বেশ শক্ত অবস্থান তখন দক্ষিণ আফ্রিকার। শেষের তিন ওভারে নিদেনপক্ষে ৩০ রান নেওয়াই ছিল প্রোটিয়াদের লক্ষ্য। কেননা দারুণ জমে যাওয়া জুটি যে রয়েছে। এনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের যুগলবন্দী দক্ষিণ আফ্রিকাকে মুক্তি দিয়েছিল প্রাথমিক ধাক্কা থেকে।
১৮ তম ওভারটা করতে এলেন তাসকিন আহমেদ। ওভারের তৃতীয় বলটায় লেন্থ খাটো করে দিলেন। বলটা আর ঠিকঠাক বাউন্স পেল না। নিউ ইয়োর্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেটের চিরায়ত নিয়মে পরিণত হয়েছে তা। অফ স্ট্যাম্প লাইনের বলটায় পুল করতে গিয়ে ক্লাসেন পুরোপুরি ব্যর্থ হলেন। উপড়ে গেলে স্ট্যাম্প। তাসকিনের কল্যাণে ৪৪ বলে ৪৬ রান করা ক্লাসেন ফিরলেন প্যাভিলিয়নে।
বহুল আকাঙ্ক্ষিত ব্রেকথ্রুটা এলো তার হাত ধরে। অবশ্য ইনিংসের শুরুতেই আঘাত হেনেছিলেন তাসকিন। তরুণ সতীর্থ তানজিম হাসান সাকিব টর্নেডো চালিয়েছেন। প্রতিপক্ষের টপ অর্ডারকে ধুলোতে মিশিয়ে দিয়েছেন। তিনিও সঙ্গ দিয়েছেন। প্রোটিয়া অধিনায়কেরও স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন দারুণ এক ডেলিভারিতে।
তাসকিন আহমেদ এদিন দু’টো উইকেট করেছেন শিকার। দু’টো বলেই বোল্ড আউট করেছেন প্রতিপক্ষের দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারকে। মার্করাম ও ক্লাসেনরা রীতিমত হতভম্ভ। কেননা উইকেট যে বোঝা বড় দায়। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ।
ইনজুরি মাথায় নিয়ে শুরু করেছিলেন নিজের বিশ্বকাপ যাত্রা। কিন্তু প্রতিবারই তিনি অদম্য শক্তির বলে ফিরে এসেছেন। এই দফাও ফিরেছেন। দু’টো ম্যাচেই বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রয়োজনীয় উইকেট তুলেছেন তিনি। তাছাড়া রান খরচেও কৃপণতার পরিচয় দিয়েছেন।
মাত্র একটি করে চার-ছক্কা হজম করেছেন। ১৪টি বলে প্রতিপক্ষকে রান নেওয়ার সুযোগই দেননি। ৪ ওভারে তার ইকোনমি রেট ছিল ৫ এরও নিচে। স্রেফ ১৯ রান দিয়েছেন তাসকিন। প্রোটিয়াদের মাত্র ১১৩ রানে আটকে দেওয়ার কাজটায় অভাবনীয় অবদানই রেখেছেন ঢাকা এক্সপ্রেস।