ভাগ্যের প্রহসন কিংবা ব্যাটারদের ভুল, যেকারণেই হোক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততে জিততেও জেতা হলো না বাংলাদেশের। এত কাছে এসেও আরো একবার হৃদয় ভাঙার যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে সবাইকে, তবে হৃদয় ভাঙার যন্ত্রণা সবচেয়ে বেশি বোধহয় তাওহীদ হৃদয়ের; কেননা তাঁর ব্যাটে ভর করেই তো জয়ের স্বপ্ন আকাশে উঁকি দিয়েছিল।
২০ বলে ৪০ রানের ঝড়ো একটা ইনিংস খেলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলকে মোমেন্টাম এনে দিয়েছিলেন এই ব্যাটার। প্রোটিয়াদের বিপক্ষেও তেমন কিছু করতে চেয়েছিলেন তিনি। অনেকটা পথ এগিয়েও গিয়েছিলেন, কিন্তু রাত পেরিয়ে ভোরের সুন্দরতম আলো এবার আর দলকে দেখাতে পারেননি – তাঁর বিদায়ের পরই পথ হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ।
৩৪ বলে ৩৭, অন্য কোন পিচে এমন পারফরম্যান্স যেমনই হোক নিউইয়র্কের নাসাউ স্টেডিয়ামে এটা মহামূল্যবান। শুরুর দিকে নাজমুল শান্ত, লিটন দাসরা ভাল করতে না পারলেও টাইগাররা ম্যাচে শেষপর্যন্ত টিকেছিল এই ইনিংসের কারণেই।
সাকিব আল হাসানের বিদায়ের পর উইকেট এসেই কেশব মহারাজকে বিশাল একটা ছক্কা হাঁকিয়ে বসেন হৃদয়। মনে মনে তখন নিশ্চয়ই আগের ম্যাচের পুনরাবৃত্তির কথাই ভেবেছিলেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে সেই লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়েছিলেন তর তর করেই, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাউন্ডারি মেরে রান রেট নাগালেই রেখেছিলেন।
কিন্তু সবকিছু বদলে গিয়েছে রাবাদার একটা ডেলিভারিতে; ব্যাট মিস করে পায়ে এসে লেগেছিল, একটু পরেই আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন অথচ আবেদন বলতে গেলে করেনই নি কেউ। কি জানি, আম্পায়ার এতটা তাড়াহুড়ো না করলে হয়তো নায়ক হয়েই ফিরতে পারতেন এই তারকা।
বেদনা বাংলাদেশ ক্রিকেটাঙ্গনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনাল থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ, কত কতবারই তো হাতের মুঠোয় থাকা জয় হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। তবু ‘স্টারবয়’ হৃদয়ের ধারাবাহিকতা, সাহস খানিকটা হলেও কষ্টের তীব্রতা কমাবে।