যার বোলিংয়ে খেলতে ভয় পান কোহলি-রোহিতরা!

এই মুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে ভয়ংকর পেসার কে? কোনো রকম বিচার বিশ্লেষণে না গিয়েই বোধহয় প্রথম নামটি জাসপ্রিত বুমরাহ হওয়ার কথা। কিন্তু ভারতের এমন একজন পেসার আছে যার বল নাকি নেট প্র্যাকটিসেও খেলতে ভয় পান বিরাট-রোহিতরা। সেই পেসার হলেন মোহাম্মদ শামি।

একটা সময় পর্যন্ত ভারত স্পিন নির্ভর একটা দলই ছিল। তবে সে সময় বদলে গিয়েছে। এখন স্পিনশৈলীর পাশেও তাদের রয়েছে বিশ্বমানের পেস বোলিং লাইন আপ। যদিও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের প্রথম ম্যাচে অনেকটা স্পিনারদের কল্যাণেই জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। তারপরও শেষ পাঁচ বছরে বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের পেসাররা বেশ আধিপত্য দেখিয়েছে। সেই আধিপত্য, আগ্রাসন এসেছে বুমরাহ, শামি, ভূবনেশ্বরদের সুবাদে।

এই মুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে ভয়ংকর পেসার কে? কোনো রকম বিচার বিশ্লেষণে না গিয়েই বোধহয় প্রথম নামটি জাসপ্রিত বুমরাহ হওয়ার কথা। কিন্তু ভারতের এমন একজন পেসার আছে যার বল নাকি নেট প্র্যাকটিসেও খেলতে ভয় পান বিরাট-রোহিতরা। সেই পেসার হলেন মোহাম্মদ শামি। সম্প্রতি জনপ্রিয় ক্রিকেট পোর্টাল ক্রিকবাজকে এমন চমকপ্রদ গল্পই শুনিয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার দিনেশ কার্তিক।

তাঁর মতে, ভারতের মধ্যে শামির বল খেলাই সবচেয়ে কঠিন। এ নিয়ে খোলাসা করে তিনি বলেন, ‘আমি যত পেসারের মুখোমুখি হয়েছি তাদের ভিতর শামির বল খেলতেই আমার সমস্যা হয়েছে। আমি যদি এক শব্দে বলি, তাঁর বল খেলা ছিল এক প্রকার টর্চারের মত। সে আমাকে নেট প্র্যাকটিসে রীতিমত আক্রমণ করত। এ নিয়ে আমি কোহলি, রোহিতদের সাথে কথা বলেছিলাম। আমি ভাবতাম, আমার বেলাতেই শুধু শামি এমন বল করে। পরে শুনি বিরাট, রোহিতরাও নাকি শামির বল খেলতে চায় না। এক ধরনের অস্বস্তিতে ভোগে।’

দিনেশ কার্তিক পরবর্তীতে শামির বোলিং নিয়ে বিশ্লেষণ করে বলেন, ‘ওর সিম পজিশন একটু উপরে থাকে। আর বোলিং লেন্থ  ৬ থেকে ৮ মিটারের মাঝে থাকে। এটাতে সে অভ্যস্ত। আর ঐ জায়গা থেকেই বল সাধারণত স্কিড করে বেশি। সে ক্ষেত্রে ব্যাটারের পরাস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশ খানিকটা বেড়ে যায়। সে বাইরের অনেক দেশের উইকেটে খেলেছে। আর তাঁর এই ধারাবাহিক লেন্থের কারণেই বেশির ভাগ ব্যাটাররা পরাস্ত হয়। সে হয়তো অতো বেশি উইকেট পায় না। এটা ওর দুর্ভাগ্য। কিন্তু ব্যাটারদের ঠিকই চাপে ফেলতে পারে।’

শামির বোলিংয়ের আরেকটি বিশেষত্ব তাঁর রানিং। এই বিষয়টি আরেকটু বিশদভাবে বর্ণনা করে দিনেশ কার্তিক বলেন, ‘একজন ফাস্ট বোলার যখন বল রিলিজ করেন তখন তাঁর আরপিএম সাধারণত ১০০০ হয়ে থাকে। আরপিএম মূলত বলের স্পিড মিনিটে কতবার ঘুরছে তা নির্ধারণ করে। তো শামির ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ১৫০০ থেকে ১৬০০ তে গিয়ে ঠেকে। আর এটাই তাঁর অনন্যতা। উইকেট পেস সহায়ক হলে তাঁর বেশির ভাগ বলই আনপ্লেবল হয়ে পড়ে।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দলে নেই জাসপ্রিত বুমরাহ। তাই ভারতের পেস বোলিং ইউনিটকে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোহাম্মদ শামি। ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড় অনেকটাই নির্ভর করে আছেন এ পেসারের উপর।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...