স্বান্তনার জয় নিয়ে বাড়ি ফিরলো সিলেট

জয় দিয়েই টুর্নামেন্ট শেষ করলো সিলেট স্ট্রাইকার্স। আগেরবারের ফাইনালিস্ট হওয়া সত্ত্বেও চলতি বিপিএলের শুরুটা একদমই ভাল হয়নি তাঁদের, তবে নিজেদের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ছয় উইকেটে হারানোর স্মৃতি নিয়ে বাড়ি ফিরলো দলটি। যদিও নিজেদের প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই জেতা খুলনার জন্য আক্ষেপ হয়ে রইলো এবারের আসর।

আগে ব্যাট করতে নেমে এদিন দলটি দ্রুতই অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারায়, দশ রান করে আউট হন তিনি। তিন নম্বরে ব্যাট করা হাবিবুর রহমান সোহান ১৪ বল ক্রিজে থেকে, করেছেন মোটে তিন রান। মাহমুদুল হাসান জয়ও বলার মত কিছু করতে পারেননি, থেমেছেন ১১ রান করে। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন আফিফ হোসেন, সতীর্থের অসহায়ত্বের মাঝেও দুর্দান্ত ছিলেন তিনি।

তেরোতম ওভারে আউট হওয়ার আগে এই বাঁ-হাতি করেন ৩৫ বলে ৫২ রান। তাঁর এই ফিফটিতেই সম্মান রক্ষা হয়েছে খুলনার, কেননা আর কোন ব্যাটারই এরপর রান করতে পারেননি। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ওয়েইন পারনেল, এই প্রোটিয়া করেছিলেন ২১ রান।

নির্ধারিত বিশ ওভারে তাই ১২৮ রানের বেশি করতে পারেনি বিজয়ের দল। বোলারদের মধ্যে বেনি হাওয়েল একাই নিয়েছেন তিন উইকেট; এছাড়া সামিত প্যাটেল ও শফিকুল ইসলাম দারুণ বোলিং করেছেন।

মিরপুরের পিচে কম রান করেও লড়াই করা যায় সেটা বোধহয় ভালোই জানা ছিল টিম টাইগার্সের। সেজন্যই প্রথম দুই ওভারেই সিলেটের দুই ওপেনারকে আউট করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন নাহিদুল ইসলাম এবং পারনেল। ছয় রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে টেনে তোলেন নাজমুল শান্ত আর ইয়াসির আলি রাব্বি। দুজনের ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে জয়ের সমীকরণ অনেকটা সহজ হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত ৩৯ রানে শান্ত আউট হলে কিছুটা আশার আলো দেখেছিল খুলনা, কিন্তু রাব্বি সেই আলো বেশিক্ষণ জ্বলতে দেননি। তিনি যখন ৪৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন জয় তখন হাত ছোঁয়া দূরত্বেই ছিল।

শেষদিকে হাওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে বাকি আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন। দুজনের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ১২ এবং ১৯ রান। এরই মধ্য দিয়ে দুই ওভার আর ছয় উইকেট হাতে রেখে জয় পায় টিম স্ট্রাইকার্স।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link