২০১৩ সালের পর থেকে বহুবার আইসিসির টুর্নামেন্টে ফাইনাল কিংবা সেমিফাইনাল খেলেছে ভারত। কিন্তু গত এক দশকের বেশি সময় ধরে শিরোপা জিততে পারেনি তাঁরা। সবশেষ ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এসে অপেক্ষার অবসান ঘটেছে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে সাত রানে হারিয়ে বিশ্ব জয় করেছে দলটি। এর মধ্য দিয়ে সাদা বলের সম্ভাব্য সব ট্রফি জেতার কীর্তি গড়লেন বিরাট কোহলি।
এর আগে ২০১১ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তিনি। সেবার প্রায় ৩৫ গড়ে ২৮২ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। এছাড়া দুই বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্বাদ পেয়েছিলেন এই তারকা। তবে তিনি একা নন, এখন পর্যন্ত আরো চার ভারতীয় সাদা বলের সব শিরোপা পেয়েছেন।
- মহেন্দ্র সিং ধোনি
স্রেফ একজন ক্রিকেটার হিসেবেই নয়, একজন অধিনায়ক হিসেবেও রঙিন পোশাকের তিনটি মেজর টুর্নামেন্ট জিতেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েই বাজিমাত করেছিলেন তিনি, এরপর ২৮ বছরের খরা কাটিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপও এনে দিয়েছেন দলকে। সবশেষে ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার মাধ্যমে ক্যারিয়ারকে পূর্ণতা দিয়েছেন এই কিংবদন্তি।
- যুবরাজ সিং
২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন যুবরাজ সিং, ব্যাটে বলে পারফরম করে হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট। ২০০৭ বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ছয় ছক্কা হাঁকানোর ঘটনাও সবার আছে মনে আছে নিশ্চয়ই। এর আগে ২০০২ সালে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিলেন তিনি।
- বীরেন্দর শেবাগ
নজফগড়ের নবাব ২০০২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হয়েছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক; ২০০৭ বিশ্বকাপেও ভারতের ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল তাঁর। এরপর ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নয় ইনিংসে ৩৮০ রান করে শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে দিয়েছিলেন দলকে।
- হরভজন সিং
যুবরাজ আর শেবাগের মতই ২০০২ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন হরভজন সিং। শুধু অংশ ছিলেন না বললে কম বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের একজন ছিলেন তিনি। ইকোনমিক্যাল বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্রেক থ্রু এনে দেয়ার ক্ষেত্রে জুড়ি ছিল না তাঁর।