ক্ষয়ে যাওয়া আশা তবু পুরোটা ফুরায়নি

আর্জেন্টাইনরা স্প্যানিশে জীবনকে বলে লা ভিদা। লড়াইকে বলে এল এসফুয়ার্জো। আমরা জীবন মানে ফলাফলহীন এক অনন্ত লড়াই বুঝেছি। আমরা বোকার হদ্দ। আমরা জীবনের ভাঙা ভাঙা টুকরোগুলো জুড়ে জুড়ে এগোতে থাকি, পরের লাইনটা মনে মনে জাপটে ধরি – ‘ক্ষয়ে যাওয়া আশা তবু পুরোটা ফুরায়নি।’

১.

আর্জেন্টিনার যে কোনো শহরে পায়ে হেঁটে ঘুরলে মনে হবে যেন মাদ্রিদের রাস্তা ধরে হাঁটছে কেউ। যদিও ইউরোপের বড় শহরের রাস্তাঘাটের সাথে বুয়েনস আয়ার্স, কর্ডোবা বা রোজারিওর রাস্তার ব্যকরণগতভাবে কোনো মিল নেই। পুরো শহরগুলিই ঢালু, উঁচু নিচু, গলি। কিন্তু ভাষা বড় বালাই।

আর্জেন্টিনার পুরোনো ভাষা হিসেবে গুরানি বা কেচুয়া থাকলেও মূলত আর্জেন্টাইনরা স্প্যানিশেই স্বচ্ছন্দ। ফলে শহরের আনাচে কানাচে এই স্প্যানিশ ঔনিবেশিকতার ছাপটা সুস্পষ্ট। আর্জেন্টিনার ঘিঞ্জি অঞ্চল ছাড়িয়ে এগোতে থাকলে ছোটো ছোটো মাঠ নজরে পড়ে। সেখানে বিশাল হাঁড়িতে ফোটানো হচ্ছে মাংস আর আলু। সেদ্ধ খাবার। ছোটো ছোটো ক্লাবের উদ্যোগে ফুটবল প্র‍্যাকটিস করে ছেলেরা।

এদের বেশিরভাগই স্কুলছুট, কেউ কেউ ব্রুকলাইন কারখানার চাকুরে। শহরের গা ঘেঁষে মূলত ফুড প্রসেসিং আর টেক্সটাইলের বড়বড় কারখানা। লাতিন আমেরিকা থেকে জাহাজে ইউরোপে চলে যায় জ্যাম-জেলি-চামড়ার সরঞ্জাম।

কিন্তু এসব তো নগন্য। আর্জেন্টিনার যে সম্পদটি সবচেয়ে সুলভে বিক্রি হয়ে যায় ইউরোপে তা হল ফুটবলার। স্প্যানিশ কলোনিগুলোয় সন্ধ্যে নেমে এলে টিমটিমে আলোয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে কয়েকটা মুরাল পেইন্টিং। পলেস্তারা খসা দেওয়ালে বিশাল বিশাল অবয়ব।

দেওয়ালে খোদাই হয়ে থাকেন ডিয়েগো মারাদোনা, কার্লোস তেভেজরা। রাতের অন্ধকারে হলদে আলোর নিচে চলে ২ বা ৩ পেসোর বিনিময়ে বল জাগলিং। আর স্ট্রিট ফুটবল? আর্জেন্টিনার কুখ্যাত স্ট্রিট ফুটবল নিয়ে রয়েছে অজস্র উপকথা। গরিব কলোনিগুলোয় পেরেক ছড়ানো গলিতে খালিপায়ে বল ড্রিবল করার মতো ভয়ংকর খেলাও হত একসময়ে। সে নিয়ে পরে বিস্তারিত আড্ডা হতেই পারে কখনো।

আর্জেন্টিনার ফুটবল মানেই একটা মনখারাপ। একটুর জন্য কতকিছু হয়নি। সুমনের গান। একদল বোকার হদ্দ যারা বহুকাল জেতে না কিছুই, আর্জেন্টিনা এই বোকাদের দেশ, আর্জেন্টিনা ফুটবলের দেশ। ব্রাজিলের থেকে একেবারে স্বতন্ত্র। ফুটবল এখানে নৃশংস, আবার সুন্দরও। আর্জেন্টিনা একগুঁয়ে, জেদি মানুষের দেশ।

২.

২০০৬ সাল। জার্সিটা মুখের কাছে তুলে দাঁড়িয়ে আছেন রিকেলমে। ভিলারিয়াল বনাম আর্সেনাল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল। প্রথম লেগে ১-০ গোলে হাইবুরিতে নিজেদের ঘরের মাঠে জেতে আর্সেনাল। দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে দুর্দান্ত খেলেও গোল তুলতে পারেনি ভিলারিয়াল। ৮৮ মিনিটে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। পেনাল্টি পেল ভিলারিয়াল। স্পটে বল বসিয়ে তৈরী দলের একনম্বর তারকা জুয়ান রোমান রিকেলমে।

কিন্তু, সকলকে অবাক করে দিয়ে গোলকিপার লেম্যানের হাতে জমা করে দিলেন মহামূল্যবান পেনাল্টিটা। স্টেডিয়ামের সমস্ত উচ্ছ্বাস পালটে গেল হতাশায়। রিকেলমে যেন নিজের হাতে তৈরী সৌধ নিজেই ভেঙে দিলেন মুহূর্তে। লাতিন আমেরিকান গন্ধে ভরিয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে তুললেন ভিলারিয়ালকে, আর কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে নিজেই সেই খেতাবের স্বপ্ন ভেঙে দিলেন তাসের ঘরের মতো!

১৯৯৬ সালে আর্জেন্টিনার বোকা জুনিয়র্সে হুয়ান রোমান রিকুয়েলমে এসেছিলেন অদ্ভুত একটা পরিবেশ থেকে। শৈশবের প্রবল দারিদ্র‍্য নিয়ে লেখালিখি কম হয়নি। বোকা জুনিয়ার্সে প্রাথমিকভাবে রিকেলমের আসাটা ছিল কিছুটা পেটের তাগিদেই। ক্যাম্পে ভালো খেতে পাবার আশায়৷ যদিও আর্জেন্টাইন ফুটবলে এটা নতুন কিছু না। কিন্তু তারপর তাঁর ফুটবল হয়ে উঠল ঘোরতর আর্জেন্টাইন।

লাতিন আমেরিকার ফুটবলে দুজন স্ট্রাইকারের পিছনে দোদুল্যমান প্লে-মেকারের যে চেনা পজিশন তাকে বলে ‘এনগ্যাঞ্চ’, ম্যারাডোনার পর ঐ কোমড়ের দোলনে সামনে বল বাড়ানোর অভাবনীয় মুন্সিয়ানা রিকেলমেকে তকমা দিয়ে দিল ‘সেকেন্ড ম্যারাডোনা’র। টানা ছয় বছর খেলে বোকা জুনিয়র্সে রিকুয়েলমে হয়ে উঠলেন আর্জেন্টিনার সম্পদ। কিন্তু তিনি অদ্ভুত শ্লথ।

বল রিসিভ করার পর দোলনের ছন্দ থাকলেও তা সামনে বাড়ানো অবধি ক্রমাগত সফট টাচ করে করে এগোন। বল বেদখল হলেও ট্র‍্যাকব্যাকের বালাই নেই। বহুচেষ্টাতেও রিকেলমে পাল্টাননি। রিকেলমে বলেন বল পাওয়ার পর একজন প্লেয়ারের প্রথম কাজ স্পেসকে খোঁজা, স্পেসকে ব্যবহার করা এবং স্পেসের হদিশ বিপক্ষ পাওয়ার আগেই সেখানে নিজের পরিকল্পনাকে বুনে দেওয়া।

গতি এখানে প্রাথমিক হতে পারে না কখনোই। এ যেন লাতিন আমেরিকার নিজস্ব ঘ্রাণ। জেদও বটে। নিজের অন্ধকার জীবন থেকে ক্রমেই তারকা হয়ে উঠছেন রিকেলমে তখন আবার বিপর্যয়। আর্জেন্টিনায় মাফিয়াদের হাতে কিডন্যাপ হয়ে গেলেন তাঁর ভাই। বিরাট মুক্তিপণের দাবি এল তাঁর কাছে। কোনোমতে ভাইকে মুক্ত করার পরই তিনি বাধ্য হলেন নিজের ভিটে ছেড়ে ইউরোপে পাড়ি দিতে। ১০ মিলিয়নের চুক্তিতে পা পড়ল বার্সেলোনায়।

বার্সায় তখন কোচ নেদারল্যান্ডসে লুই ভ্যান গাল। রিকুয়েলমেকে জোর করে খেলালেন উইঙ্গারে। জেদি রিকেলমে যেন প্রত্যাখ্যান করলেন ইউরোপের ইম্পোজিশন। ফলে শুরু হল বিবাদ৷ লাতিন আমেরিকা থেকে ইউরোপে এসে ক্রমেই একা হয়ে পড়ছিলেন রিকেলমে। ইউরোপে রীতিমতো টিটকিরি দেওয়া শুরু হল তাঁর খেলা নিয়ে। মন্থর ম্যাটাডোর বলে দেগে দিল এক স্প্যানিশ পত্রিকা।

রাতের পর রাত জেগে থাকতেন রিকেলমে। ইউরোপ যখন ক্রমেই তাঁর ফুটবলীয় শামিয়ানার জাল ছিঁড়ে দিতে বদ্ধপরিকর তখনই তাঁর জীবনে এলেন একজন। ম্যানুয়াল পেলেগ্রিনি। ভিলারিয়ালের তৎকালীন কোচ দলে নিলেন রিকেলমেকে। সেবার ভিলারিয়ালে পেলেগ্রিনির দলে ছিলেন মার্কাস সেনা,পাওলো সোরিন, ডিয়েগো ফোরল্যানের, ফিগুয়েরার মতো প্লেয়ার।

পেলেগ্রিনি লাতিন আমেরিকান ম্যাজিকস্টিকে শুরু করলেন জাদু। রিকেলমেকে দিলেন তাঁর প্রিয় পজিশন। ফোরলান আর ফিগুয়েরোর পিছনে রিকুয়েলমের গোটামাঠ জুড়ে রূপোলি পাসের খেলা মনভরিয়ে দিল স্প্যানিশ দর্শকদের। রিকেলমের হাত ধরেই সেবার ডিয়েগো ফোরলান জিতলেন ইউরোপের গোল্ডেন বুট। লা লিগায় তৃতীয় স্থানে শেষ করল ভিলারিয়াল। ইউসিএলে পরেরবার রিকুয়েলমের হাত ধরেই তারা উঠে এল সেমিফাইনালে।

২০০৬ বিশ্বকাপে রিকেলমের জীবনে এসেছিলেন আরেকজন কোচ। হোসে পেকেরম্যান। সেবার বিশ্বকাপের আগে ফের একবার রিকেলমের মন্থর খেলা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। কিন্তু পেকেরম্যান জানতেন রিকেলমের আসল খেলার ভেতরেই বেঁচে আছে আর্জেন্টাইন সুবাস। এই চৌকো মাঠে প্রতিপক্ষ অর্ধে স্পেস ক্রিয়েট-স্পেস ইউটিলাইজ-এর দাবার বোর্ডে প্রতিপক্ষের হাফব্যাকের ওপর রিকুয়েলমেকে ব্যবহার মানে ওর হাতেই থাকবে ম্যাচের গতি নিয়ন্ত্রণের ভার।

গ্রুপ স্টেজ থেকে পেকারম্যানের আর্জেন্টিনা খেলতে শুরু করল এক অদ্ভুত ফুটবল। লাতিন আমেরিকার ফুটবল সুবাসে ম ম করে উঠল বার্লিন। সার্বিয়া-মন্টেনেগ্রো ম্যাচে সেই ঐতিহাসিক ২৪ পাসের গোলের পর সবাই যখন ক্যাম্বিয়েসোর দিকে ছুটছিলেন, স্থপতি রিকুয়েলমে নি:শব্দে জড়িয়ে ধরেছিলেন পেকেরম্যানকে। রিকেলমের প্রতি এই পক্ষপাতিত্ব পছন্দ ছিল না জার্মান মিডিয়ার।

বিশ্বকাপ চলাকালীন তাঁকে বলে হল – ‘পেকারম্যানের ছেলে’, কিন্তু প্রতিটা তির্যক আক্রমণের জবাব রিকেলমে নি:শব্দে দিচ্ছিলেন জার্মানির মাঠে। বিশ্বকাপের সর্বাধিক আসিস্টে তাঁর নাম। কিন্তু ঐ যে, আর্জেন্টিনার ফুটবল মানেই একটুর জন্য কতকিছু হয়নি। জার্মানির সাথে এই পেকেরম্যানই নিজের সন্তানতূল্য রিকেলমেকে তুলে নিলেন মাঠ থেকে। কারণ? আজও জানতে পারেনি কেউ। মিডিয়ায় পরদিন লেখা হল- পেকেরম্যানের ঐতিহাসিক ভুল, রিকেলমেকে তুলে নিতেই জার্মানির হাতে চলে গেল মাঝমাঠের রাশ!

২০০৭, ফের কোপা আমেরিকা ফাইনাল হার। রিকেলমে ফের একবার আর্জেন্টিনার ব্যর্থতার ক্রুশকাঠ তুলে নিলেন কাঁধে।

রিকেলমের জীবন আসলে অতৃপ্তির শূন্য গ্যালারি, প্রতিটি সম্ভাবনার অভিমুখ বেঁকে গেছে নিষ্ঠুর পরিহাসের দিকে। আসলে জুয়ান রোমান রিকেলমে একজন মানুষ যার ভেতরে খোলামকুচির মতো ভরা আছে আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসের যাবতীয় জিন। জেতার চেয়েও বড়, না জিততে পারার হতাশাকে কবচের মতো বেঁধে নেওয়া। রিকেলমের জন্ম ভিটের পাশে তাঁর একটি বিখ্যাত উক্তি খোদাই করা আছে বহুবছর ধরেই-

‘বলে শট কিংবা বল কন্ট্রোল, এ আমাদের অর্জিত শিক্ষা কিন্তু একটি খেলায় মাঠের প্রতিটি কোণায় কী রহস্য প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে তাকে মস্তিষ্কে বুনে ফেলার শক্তি ঈশ্বরপ্রদত্ত, আমরা এখানে সামান্য মানুষ মাত্র।’

৩.

যে শটটা ৩২ বছরের ব্যর্থতা মুছে দিতে পারত তা উড়ে গেল বারপোস্টের অনেকটা উঁচু দিয়ে। হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাস বলে এর আগে বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, কনফেডারেশন মিলিয়ে এতবার ফাইনাল খেলে হেরে যেতে হয়নি কোনো দলকে। যে মুহূর্তে মেসি অবসর ঘোষণা করলেন সেদিন রাতে একটি খোলা চিঠিতে ছোট্ট একটা বয়ান দিয়েছিলেন এক ভদ্রলোক৷ তাতে লেখা ছিল- ‘No Leo,you can’t quit now, not this way.’

একজন বলেছিলেন মেসিই পারবে। আর্জেন্টিনাকে সাফল্যের রাস্তায় নিয়ে আসতে ও পারবে। আর যদি না পারে তাহলে প্রতিটি ব্যর্থতাকে সহ্য করার যন্ত্রণা ও ওকে পেতে হবে। এই বিশাল রাস্তাটায় হাঁটার সৌভাগ্য সকলের হয় না। মেসির সাফল্যের চেয়েও প্রতিটি ব্যর্থতায় তিনি খুঁজেছেন আলো। তিনি হুয়ান রোমান রিকুয়েলমে।

অদ্ভুতভাবে দুজন চরমতম ব্যর্থ আর্জেন্টাইনের জন্মদিন একই দিনে। লিওনেল মেসি এবং জুয়ান রোমান রিকুয়েলমে। মেসির সাফল্য নিয়ে আজ অনেক কথা হল সারাদিন। কিন্তু মেসির সাফল্যের ছাঁচের নিচে আলো হয়ে থাকবে তার সাদাকালো ব্যর্থতাগুলো।

জুয়ান রোমান রিকেলমে জানেন মেসি মুখ খুলে জাতীয় সংগীত না গাইতে পারলেও তাঁর কলজের ভেতর নীলসাদা যন্ত্রণা বেঁধেই দিয়েছেন ফুটবল ঈশ্বর। নিজের জীবন দিয়ে জানেন। আর্জেন্টিনা একদল জেদি-একগুঁয়ে মানুষের দেশ। সাফল্য আর ব্যর্থতাকে উল্টেপাল্টে পড়া এক পুরোনো পাণ্ডুলিপির দেশ। হুয়ান রোমান রিকুয়েলমে-লিওনেল মেসিরা বারে বারে ফিরে আসবেন পরের ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে। ব্যর্থতাই মানুষকে পরিণত করে। প্রতিটি ব্যর্থতাই সাফল্যের উল্টোপিঠ। রিকেলমে যখন পড়ন্ত সূর্য তখন আর্জেন্টিনার আকাশে আলো হয়ে ফুটছেন তরুণ মেসি।

সাফল্যের উত্তরাধিকার না হলেও যন্ত্রণার উত্তরাধিকার হয়। এই ছবিটা তার প্রমাণ। আজ দুজন এমন মানুষের জন্মদিন যাঁদের সাথে লেপে আছে আর্জেন্টাইন ফুটবলের কোটি কোটি সমর্থকের একটার পর একটা স্বপ্নভঙ্গের রাত। এমন দুজন মানুষের জন্মদিন একই যাঁদের জীবন উল্টেপাল্টে দেখলে এক বিরাট উপন্যাসের শেষ পাতায় এসে লেখা থাকে সেই চেনা গানের লাইনটা –

‘একটুর জন্য কতকিছু হয়নি…’

আর্জেন্টাইনরা স্প্যানিশে জীবনকে বলে লা ভিদা। লড়াইকে বলে এল এসফুয়ার্জো। আমরা জীবন মানে ফলাফলহীন এক অনন্ত লড়াই বুঝেছি। আমরা বোকার হদ্দ। আমরা জীবনের ভাঙা ভাঙা টুকরোগুলো জুড়ে জুড়ে এগোতে থাকি, পরের লাইনটা মনে মনে জাপটে ধরি – ‘ক্ষয়ে যাওয়া আশা তবু পুরোটা ফুরায়নি।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...