বিসিবি নির্বাচন: ফাহিম বনাম সুজন

আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে বিসিবি পরিচালক পদে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে ফাহিম জানিয়েছেন তিনি যোগ্য ব্যক্তি হিসাবেই নির্বাচনে এসেছেন।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার জন্য আজ সবাইকে চমকে দিয়ে মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন স্বনামধন্য কোচ, ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। ক্যাটাগরি তিনে পরিচালক পদে তিনি লড়বেন বর্তমান পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে। আগামী ছয় সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন।

এর আগেও বিসিবির নির্বাচনে দুই বার কাউন্সিলর ছিলেন ফাহিম। কিন্তু অন্য কারো জন্য নিজের জায়গা ছেড়ে দিতে গিয়ে নির্বাচন করা হয়নি তাঁর। এবার বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) থেকে ক্যাটাগরি – ৩ এ কাউন্সিলর হিসাবে এসেছেন তিনি।

এই ক্যাটাগরিতে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, সাবেক ক্রিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা বোর্ড, বিকেএসপি, ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কেয়াব) ও আম্পায়ার্স বোর্ডের কাউন্সিলররা নির্বাচন করতে পারেন।

আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে বিসিবি পরিচালক পদে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে ফাহিম জানিয়েছেন তিনি যোগ্য ব্যক্তি হিসাবেই নির্বাচনে এসেছেন।

ফাহিম বলেন, ‘আমাকে দেখে কেউ অযোগ্য মনে করবে না এটা আমি নিশ্চিত। আমি যদি বিজয়ী হতে নাও পারি, অন্য কোনো যোগ্য লোক আসে, এতে সবাই কিছুটা হলেও খুশি হবে। আমাকে দেখে ভবিষ্যতে আরেক জন এখানে আসতে পারে। আমি জেনেই দাঁড়াচ্ছি সুজন একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। আমাকে জিততেই হবে তা না কিন্তু। তবে আমি জিততেও পারি। আমি জানি ও ফেভারিট। সবাই হয়তো তাই বলবে। আমার মনে হয় এই জায়গায় আমারও যোগ্যতা আছে এবং অনেক কিছু দেওয়ার।’

ফাহিমের প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদ মাহমুদ সুজনও বেশ কয়েক বছর ধরে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজের জায়গা থেকে সুজনও সর্বোচ্চটা দিয়েছেন সব সময়। সুজনের অবদান স্বীকার করে ফাহিম জানিয়েছেন সুজনের সাথে দেখা হয়েছিল তাঁর, দু’জন দু’জনকে শুভ কামনা জানিয়েছেন তাঁরা।

তিনি বলেন, ‘এটা আসলে টক্কর না, এটা ভালো জিনিস যে আমরা যারা অংশ নিচ্ছি তারা সবাই যোগ্য। আমার সাথে সুজনের দেখা হয়েছে এবং তাকে আমি উইশ করেছি সেও আমাকে উইশ করেছে। আমি আশা করি একটা ভালো পরিবেশে নির্বাচনটা হবে। তার জন্য আমার শুভ কামনা থাকলো। তার অবদান নিয়েও সন্দেহ নেই। অনেক গুলো বছর সে কাজ করছে।’

এর আগে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টে দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন ফাহিম। ২০১৯ সালে চাকরী ছেড়ে বিকেএসপির উপদেষ্টা হিসাবে যোগ দেন তিনি। ফাহিম জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিভিন্ন জায়গাতে কাজ করার কারণে বাংলাদশ ক্রিকেট নিয়ে অনেক ধারণা হয়েছে তাঁর। নির্বাচিত হলে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন তিনি।

ফাহিম বলেন, ‘আমি এর আগেও দুই বার কাউন্সিলর ছিলাম, বিসিবিতে আসার আগে, যখন বিকেএসপিতে ছিলাম। আগেও সুযোগ হয়েছিল নির্বাচন করার। তবে আরেক জনের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলাম জায়গাটা। আমার মনে হয় এত দিন কাজ করার পর আমার ভালো ধারণা আছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য কি করা দরকার। সেটাতে দৃষ্টি রেখেই আমি মিড লেভেল কিছু কাজ করার চেষ্টা করেছি।’

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বোর্ডের শেষ মিটিং শেষে জানিয়েছিলেন এবার কমিটিতে নতুন মুখ চাচ্ছেন তিনি। বোর্ড সভাপতির আশা এতে নতুন নতুন আইডিয়া বের হবে। ফাহিম জানিয়েছেন তিনি নির্বাচিত হলে সেই নতুন কিছুই দিতে পারবেন।

তিনি বলেন, ‘সভাপতি কয়েক দিন আগেই বলেছিলেন, তিনি নতুন মুখ দেখতে চান, নতুন ধারণা চিন্তাভাবনা চান। আমি সুযোগ পেলে নতুন ভাবনা নিয়ে আসতে পারব। আমি আসলে টেবিলে নতুন কিছু দিতে পারব যা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য কাজে লাগবে।’

এবারের নির্বাচনে ১৭১ জন ভোটার ভোট দেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছেন। এবারের নির্বাচনে ক্যাটাগরি-১ এ ১০ জন পরিচালক, ক্যাটাগরি-২ এ ১২ জন পরিচালক এবং ক্যাটাগরি-৩ এ ১ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন।

১ নম্বর ক্যাটাগরিতে আছেন ৭ বিভাগ ও ৬৪ জেলা ক্রীড়া সংস্থা মনোনীত ৭১ কাউন্সিলর।।২ নম্বর ক্যাটাগরিতে আছেন ঢাকার প্রিমিয়ার লিগ, প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিভাগের ৮ সুপার লিগের ৫৮ মনোনীত কাউন্সিলর। ও ৩ নম্বর ক্যাটাগরিতে আছেন জাতীয় দলের সাবেক ৫ অধিনায়ক।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...