স্ট্রাইক রেট ইস্যুতে প্রশ্ন শুনতে নারাজ তামিম

দু’টি চ্যালেঞ্জ নিয়ে যাত্রা শুরু করছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রথমত, ওয়ানডে ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে তাঁর। দ্বিতীয়ত, ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁর পারফরম্যান্সও থাকবে নজরে। কারণ, সেই ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ থেকেই তামিমের ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট নিয়ে একটা সমালোচনা আছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেও তামিমকে তাই স্বাভাবিক ভাবেই স্ট্রাইক রেট ইস্যুতে প্রশ্ন শুনতে হল। আর উত্তরে দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ওপেনারের সাফ জবাব, এই ইস্যুতেই প্রশ্ন শুনতে পছন্দ করেন না তিনি।

বললেন, ‘অনেক দিন ধরে অনেক সংবাদ সম্মেলনে, অনেক সাক্ষাৎকারে আমাকে এই স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন শুনতে হচ্ছে। এটা নিয়ে আমি আগে অনেকবার কথা বলেছি। আর বলতে চাই না। আপনারা আমার শেষ কয়েকদিনের বা গত পাঁচ-ছয় বছরের পরিসংখ্যান দেখলেই বুঝতে পারবেন আমার অবস্থা। আর এটা এখন এমন একটা বিষয় যেটা নিয়ে উত্তর দিতে আমি আর ইনজয় করি না।’

সর্বশেষ বিশ্বকাপের মঞ্চে মলিন ছিল তামিম ইকবালের ব্যাট। সেই টুর্নামেন্টে একটা মাত্র হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। তবে, ৩৮১ রানের জবাবে ৭৪ বলে ৬২ রানের সেই ইনিংসেও তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। পুরো আসরে আটটা ম্যাচ খেলে তামিম ২৩৫ রান করেন ৭১.৬৪ স্ট্রাইক রেটে।

সেখান থেকে ফিরে শ্রীলঙ্কা সফরে মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুপস্থিতিতে ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করেন। তিন ওয়ানডেতে করেন মাত্র ২৭ রান। যদিও, ঘরের মাটিতে গত বছরে বাংলাদেশের খেলা একমাত্র ওয়ানডে সিরিজে ছিলেন ফর্মে। সিলেটে অনুষ্ঠিত শেষ দুই ওয়ানডের দু’টিতেই করেন ঝড়ো সেঞ্চুরি। তবে, প্রতিপক্ষ বিবেচনায় তামিমের সেই পারফরম্যান্স সাম্প্রতিক আলোচনায় ধোপে টিকছে না।

তবে, তামিম এনজয় করুন আর নাই বা করুন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম তামিমের স্ট্রাইক রেট। এই ইস্যুতে কথা বলতে তিনি রাজি না হলেও ‘অন্য’ যেকোনো সমালোচনা শুনতে তিনি রাজি বলে দাবী করলেন।

নবাগত এই অধিনায়ক বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে আমাকে নিয়ে যতটা সমালোচনা হয়েছে সেটা আর অন্য কাউকে নিয়ে হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। হ্যাঁ, আমি এই সমালোচনা শুনতে প্রস্তুত। আর এই সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে মাঠে নামার চ্যালেঞ্জটাও আমি গ্রহণ করছি।’

দল দেওয়ার আগে নির্বাচকরা বারবারই বলেছেন ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের কথা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সংশ্লিষ্ট যে কারোরই দাবি, দু’বছরের মাথায় অনুষ্ঠিতব্য এই বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই সাজানো হয়েছে দল। সেখানে তাই আতসী কাঁচের নিচে থাকবে অধিনায়ক তামিম ইকবালের নেতৃত্বও।

এই প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে অধিনায়কত্ব নিয়ে এক্সাইটেড। আমি যতদিন উপভোগ করবো কাজটা চালিয়ে যেতে চাই সততাতর সাথে। তবে, এটা ঠিক যে আজ যে কাজটা ভাল লাগছে সেটা হয়তো আজ থেকে তিন চার মাস পর কিংবা এক বছর পর ভাল না-ও লাগতে পারে। তাই আমি সময় নিচ্ছি। ২০২৩ বিশ্বকাপের দিকে অবশ্যই নজর রাখছি। তবে, এর আগে যদি মনে হয় কাজটা উপভোগ করছি না বা বিসিবির যদি অন্য কোনো পরিকল্পনা থাকে তাহলে অবশ্যই সরে দাঁড়াবো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link