সাম্প্রতিক সময়ে এসেছে সমালোচনা আর নিন্দার ঝড়, তবু তিনি হাল ছাড়েননি; খেলে গিয়েছেন আপন গতিতে। তিনিই হার্দিক পান্ডিয়া। প্রমাণ রাখলেন আবারো, সেটাও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের মঞ্চে; প্রমাণ করলেন হারিয়ে যাননি তিনি।
ফাইনালের মঞ্চে তিনি ছিলেন পুরো আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমায়। দলপতি রোহিত শর্মা ভরসা করে বল তুলে দিয়েছেন হার্দিকের হাতে। তিনি রেখেছেন আস্থার প্রতিদান। মুহুর্তেই ঘুরিয়ে দিয়েছেন ম্যাচের মোমেন্টাম।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালের মঞ্চে এ যেন ভিন্ন এক হার্দিক। নেই কোন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সেই হার্দিকের ছাপ। মলিনতার বদলে উজ্জ্বল ছিলেন এই অলরাউন্ডার। বদলে গিয়েছেন বিশ্ব মঞ্চে, বদলে দিয়েছেন ম্যাচের গতিপথ।
সতেরোতম ওভারের প্রথম বল, ২২ গজে তখন বিধ্বংসী হেনরিক ক্লাসেন; ফুল লেন্থের একটা বল হার্দিক ছুঁড়ে দিলেন ক্লাসেনের দিকে। তাতেই কুপোকাত এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ততক্ষণে ক্লাসেনের ক্যাচ উইকেট রক্ষক ঋষাভ পান্তের দস্তানায়।
১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তখন এইডেন মার্করাম বাহিনীর সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান। তাতেই চিন্তার ঘাম জমে যায় প্রোটিয়াদের কপালে। তবে আশার আলো জ্বলে উঠলো ভারতের শিবিরে।
গুরুত্বপূর্ণ শেষ ওভারে প্রোটিয়াদের প্রয়োজন ছিলে ১৬ রান। রোহিত শর্মার ভরসা আবারো সেই হার্দিকেই। সেই শেষ ওভারে এই ডান হাতি অলরাউন্ডার তো রীতিমত হয়ে উঠেছইলেন প্রোটিয়াদের আতঙ্ক। প্রথম বলেই ফুল টসের ফাঁদে ফেলেন প্রোটিয়া শিবিরের একমাত্র ভরসা ডেভিড মিলারকে। যদিও সেই ফুল টস প্রায় সীমানা পেরিয়েই যাচ্ছিল।
তবে সেই সীমানায় ভারতের অতন্দ্র প্রহরীর রূপে ছিলেন সুরিয়াকুমার যাদব। তালুবন্দী করেন মিলারের ক্যাচ, আর মূলত সেই মুহুর্তেই ভারত পৌঁছে যায় তাঁদের কাঙ্ক্ষিত শিরোপার দ্বারপ্রান্তে।
সময় বদলে গিয়েছে, সেই সাথে বদলে গিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়াও। এক ম্যাচেই যেন দিলেন সব সমালোচনার জবাব। শেষ বলটি করার পর তো তিনি মাঠেই বসে পড়লেন, যেন জানান দিলেন সব প্রশ্নের জবাব দেয়া সমাপ্ত হলো। বিশ্বকাপটা এখন হার্দিক পান্ডিয়ার।