এলিমিনেটরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে দাঁড়াতেই দেয়নি ফরচুন বরিশাল। প্রথম ইনিংসে বোলারদের দাপটের পর অধিনায়ক তামিম ইকবাল নিজে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন। তাঁর অনবদ্য এক হাফ সেঞ্চুরিতে ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলো বরিশাল।
এদিন ৪৩ বলে ৫২ রান এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে, কোন ছক্কা না হাঁকালেও এই রান করতে তিনি মেরেছেন নয় নয়টি চার। নান্দনিক সব কভার ড্রাইভে মিরপুরের গ্যালারি মাতিয়ে রেখেছিলেন এই ওপেনার। ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে অবশ্য শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে আল আমিন হোসেনকে তিনটি হাঁকিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আজকের দিনটা তাঁরই।
অন্যপ্রান্তে ঝড় তুলেছিলেন কাইল মায়ার্স, এই উইন্ডিজ তারকার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই রান তুলেছেন বরিশাল দলপতি। দু’জনের দাপটে পাওয়ার প্লেতেই ৭৩ রান জমা হয় স্কোরবোর্ডে। হাফসেঞ্চুরি করে মায়ার্স ফিরলে ভাঙ্গে তাঁদের ৫৪ বলে ৯৮ রানের জুটি।
সঙ্গী আউট হলেও অবিচল থাকেন খান সাহেব। ডেভিড মিলার এবং মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়ে দলের তরী বন্দরে ভেড়ান তিনি। এর আগে অবশ্য ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি, বিপিএলের এবারের আসরে এটি তাঁর তৃতীয় পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস।
সবমিলিয়ে চলতি টুর্নামেন্টে দারুণ ছন্দে আছেন এই বাঁ-হাতি। এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচ খেলে ৪৪৩ রান করেছেন তিনি, যেখানে তাঁর ব্যাটিং গড় ৩৭! প্রায় প্রতি ম্যাচেই দলকে ভাল সূচনা এনে দিচ্ছেন; বলা চলে আরাধ্য ট্রফি জয়ের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন।
সর্বোপরি ৪৩ বলে ৫২ – স্ট্রাইক রেট ১২০! অথচ একটা পর্যায়ে ২১ বলে ৩৬ রান করেছিলেন তিনি। অর্থাৎ শেষ ১৬ রান করতে ২২ বল খেলতে হয়েছে তাঁকে। ছোট লক্ষ্যে জয় নিশ্চিত হয়েছে বলেই রয়ে সয়ে খেলেছেন, ম্যাচ শেষ করেই ফিরতে চেয়েছেন।
স্ট্রাইক রেট দিয়ে কোন ইনিংসকে বিবেচনা কেন করা উচিত নয়, তার প্রামাণ্য হতে পারে তামিমের ইনিংস। ইনিংসের শুরুতে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে চট্টগ্রামকে খেলায় ফেরার পথ বন্ধ করেছেন, জয় নিশ্চিত হওয়ার পরে ঝুঁকি না নিয়ে খেলা শেষ করে এসেছেন।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বরিশালের সমর্থকরা নিশ্চয়ই এমন তামিমকেই দেখতে চাইবেন। দলের প্রয়োজনে প্রথমেই আক্রমণাত্মক হবেন, দলের প্রয়োজনেই ইনিংসের মাঝপথে আক্রমণাত্মক থাকবেন কিংবা রক্ষনশীল হবেন।