ওয়ানডে বিশ্বকাপে সুপার ফ্লপ; ফাইনালের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কিছু করতে না পারার ব্যর্থতা সবকিছু সমালোচনার স্রোত হয়ে আছড়ে পড়েছিল সুরিয়াকুমার যাদবের ওপর। কিন্তু না, তিনি ভেঙে পড়েননি; প্রিয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নেমেই দেখিয়েছেন নিজের সামর্থ্য, খেলেছেন ম্যাচ জেতানো এক ইনিংস।
স্বাভাবিকভাবেই প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরষ্কার উঠেছে তাঁর হাতে। নিজের ক্যাপ্টেন্সির অভিষেকেই ম্যাচসেরা হতে পারার কীর্তি গড়েছেন তিনি। সেই সাথে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ ম্যাচসেরা হওয়া তারকাদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন সুরিয়া।
দেরিতে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন কেবল ৫৪টি। এতেই ১৩টি প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের স্বীকৃতি নিজের করে নিয়েছেন তিনি; অর্থাৎ প্রতি ৪.১৫ ম্যাচ পর পর একবার করে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হন তিনি।
এই তালিকায় সবার উপরে থাকা বিরাট কোহলি দুইবার বেশি জিতেছেন এই পুরষ্কার, তবে সেজন্য তাঁকে ৬১ ম্যাচ বেশি খেলতে হয়েছে। ১১৫ ম্যাচে ১৫ বার ম্যাচসেরা হওয়া কোহলির পরেই আছেন আফগানিস্তানের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। ছয় ম্যাচ কম খেলে ১৪ বার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে চতুর্থ স্থানে থাকা রোহিত শর্মার ঝুলিতে আছে ১২টি পুরষ্কার, যদিও ১৪৮ ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
ফলে স্পষ্ট যে, কম সময়েই সুরিয়াকুমার অনেকটা পথ পেরিয়ে গিয়েছেন। পরিসংখ্যানও সেটাই প্রমাণ করে, ৫১ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৯২১ রান করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর গড় ৪৬.৮৫ আর স্ট্রাইক রেট ১৭৩.৩৭; ৪৫ এর বেশি গড়ের পাশাপাশি ১৭০ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে আর কেউই ব্যাটিং করতে পারেনি। এমন ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলে শীঘ্রই হয়তো সর্বোচ্চ ম্যান অব দ্য ম্যাচের রেকর্ড নিজের করে নিবেন এই ডানহাতি।
কথায় আছে, মানুষ নাকি তাঁর স্বপ্নের সমান বড়। তবে সুরিয়াকুমার যাদব বোধহয় তাঁর নামের সমান বড়। সূর্যের মতই তেজদীপ্ত তিনি, এই সূর্যের আলোতে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটাঙ্গন। এই ঔজ্জ্বলতা আরো অনেক সময় বজায় থাকবে, এমনটাই প্রত্যাশা ভক্ত-সমর্থকদের।