আঙকৃষ রঘুবনশি – অদ্ভুত নাম, খুব বেশি মানুষ চেনেও না। চেনার কথাও নয় বটে; দিল্লীর অজপাড়াগাঁ থেকে উঠে এসেছেন তিনি। তবে দিন বদলের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ভারতীয় ক্রিকেটের মহাসাগরে গা ডুবিয়েছেন এই তরুণ; এখন না চিনে থাকার উপায় নেই, কেননা নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সমর্থকদের হৃদয় জেতার পথ জানা হয়ে গিয়েছে তাঁর।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তীব্র ঝড় তুলেছিলেন সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেলরা। তবে তাদের ছাপিয়ে আলাদাভাবে যিনি আলো কেড়েছেন তিনিই আঙকৃষ রঘুবনশি। দিল্লির বিপক্ষে তাঁদের মাটিতে দাঁড়িয়ে করেছেন ২৭ বলে ৫৪ রান। ব্যাটিং দেখে বোঝার উপায় নেই আইপিএলে এটিই তাঁর ইনিংস।
তিন নম্বরে ব্যাটার করার সুযোগ পেয়েছিলেন এই ডানহাতি, ক্রিজে যখন আসেন তখন আরেকপ্রান্তে বোলারদের তুলোধুনো করতে ব্যস্ত ছিলেন নারাইন। তাই তো সময় নষ্ট না করে তিনিও শাসন করতে শুরু করেছেন চামড়ার গোলকটাকে; প্রথম দুই বলেই হাঁকান দুই চার। এরপর উইন্ডিজ তারকার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করে গিয়েছেন পুরোটা সময়।
২৫ বলেই হাফসেঞ্চুরির দেখা পান সদ্য তারুণ্যে পা রাখা এই ব্যাটার। দুই বল পরেই অবশ্য থেমে যেতে হয় তাঁকে; তবে আউট হওয়ার আগে যা করেছেন তিনি সেটা অবিশ্বাস্য, অতুলনীয়। ব্যাটিং অভিষেকে এতটা সাবলীল আর কাউকে বোধহয় দেখা যায়নি ইতোমধ্যে।
আঙকৃষের বাবা টেনিস খেলোয়াড় আর মা খেলতেন ভলিবল। তাই তো ছেলের ক্রিকেট প্রতিভা প্রকাশ পেতেই মুম্বাইয়ে অভিষেক নায়ারের কাছে পাঠিয়েছিলেন ব্যাটিংয়ের দীক্ষা নিতে। সেই থেকে তাঁর ক্রিকেটার হয়ে ওঠার যাত্রা শুরু হল। আর এই যাত্রা পথে এগুতে এগুতে এখন তিনি পৌঁছে গিয়েছেন আইপিএলে; নজর কেড়েছেন পুরো দেশের।
কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার ও এবি ডি ভিলিয়ার্সকে আইকন মানেন এই তরুণ। আর মুম্বাইয়ের অনুর্দ্ধ-১৯ দলের নির্বাচক অতুল রানাডে রোহিত শর্মার ছাপ দেখতে পান তাঁর মাঝে। তবে এদের কেউই নন, তিনি নিশ্চয়ই নিজের নামেই রাজ করতে চাইবেন ক্রিকেট দুনিয়া; এখন সেই প্রত্যাশা পূরণের লড়াই করার পালা।