ব্যাটারদের করুণ দশাই এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ; এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ । তাঁর মতে ৪৭ দিনের আমেরিকা সফরে ব্যাটিং ছাড়া সবই হয়েছে পরিকল্পনা অনুযায়ী।
সুপার এইটে ওঠা দলগুলোর মধ্যে দলগতভাবে সর্বনিম্ন রানের সমষ্টি এখন বাংলাদেশের দখলে। দলের টপ তিন জন ব্যাটার ব্যর্থ হয়েছেন ভালো শুরু এনে দিতে। তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট কথা বললেও, দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দেখাতে পারেননি আহামরি কোনো পারফর্ম্যান্স।
তাসকিন আহমেদ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘দলের সিনিয়রদের অফ ফর্ম মাঠে বেশ প্রভাব ফেলেছে। তাঁরা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। আমরা ৪৭ দিন একসাথে ছিলাম। মাঠের বাইরে সবই ঠিক ছিল। এটা স্বাভাবিক যে দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় যখন ভালো খেলবেন না, তখন তা দলের উপর প্রভাব ফেলবে। আমি আশাবাদী যে, খুব শীঘ্রই এই অবস্থা কাটিয়ে উঠবো এবং ভালো খেলতে শুরু করবো।’
এবারের বিশ্বকাপে ভালো মানে পিচ শুধুই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে দেখা গিয়েছে। অবশ্য সেখানেও বাংলাদেশের ব্যাটাররা নিজেদের সেরাটা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাটিং প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, ‘আপনি যদি ব্যাটিংয়ের দিকে দেখেন, তবে লক্ষ্য করবেন প্রত্যেক দলই যুক্তরাষ্ট্রে রান করতে বেশ বেগ পেয়েছে। আমি আমার ক্যারিয়ারে ব্যাটারদের জন্য এত বাজে পিচ আগে দেখিনি। তবে বোলাররা সুবিধাই পেয়েছে সেখানে।’
বাংলাদেশ এখনো টি-টোয়েন্টিতে শক্ত ভিত্তি গড়তে পারেনি। তাইতো ডান হাতি এই পেসার দলের অবস্থা নিয়ে বলেন, ‘যদিও আমরা নিয়মিত টি-টোয়েন্টি খেলি না। তবে ধীরে ধীরে উন্নতি করছি। আমরা এখনো খারাপ অবস্থাতেই আছি। তাই মাইনাস পয়েন্টসগুলোর দিকে না তাকিয়ে প্লাস পয়েন্ট পাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। হতাশ হওয়াটা স্বাভাবিক। বিশ্বাস রাখুন, আমরা আমাদের সেরাটাই দিবো।’
তাসকিন আহমেদ বাংলাদেশের বোলিংয়ের অন্যতম শক্তি। অবশ্য তানজিম হাসান এবং রিশাদ হোসেনও নিজেদের জাত চিনিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপের আসরে। রিশাদ তো জায়গাই করে নিয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায়।
দলের বোলিং নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেও ব্যাটিং নিয়ে বেশ হতাশ বাংলাদেশের এই সহ-অধিনায়ক। আগামীতে ভালো ফলাফল পেতে চাইলে অবশ্যই সার্বিক দিক নিয়েই ভাবতে হবে টিম টাইগারকে। নয়তো, পরাজয়ের এই ধারা চলতেই থাকবে।