এত এত চমৎকার শটের পর এত্ত বাজে একটা শট!
এতটা দারুণ শুরুর পর, উইকেট আর প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার বোলিংয়ের যা অবস্থা, এখান থেকে ডাবল সেঞ্চুরি করা উচিত ছিল ভাই, অন্তত দেড়শ তো বটেই।
তামিম ইকবাল ভালো একটা ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু দারুণ কিংবা অসাধারণ হতে পারল না। আশা করি শান্ত-মুমিনুল-মুশি-লিটনরা দারুণ কিছু করবেন।
যাই হোক, সকাল থেকে ফেসবুক নিউজফিডে ‘টি-টোয়েন্টি ইনিংস’ বা ‘আক্রমণাত্মক ইনিংস’ বা ‘টেস্টে এ কেমন ব্যাটিং’ – এসব এত বেশি দেখছি যে আমার মাথাও গুবলেট পাকানোর অবস্থা। আপনারা কি তামিমের ব্যাটিং দেখেন নাই আগে নাকি ক্রিকেট একেবারেই বোঝেন না?
আরো পড়ুন
- অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি
- বাংলাদেশি স্পিনারদের সমাধান যার হাতে
- পরীক্ষার মধ্যে কিছু পরীক্ষা
- বাংলাদেশের পাঁচ চ্যালেঞ্জ
দু-একটা ছাড়া তো সবই ক্রিকেটীয় শট ভাই। ফুল ফেস, হাই এলবো, স্টেডি হেড, প্রয়োজনের সময় লং স্ট্রাইড… একদমই কেতাবি ব্যাটিং ভাই। সবই ক্রিকেট বইয়ের শট। একটা শটও জোর করে ছিল না, তেড়েফুঁড়ে ছিল না, ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে ছিল না।
তাঁর শক্তির জায়গা স্কয়ার অব দ্য উইকেট আর ডাউন দ্য গ্রাউন্ড। তিনি সেসবই খেলেছেন। সবুজাভ উইকেট, বোলাররা অবশ্যই ফুল লেংথ বা লেংথ বলের থেকে সামনে ডেলিভারি বেশি করতে চাইবেন। সেটাই হয়েছে, তিনি সেসব কাজে লাগিয়েছেন। লঙ্কানরা ধারাবাহিক লাইন-লেংথ রাখতে পারেননি, প্রচুর বাউন্ডারি বল করেছেন, তিনি কাজে লগিয়েছেন। ভালো বলেও কয়েকটি দারুণ শট খেলেছেন, অন দ্য আপ। সবই ক্রিকেট শট। ড্রাইভ, ফ্লিক, পাঞ্চ। টেস্ট ম্যাচ না হলে বেশ কটি হয়তো চার না হয়ে এক-দুই হতো।
এই সবই সিম্পল ক্রিকেটীয় ব্যাপার।
এখানে কোনো টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং ছিল না। মারমুখি ছিল না। রাজা-উজির মেরে ফেলা ছিল না। তার নরম্যাল ক্রিকেট ছিল, রিদমে থাকলে বেশির ভাগ সময় টেস্টে যেভাবে খেলেন।
ট্রল শিল্পে আমরা দারুণ উন্নতি করছি। ভালো কথা। কিছু বুঝে ট্রল করলে সেটা আসলেই শিল্প। কিন্তু ক্রিকেট শিল্পের অ আ ক খ যখন জানা নাই, তখন?
না বোঝাও দোষের কিছু না। সবার ক্রিকেট বোঝা জরুরি না অবশ্যই। কিন্তু না বুঝেই ট্রল করা মানে নিজেকে বলদ হিসেবে উপস্থাপন করা, এইটা বোঝা জরুরি।
– ফেসবুক থেকে