার্কদের সামনে চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে হবে পাকিস্তানি ব্যাটারদের। গড়পড়তা এই ব্যাটিংয়ের ইতিহাস বদলাতে পারলেই তবে অতীত দুঃস্মৃতি কাটিয়ে অজিদের দূর্গে সফলতার স্মৃতিচিহ্ন আঁকতে পারবে বাবর আজমরা।