দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও দু’টি প্রতিষ্ঠানকে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) পুরস্কার-২০২৩ দিয়েছেন। পুরস্কার পান জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদও।
শুধু পুরস্কারই নয়, এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পরামর্শও পেয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা এই পেসার। তাসকিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আসলে জিজ্ঞেস করছিলেন যে সামনে কি কি খেলা আছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলছিলেন যে সামনে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ আছে সবার জন্য শুভ কামনা, ভালো মতো খেলো।’
পুরস্কার পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত তাসকিন আরও বলেন, ‘প্রথমবারের মতো জাতীয় পুরস্কার পেলাম প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে, যেটা আমার জন্য খুবই গর্বের বিষয়। আমার আসলে খুবই ভালো লাগছে।’
নগরীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব কিংবদন্তী হকি খেলোয়াড় এবং বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের প্রথম অধিনায়ক আব্দুস সাদেককে আজীবন সম্মননা পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ ও দক্ষিণ এশীয় স্বর্ণপদক জয়ী ভারোত্তোলক জিয়ারুল ইসলাম ক্রীড়াবিদ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন।
উদীয়মান ক্রীড়াবিদের পুরস্কার পেয়েছেন টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মুহতাসিম আহমেদ হৃদয় এবং হকি খেলোয়াড় আমিরুল ইসলাম। ক্রীড়া সংগঠক ক্যাটাগরিতে তৃণমূল হকি সংগঠক ফজলুল ইসলাম এবং কলসিন্দুর সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মালা রানী সরকারকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন খন্দকার তারেক মো.নুরুল্লাহ।
ক্রীড়া সংস্থা/ফেডারেশন/সংগঠক পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ অর্চারি ফেডারেশন। স্পোর্টস স্পন্সর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। বিএবি’র পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার ও চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
এছাড়া, মন্ত্রনালয় এই প্রথমবারের মতো শেখ কামাল এনএসসি পুরস্কারে ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার ক্যাটাগরি অন্তর্ভুক্ত করেছে। এ ক্যাটাগরিতে ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খান। পুরস্কার প্রাপ্তদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা, একটি ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।