টিম ইন্ডিয়ার অভাবের সংসার

এশিয়া কাপের বাকি আর সপ্তাহ খানেক বাকি; টুর্নামেন্টের সবচেয়ে হট ফেভারিট ভারত ইতোমধ্যে নিজেদের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। সতেরো সদস্যের দলে আছেন দেশ সেরা ক্রিকেটারদের সবাই; নেতৃত্ব পাওয়ার পর থেকে সম্ভবত এবারই পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে কোন সিরিজ খেলতে যাচ্ছেন রোহিত শর্মা।

কিন্তু, এখনও দল নিয়ে সব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেনি ভারত। লোকেশ রাহুলকে দলে রাখা হলেও তিনি এখনো পুরোপুরি ফিট নন; এমনকি তাঁর ইনজুরির বর্তমান অবস্থা নিয়েও তেমন কিছু জানাননি নির্বাচক অজিত আগারকার।

তিনি বলেন, ‘এটা হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি নয়। রাহুলের কেবল একটা নিগল আছে। সেজন্য সঞ্জুকে দলে রাখা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এশিয়া কাপের শুরুতে না হলেও মাঝ পথে ফিট হয়ে উঠবেন রাহুল। এই ডানহাতির ইনজুরি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিসিসিআই আপনাদের এই বিষয়ে আপডেট দেবে।’

শুধু লোকেশ রাহুলই নয়, ইনজুরি থেকে ফিরে আসা শ্রেয়াস আইয়ার, জাসপ্রিত বুমরাহ ওয়ানডে ম্যাচ খেলার মত যথেষ্ট ফিট কি না সেটা নিয়েও সংশয় রয়েছে। কোন ম্যাচ না খেলেই তাঁদের সরাসরি এশিয়া কাপের মত মঞ্চে খেলানো নিয়েও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।

সতীর্থদের ফিটনেস নিয়ে রোহিত শর্মা, ‘ম্যাচের আগে সব খেলোয়াড় শতভাগ ফিট থাকলেই আমি খুশি হব। চোট পাওয়া পুরো বিশ্বেই সাধারণ ঘটনা, সেক্ষেত্রে কারোই কিছু করার থাকে না। তবে আমি আশা করব বিকল্প হিসেবে যে সুযোগ পাবে সে যাতে নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারে।’

ইনজুরি ছাড়াও ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় আছে টিম ইন্ডিয়া। বিশেষ করে চার নম্বরে কে খেলবেন সেই প্রশ্নের উত্তর এখনে মেলেনি। শ্রেয়াস, রাহুল দুজনে ফিট থাকলে অবশ্য চিন্তার কারণ নেই; তবে দুজনের কেউ একজন না থাকলে বেকায়দায় পড়তে হবে টিম ম্যানেজম্যান্ট।

মিডল অর্ডারে একজন বামহাতি ব্যাটারকে খেলানোর লক্ষ্যে তিলক ভার্মাকে দলে নিয়েছে ভারত। প্রয়োজনে চার নম্বর পজিশনে তাঁকে সুযোগ দিতে পারে দলটি। তবে রোহিত শর্মা মনে করেন দলের সবারই যে কোনো জায়গায় ব্যাটিং করার মানসিকতা থাকতে হবে।

এই ওপেনার বলেন, ‘এই দলে আমার একটা জিনিস দরকার, সবাই যেন যে কোনো জায়গায় ব্যাট করতে প্রস্তুত থাকে। এটা শুধু এই ফরম্যাটেই নয়, যেকোনো ফরম্যাটের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেট ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে, এখন কেউ বলতে পারবে না আমি কেবল এত নম্বরে খেলতে চাই।’

স্পিন আক্রমণে রবীন্দ্র জাদেজা আর অ্যাক্সার প্যাটেলের সঙ্গে আছেন কুলদীপ যাদব, কিন্তু রাখা হয়নি লেগি যুজবেন্দ্র চাহালকে ৷ আবার পেসার শার্দুল ঠাকুরকেও রাখা হয়েছে ব্যাটিংয়ের কথা ভেবে। ফলে একটা ব্যাপার স্পষ্ট, ব্যাটিং শক্তি বাড়াতে স্পেশালিষ্ট বোলারের চেয়ে অলরাউন্ডারদের বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টিম ম্যানেজম্যান্ট।

বিশ্বকাপের দল এশিয়া কাপের স্কোয়াড থেকেই বেছে নেয়া হবে। অথচ টিম কম্বিনেশন ঠিক হয়নি এখনো, এমনকি ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়েও পাওয়া যায়নি নির্ভরযোগ্য বার্তা। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বড় জোর নয় ম্যাচ খেলতে পারবে টিম ইন্ডিয়া; এরই মাঝে এত এত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে তাঁদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link