তিনি মিডিয়াম পেস বোলার ছিলেন। সাথে ব্যাটেও রান ছিল। পুরোদস্তর অলরাউন্ডার। অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দিয়েই ১৯৯৯ বিশ্বকাপে হারিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। তবে, একটা অজানা তথ্য জানালেন, খালেদ মাহমুদ সুজন নিজেই। বললেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রয়োজনে কখনো কখনো অফস্পিনও করতেন।
সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের নিয়ে শুরু হয়েছে এলসিটি টেন ডট টেন লিজেন্ড’স চ্যাম্পিয়ন’স ট্রফি। টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, খালেদ মাহমুদ সুজন, আকরাম খান, নাঈমুর রহমান দূর্জয়, খালেদ মাসুদ পাইলট, হাবিবুল বাশার সুমন ও মোহাম্মাদ রফিকের মতো সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা।
অনেক দিন পর কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবারো এক সাথে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা। তাই সবার সাথে আবারো মাঠে নামতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি জানিয়েছেন এখানে খেলতে এসে ছোট বেলার কথা মনে পড়ছে তাঁর।
সুজন বলেন, ‘একটা গেট টুগেদার হচ্ছে। অনেক বছর একসাথে কাটাইছি, খেলছি। এখন ব্যস্ততার কারণে অনেকের সাথে দেখা হয় না। এই টুর্নামেন্টটা হইলে সবার সাথে দেখা হয়, কথা হয়, ছোটবেলার কথাগুলো মনে পড়ে। নিজেদের মধ্যে কথা বলি, অনেক নস্টালজিক হয়ে যাই আমরা।’
দীর্ঘ দিন পর মাঠে ফিরলেও নিবেদনে কোন কমতি নেই খালেদ মাহমুদ সুজনের। ব্যাটিংয়ে ওপেন করছেন, বোলিংয়ে স্পিন পেস দুটোই করছেন। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১ উইকেট পাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ২ ওভার বল করে মাত্র ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। ম্যাচ শেষে সুজন জানিয়েছেন শরীর সাপোর্ট না দিলেও মানসিক তাড়া থেকেই এখনো মাঠে লড়াই করছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘মাঠে আসলে অবশ্যই আমরা লড়াইয়ের চেষ্টা করি, তবে সবার সাথে দেখা হওয়াটাই মূল প্রায়োরিটি। এখন তো বয়স হয়ে গেছে, আগের মতো আর পারা যায় না। তবু চেষ্টা থাকে ফাইট করার। হ্যাঁ (ভেতর থেকে ফাইট দেয়ার তাড়না) তো আসেই। শরীর ওভাবে পারমিট করে না। কিন্তু মানসিকভাবে তো তাড়না আসেই, সেই চেষ্টাটাই থাকে। কিন্তু ফিজিক্যালি পারমিট করে না।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খালেদ মাহমুদ সুজনকে মিডিয়াম পেসার হিসেবেই চিনতো সবাই। তবে চলতি লিজেন্ড’স চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অফস্পিন বোলিং করতেও দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সুজন জানিয়েছেন ম্যাচের পরিস্তিতি বিবেচনা করেই মাঝেমাঝে অফস্পিন করছেন তিনি। এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটেও করেছেন।
তিনি বলেন,‘আমি তো অফস্পিনার ছিলাম না। কিন্তু ফার্স্ট ক্লাসে আমার অফস্পিনে পাঁচ উইকেট আছে, এগেইন্সট রাজশাহী। তবে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান আসলে অফস্পিন করতে পছন্দ করি। তখনও করতাম। কারণ, বাঁ-হাতির জন্য কঠিন হবে খেলা।’