বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে বর্তমান পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন স্বনামধন্য কোচ, ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তিনি মনোয়নপত্র সংগ্রহ করার পর সুজন সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রত্যাশা করে জানিয়েছেন এখন তাদের ভালো মন্দ কাজের মূল্যায়ন হবে।
ক্যাটাগরি তিন থেকে পরিচালক পদে নির্বাচন করবেন সুজন। এই ক্যাটাগরিতে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, সাবেক ক্রিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা বোর্ড, বিকেএসপি, ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কেয়াব) ও আম্পায়ার্স বোর্ডের কাউন্সিলররা নির্বাচন করতে পারেন।
তবে মনোয়নপত্র বিতরণের প্রথম দিন সুজন ছাড়া আর কেউ এই পদে নির্বাচন করার জন্য মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেন নাই। ধারণা করা হচ্ছিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচিত হবেন সুজন। তবে আজ নাজমুল আবেদীন ফাহিম মনোয়নপত্র সংগ্রহ করে সব হিসাব পাল্টে দিয়েছেন।
আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে সুজন জানিয়েছেন যে কোন কাউন্সিলরের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার অধিকার রয়েছে। তাই তিনি আশাবাদী সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের কাজের মূল্যায়ন হবে।
সুজন বলেন, ‘নির্বাচন কে করবে এটা তো আর আমরা করতে পারবো না। এটা যার যার অধিকার। যারা কাউন্সিলর হয়ে এসেছে তাঁরা যে কেউ নির্বাচন করতে পারবে। যেহেতু প্যানেল হবে না। যার ইচ্ছা সে নির্বাচন করতে পারে। এখন তো আমরা জানিনা কতজন মনোনয়ন কিনেছে এখন পর্যন্ত। ফাহিম ভাই কিনেছে, আরো অনেকে কিনেছে। আমরা চাচ্ছি একটা সুষ্ঠ নির্বাচন হোক। বোর্ডে কাজ করেছি, আমাদের ভালো মন্দের মূল্যয়ন হবে সেটা আমরা সবাই চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘যারা কাউন্সিলর হয়েছে সবার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছি। এটাতো মূল্যয়ন করবে যারা কাউন্সিলর তাঁরা। এরআগে লিপু ভাইয়ের সাথে নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা আছে। তখন একদম নতুন ছিলাম। বোর্ডে গত আট বছর কাজ করেছি সেটার মূল্যয়ন হবে। নির্বাচনে না জিতলেও বুঝতে পারবো কেনো জিততে পারি নাই।’
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বোর্ডের শেষ মিটিং শেষে জানিয়েছিলেন এবার কমিটিতে নতুন মুখ চাচ্ছেন তিনি। বোর্ড সভাপতির আশা এতে নতুন নতুন আইডিয়া বের হবে। বোর্ড সভাপতির কথার সাথে একমত প্রকাশ করে সুজন জানিয়েছেন পুরাতনরা থাকলেও কাজ থেমে থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় নতুনদের চিন্তা ভাবনা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এমন না যে পুরাতনরা থাকলে আগাবে না। বোর্ড সভাপতি জানিয়েছে আমরা কারা কতটুকু কাজ করেছি, কোথায় করতে পারি নাই, কোথায় কাজ বাকি আছে।’
এবারের নির্বাচনে ১৭১ জন ভোটার ভোট দেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছেন। এবারের নির্বাচনে ক্যাটাগরি-১ এ ১০ জন পরিচালক, ক্যাটাগরি-২ এ ১২ জন পরিচালক এবং ক্যাটাগরি-৩ এ ১ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন।
১ নম্বর ক্যাটাগরিতে আছেন ৭ বিভাগ ও ৬৪ জেলা ক্রীড়া সংস্থা মনোনীত ৭১ কাউন্সিলর। ২ নম্বর ক্যাটাগরিতে আছেন ঢাকার প্রিমিয়ার লিগ, প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিভাগের ৮ সুপার লিগের ৫৮ মনোনীত কাউন্সিলর। ও ৩ নম্বর ক্যাটাগরিতে আছেন জাতীয় দলের সাবেক ৫ অধিনায়ক।