দ্য অজি ওয়ে

অজি, অজি, অজি

ওয়ে ওয়ে ওয়ে

অজি, অজি, অজি

ওয়ে ওয়ে ওয়ে

ওজি, ওয়ে, ওজি, ওয়ে!

এই অস্ট্রেলিয়া নৃশংস, কাপ জেতার জন্যে বদ্ধপরিকর। নিউজিল্যান্ড এবং কেন উইলিয়ামসন তাঁদের স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের জন্যে ভারতীয় এবং অন্যান্য ক্রিকেট খেলিয়ে দেশের যতই জনসমর্থন পান না কেন, ক্রিকেটীয় স্কিলে তাঁরা অস্ট্রেলিয়ার থেকে পিছিয়ে – এই কথাটা মানতেই হবে।

টস নিয়ে অনেকবার বলে আমার থেকে বড়ো ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের বিরাভাজন হয়েছি বারবার। সবারই মত যে যারা বড়ো দল তারা যেকোনো পরিস্থিতিতে টস হেরেও ম্যাচ জিততে পারে। সেই হিসেবে অবশ্য এই বিশ্বকাপে কোনো বড়ো বা ভালো দল নেই। কেননা কেউই রাতের ম্যাচে টস হেরে বা আগে ব্যাট করে সুবিধে করতে পারল না।

আর সেই হিসেবে পাকিস্তান নিউজিল্যান্ড আর ভারতের পয়েন্টের পার্থক্য তাঁদের মধ্যে ম্যাচে টস জেতা হারার সঙ্গে সমানুপাতিক। টসের হিসেব অন্যরকম হলে ভারত যে সেমিফাইনালে যেতে পারতোই না এমন কথা আমি অন্তত মনে করিনা। কেন উইলিয়ামসন ভদ্রলোক, কোহলি অভদ্রলোক, তাই কোহলি হেরেছে বেশ হয়েছে, উইলিয়ামসন জিতলেই ভারতের জেতা হবে এই ধরনের মনোভাব অনেকেই পোষণ করছিলেন। ১৪ নভেম্বরের রাতে কেন উইলিয়ামসন খেললেন ও একটা দারুণ ইনিংস, অবশ্য একটা ক্যাচ পড়েছিল, যা আগের অস্ট্রেলিয়া কখনো ফেলত না বিপক্ষের সেরা ব্যাটসম্যানের।

অনেক ফ্যান মার্কা বক্তব্য হলো, যা বিতর্ক সৃষ্টি করার জন্যে যথেষ্ট। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া কোথায় টেক্কা দিল? প্রথমত নিউজিল্যান্ডের যেটুকু রান হয়েছে কেন উইলিয়ামসন এর জন্যে। বাকিরা বিশেষ অবদান রাখতে পারেন নি। এই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১৮৫-১৯০ না করলে কোনোভাবেই জেতা সম্ভব নয় সেটা পাকিস্তান ম্যাচে আমরা দেখেছি। আর এই নিউজিল্যান্ডের বোলিং পাকিস্তানের চেয়ে কমজোরী।

নিউজিল্যান্ডের ওপেনার যুগল প্রথম ৬ ওভারের সুবিধা নিতে পারলো না। প্রথম দশ ওভারেই ম্যাচ হেরে যায় নিউজিল্যান্ড। উইলিয়ামসনের মরিয়া চেষ্টা তাদেরকে লড়াই করার মতো স্কোরে পৌঁছে দিলেও, সেটা অস্ট্রেলিয়া, যারা প্রথম থেকেই আক্রমণে গিয়ে আস্কিং রান রেট কমিয়ে আনলো ইনিংসের মাঝামাঝি সময়েই, তাদের জন্যে যথেষ্ট ছিলনা। তাই বিশ্বকাপের আসরে নিউজিল্যান্ডের আরেকবার স্বপ্নভঙ্গ হলো।

২০১৫,২০১৯ এর পরে আবার। এবং নক আউট এ কোনোদিন অস্ট্রেলিয়া কে হারাতে পারলো না নিউজিল্যান্ড অন্তত বিশ্বকাপে। ম্যাচের প্রায় ৬-৭ ওভার বাকি থাকতেই অস্ট্রেলিয়ার জয় নিয়ে কোনো সংশয় ছিলনা। রীতিমত একপেশে জয়।

ট্রফি ক্যাবিনেটের একমাত্র অধরা ট্রফি জিতে অস্ট্রেলিয়া আবার বিশ্বক্রিকেটে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করলো। আর ভারতের মুখের গ্রাস কেড়ে নেওয়া দুই দলকে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা দিয়ে আমাদের মতো সাধারণ ভারতীয় কিংবা বাংলাদেশি ক্রিকেট ফ্যান, ( বিশেষজ্ঞ বা বোদ্ধা নয়) এর মুখে হাসি ফোটাল।

যারা কেড়ে খায় ১৪১ কোটির মুখের গ্রাস

যেন আমার রক্তে লেখা হয় তাদের দীর্ঘশ্বাস।

ওয়েল ডান অ্যান্ড ডাস্টেড, অস্ট্রেলিয়া!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link