চেনা কন্ডিশনে ভারত শিবিরে স্বস্তির বাতাস

ক্রিকেট ম্যাচে উইকেটের ভূমিকা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ, তা বেশ ভালভাবেই টের পাওয়া গিয়েছে এবারের বিশ্বকাপে।  নিউ ইয়োর্কের অপরিচিত উইকেট বেশ ভুগিয়েছে সকলকে। তাইতো সেখান থেকে বারবাডোজে ফিরে স্বস্তির হাওয়া বইছে ভারতের তারকা ব্যাটার সুরিয়াকুমার যাদবের মনে।

ইতোমধ্যে ভারত তাঁদের গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে। তাঁদের সবগুলো ম্যাচই নিউ ইয়র্কের অস্থায়ী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে উইকেটের উদ্ভট আচরণ। ফলসরূপ ভারতীয় খেলোয়াড়দেরকে মানিয়ে নিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে প্রতি ম্যাচেই।

তবে সুপার এইট পর্বের ম্যাচে তাঁদের পাড়ি জমাতে হচ্ছে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে। সেখানে তাঁরা মুখোমুখী হবে আফগানিস্তানের। আর সেই জায়গার পিচে ভারতীয় উপমহাদেশের পরিচিত পিচগুলোর প্রতিচ্ছবি লক্ষ্য করা যায়।  আর এটাই মূলত খুশীর কারণ হয়ে দাঁড়ায় ভারতের এই ব্যাটারের কাছে।

এই স্থাণান্তরের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এমনটা নয় যে আমরা নিউ ইয়র্কে খুশী ছিলাম না। তবে আমরা সেটার সাথে পরিচিত ছিলাম না। তাই পরিস্থিত বেশ ভিন্ন ছিল, সেই সাথে কিছুটা চ্যালেঞ্জিংও।’ আবার বারবাডোজের পিচ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানে খেলেছি। আমরা জানি সেখানে কিভাবে খেলতে হবে। তাই এখানে খেলার সুযোগ পেয়ে আমরা বেশ খুশী ।’

সুরিয়াকুমার যাদব বিশ্বকাপের শুরুর দিকে ভালো কোনো পারফর্ম্যান্স দিতে পারেন নি। স্বীকার হয়েছেন শত সমালোচনার। যুক্তরাষ্ট্রে বিপক্ষে তাঁর অর্ধশতক যেন ঢাল সরূপ দাড়িয়েছে।

একজন ব্যাটারের জন্য পরিবেশের সাথে মানিয়ে ক্ষমতা থাকা খুবই জরুরী। আর সেই সক্ষমতাটা সুরিয়াকুমারের বেশ ভালোভাবেই জানা আছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি পৃথিবীর এক নাম্বার ব্যাটার হিসেবে ছিলাম বেশ কয়েক বছর। আর আপনাকে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করতে জানতে হবে।’

প্রত্যাশা থাকবে, আগামী ম্যাচগুলোতে বরাবরের মতই পিচের সাথে দ্রুতই মানিয়ে নিতে পারবেন ডান হাতি এই ব্যাটার। দেখাবেন  ব্যাটিংয়ের ঝলক, ভূমিকা রাখবেন দলের জয়ে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link