ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে পাগলাটে ট্রান্সফার উইন্ডো

‘ট্রান্সফার উইন্ডো’ শব্দযুগল ফুটবল ভক্তদের কাছে অনেক পরিচিত৷ এই পরিচিতির কারণ ট্রান্সফার উইন্ডোর টানটান উত্তেজনা আর ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদল৷ আসলে কি এই ট্রান্সফার উইন্ডো? কেন ফুটবল বিশ্বে এটি এত জনপ্রিয়? ট্রান্সফার উইন্ডো মূলত ফুটবল মৌসুমের সেই সময় যখন ক্লাব ফুটবলে প্লেয়াররা দল বদল করে থাকেন৷ ট্রান্সফার উইন্ডো প্রত্যেক ফুটবল মৌসুমে দুটি করে থাকে৷

প্রথম উইন্ডোকে বলা হয় গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো এবং দ্বিতীয়টিকে বলা হয় শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো। এই দুটির মধ্যে গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণ এই ট্রান্সফার উইন্ডো শুরু প্রত্যেক ফুটবল সিজনের শুরুর দিকে আর পরিধি থাকে সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহ। অপরদিকে শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোর পরিধি মাত্র ১ মাস বা ৪ সপ্তাহব্যাপী আর সিজনের মাঝামাঝি সময়ে সংঘটিত হওয়াতে এটি উত্তাপও ছড়ায় কম৷ তাই এই লেখার আলোচ্য বিষয় সদ্য শেষ হওয়া ২০২১/২২ ইউরোপিয়ান গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো৷

ইউরোপিয়ান টপ ডমেস্টিক লিগগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো জুনের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয়ে আগস্টের শেষ সপ্তাহ শেষ হয়৷ যেমন এইবারের ট্রান্সফার উইন্ডোর শেষ তারিখ ছিল গত ৩১ আগস্ট। আর এইবারের এই উইন্ডোকে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে পাগলাটে ট্রান্সফার উইন্ডো বললেও ভুল হবে না৷

  • মেসির গৃহত্যাগ

মেসিকে বার্সা বাদে অন্য কোন ক্লাবের জার্সিতে দেখা দূরে থাক, কল্পনা করাও বার্সা ভক্তদের জন্যে অভাবনীয় ব্যাপার ছিল এইবারের ট্রান্সফার উইন্ডোর আগে৷আর অভাবনীয় হবেই বা না কেন? ফুটবল ভক্তদের কাছে মেসি মানেই যে বার্সা আর বার্সা মানেই যে মেসি। বছরের পর বছর বার্সার হয়ে নিজেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার৷ স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সার হয়ে ৭৭৮ ম্যাচে ৬৭২ গোল করেছেন মেসি। ছিলেন বার্সার ইতিহাসে জেতা ৫ টি চ্যাম্পিয়ন্স লীগের মধ্যে ৪ টি জেতার সাথী এবং কারিগর৷ বার্সার হয়ে ৩৪ টি দলীয় শিরোপা জেতা লিওনেল মেসি আরো জিতেছেন ১০ টি লা লিগা শিরোপা, ৮ টি স্প্যানিশ সুপার কাপ এবং ৭ টি কোপা ডেল রে৷

তবে সব ভালো জিনিসরই শেষ আছে৷ বার্সার সাথেও তাই লিওনেল মেসির এই পথচলা শেষ হয়েছে লা লিগার বেতন সম্পর্কিত নীতিমালার কারণে। বার্সার বেতন কাঠামো এতটা এলোমেলোভাবে গঠন করা যে মেসির বেতনকে কোনভাবেই লা লিগার বেতন সম্পর্কিত নীতিমালার ভেতরে রাখা যায় নি মেসি নিজের বেতন ৫০% কমিয়ে ফেলতে রাজি থাকার পরেও৷ ফলাফল সদ্য কোপা আমেরিকা জিতে ফুরফুরা মেজাজে বার্সা ক্যাম্পে যোগ দেয়া বার্সার ইতিহাসের সেরা ফুটবলার এবং ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি তাঁর কোটি কোটি ভক্তদের কান্নায় ভাসিয়ে আর নিজে অশ্রুসিক্ত অবস্থায় বার্সা ছাড়েন৷ ফ্রি এজেন্ট লিওনেল মেসিকে লুফে নেন এই মুহূর্তে ট্রান্সফার মার্কেটের আর্থিকভাবে সবচাইতে শক্তিশালী দল পিএসজি৷

৯ বারের ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজির সাথে ২ বছরের কন্ট্রাক্ট সাইন করেন ৬ বার ব্যালন ডি ওর জয়ী এবং ৪ বার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ী এই সুপারস্টার৷ সাথে পাচ্ছেন বার্ষিক ৪১ মিলিয়ন ডলার বেতন৷ বোনাস হিসেবে সাথে ফিরে পাচ্ছেন সাবেক বার্সা টিমমেট নেইমার আর হালের অন্যতম সেরা ফুটবলার এম্বাপ্পেকে। পিএসজির মূল লক্ষ্য এইবার মেসি – নেইমার – এম্বাপ্পে ত্রয়ীর উপর ভর করে প্রথমবারের মত ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ শিরোপা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিজেদের ঘরে আনা।

  • রামোসের প্যারিস ভ্রমণ

রামোস আর মেসি এক টিমে খেলবে – এইটার জন্যে কেউই প্রস্তুত ছিল না৷ কেউ ভাবতেও পারে নি৷ তবে সেটাই হতে যাচ্ছে এইবারের ট্রান্সফার উইন্ডোর কারণে৷ রিয়াল মাদ্রিদের সাথে কন্ট্রাক্ট এক্সটেনশন নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় টানা তিন ইউসিএল জয়ে অধিনায়ক হিসেবে ভূমিকা রাখা রামোস রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে মেসির আগেই জয়েন করেন পিএসজিতে জুলাইতে৷ রামোসের সাথে প্যারিসের ক্লাবটি ২ বছরের চুক্তি করেছে৷

তখনো রামোস হয়ত ভাবতে পারেন নি যে এক মাস বাদেই বাদে একসময়কার চিরশত্রু সাবেক বার্সা অধিনায়ক মেসির সাথে একই ড্রেসিং রুম শেয়ার করবেন তিনি।

কিন্তু যেমনটা বলেছিলাম এইবারের ট্রান্সফার উইন্ডোতে সব অসম্ভবই সম্ভব হয়েছে৷ গণমাধ্যম সয়লাব এই কৌতুকে যে খেলার মাঠে ভুলে রামোস মেসিকে না ট্যাকেল করে বসেন পুরনো অভ্যাসবশত৷ রিয়ালে ১৬ বছর কাটিয়েছেন রামোস৷ আর এই ১৬ বছরে প্রতিপক্ষ হিসেবে এল ক্লাসিকোতে সবচাইতে বেশিবার পেয়েছেনও মেসিকে৷ দুইজনে মাঠে জড়িয়েছেন বিভিন্ন বাকবিতণ্ডা আর ধাক্কাধাক্কিতেও৷ তবে এইবারের সিজনে মেসির ক্রসে রামোসের হেডে গোলের পর হয়তবা দেখা যাবে দুইজনকে একসাথে সেই গোল সেলেব্রেট করতে।

  • এমবাপ্পে গ্যালাকটিকো নাকি প্যারিসিয়ান

এইবারের ট্রান্সফার উইন্ডোতে যেই ট্রান্সফার সম্পন্ন না হয়েও সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে তা হলো কিলিয়ান এমবাপ্পে টু রিয়াল মাদ্রিদ ট্রান্সফার গুজব৷ এম্বাপ্পের ড্রিম ক্লাব যে রিয়াল মাদ্রিদ সেটা সব ফুটবল ফ্যানেরই জানার কথা৷ ২০১৭/১৮ সিজনে লোনে মোনাকো থেকে পিএসজিতে যোগ দেন এম্বাপ্পে৷ এরপরের সিজনেই পারমানেন্টলি পিএসজিতে নাম লিখিয়ে ফেলেন এম্বাপ্পে৷ তখন অবশ্য রিয়ালের কাছে সুযোগ ছিল এম্বাপ্পেকে তার ড্রিম ক্লাবে নিয়ে আসার৷ কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ চান নি ১৮ বছরের কোন তরুণের জন্যে তাদের ক্লাবের স্যালারি স্ট্রাকচারে ফাটল ধরাতে৷

সেই সিদ্ধান্তের মাশুল এখন দিতে হচ্ছে ১৩ বারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের৷ বিগত কয়েক সিজন ধরে নতুন গ্যালাকটিকো সৃষ্টির লক্ষ্যে এম্বাপ্পেকে সাইন করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি৷ এইবারের ট্রান্সফার উইন্ডোতেও রিয়াল মাদ্রিদ কম চেষ্টা করে নি এম্বাপ্পেকে তাদের দলে ভেড়াতে৷ কিন্তু সেই চেষ্টায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পিএসজি প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফির চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতার অদম্য ইচ্ছা৷ এম্বাপ্পেকে আগামী সিজনে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে খোয়াতে হতে পারে জেনেও রিয়াল মাদ্রিদের ট্রান্সফার উইন্ডোর ডেডলাইন ডেতে করা ২৩৬ মিলিয়ন ডলার বিডের কোন জবাব দেয় নি প্যারিসের দলটি।

এদিকে পিএসজির লোভনীয় ৪৫ মিলিয়ন ডলারের বার্ষিক স্যালারির কন্ট্রাক্ট রিনিউয়াল অফার নাকচ করে দিয়েছে নিজের ড্রিম ক্লাবে আগামী সিজনে খেলতে বদ্ধপরিকর ২২ বছর বয়সী কিলিয়ান এম্বাপ্পে৷ এইদিকে রিয়াল মাদ্রিদ ফ্যানদের আশংকা যদি মেসি কারিশমায় মুগ্ধ হয়ে এম্বাপ্পে আরো কয়েকটা সিজন থেকে যায় পিএসজিতে তবে রিয়ালের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আসবে বড় আঘাত৷ রিয়াল মাদ্রিদ আর ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ কি তাহলে ট্রান্সফার মার্কেটে তাদের শক্তি আর জৌলুস দিন দিন হারাচ্ছে- এই প্রশ্ন থেকেই যায়৷

  • ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ঘরে ফেরা

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জুভেন্টাসে সুখী নন এমন গুজব গত সিজন শেষ হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয়। এই গুজব শুরু হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় বিলম্বিত ইউরো ২০২০ যেখানে ৫ বারের ব্যালন ডি ওর জয়ী রোনালদো ৫ গোল নিয়ে ছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা পর্তুগাল শেষ ষোলতে বেলজিয়ামের কাছে ১-০ তে হেরে বাদ পড়ার পরেও। তবে ২০২১/২২ সিজনের শুরুতে জুভেন্টাসের অনুশীলনে রোনালদো যোগ দেয়ার পর রোনালদোর জুভেন্টাস ছাড়ার গুজব কিছুটা শান্ত হয়৷ তবে সেই গুজব আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠে জুভেন্টাসের সিরি ‘এ’ ওপেনিং ম্যাচে অ্যালেগ্রির রোনালদোকে বেঞ্চে রাখার মাধ্যমে৷ জানা যায় রোনালদোই নাকি অনুরোধ করেছিলেন তাকে বেঞ্চে রাখতে কারণ তিনি জুভেন্টাস ছেড়ে যাচ্ছেন এই ব্যাপারে নিশ্চিত৷

রোনালদোর এজেন্ট ট্রান্সফার উইন্ডোর শেষ সপ্তাহে ইউরোপের টপ ক্লাবগুলোর সাথে রোনালদোর ট্রান্সফারের ব্যাপারে যোগাযোগ শুরু করেন। রোনালদোর প্রতি ইন্টারেস্ট দেখায় ম্যানচেস্টারের একটি ক্লাব৷ তবে সেটা ইউনাইটেড ছিল না। ছিল ইউনাইটেডের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটি।

রোনালদোকে ভালোবেসে মাদ্রিদ ফ্যানরা ডাকত কিং অফ দা সান্তিয়াগো বার্নাবিউ৷ তবে রোনালদোর প্রথম লাইমলাইটে আসা, প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা, প্রথম ইউসিএল জেতা সব এই ইউনাইটেডে থাকা অবস্থায়৷ এটাতো গেলো রোনালদোর অন ফিল্ড এচিভমেন্ট৷ এছাড়া অফ ফিল্ডে ইউনাইটেডে রোনালদো পেয়েছেন তার ফুটবলীয় ফাদার স্যার এলেক্স ফারগুসনকে৷ শোনা যায় স্যার এলেক্স ফারগুসনের ফোনকলই নাকি রোনালদোর সিটির বদলে ইউনাইটেডে আসার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছে৷

২০০৩/০৪ মৌসুম শুরুর আগ দিয়ে লিসবন বনাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রস্তুতি ম্যাচে সর্বপ্রথম স্যার এলেক্স ফারগুসন এবং রেড ডেভিলদের রেডারে আসেন তৎকালীন লিসবন মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সেই ট্রান্সফার উইন্ডোতেই ২০০৩ সালের ১২ আগস্ট রোনালদোকে নিজেদের দলে প্রথমবারের মত ভেড়ায় ইউনাইটেড৷ রেড ডেভিলদের হয়ে এরপরের ৬ সিজনে একের পর এক ইতিহাস গড়েন রোনালদো।

মিডফিল্ড আর উইং এ খেলার পরেও রোনালদো তার ঝুলিতে ভরেন ২৯২ ম্যাচে ১১৮ গোল। দলীয় সাফল্য হিসেবে আছে ৩ টি প্রিমিয়ার লিগ, ১ টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ২টি লিগ কাপ, ১ টি এফএ কাপ এবং ১ টি ক্লাব বিশ্বকাপ। ব্যক্তিগত সাফল্যে যুক্ত হয় ২ টি প্রিমিয়ার লীগ প্লেয়ার অফ দা ইয়ার, ১ টি গোল্ডেন বুট এবং ১ টি ব্যালন ডি ওর। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে থাকাকালীন তাকে ভালোবেসে রেড ডেভিলরা ডাকতেন ওল্ড ট্রাফোর্ড এর যুবরাজ৷ ফুটবল পাড়ার সবার মুখে সয়লাব একটি কথা যে লিসবন থেকে রোনালদোকে ২০০৩ সালে কেনার পর এইবার রোনালদোকে জুভেন্টাস থেকে কেনা নাকি রেড ডেভিলদের সেরা ট্রান্সফার।

তাই রোনালদোকে ছাড়া ইউরোপিয়ান ফুটবলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কতটা সমস্যা মোকাবেলা করেছে গত ১৩ বছর সেটি অনুমেয়। ৫ বারের ব্যালন ডি অর এবং ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ী ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড লেজেন্ড রোনালদো তার ঘরে ফেরার অধ্যায়ে আর কি কি রেকর্ড আর শিরোপা যুক্ত করবেন তার ঝুলিতে তাই এখন দেখার বিষয়৷

  • অন্যান্য

ইউরো জয়ী ইতালিয়ান গোলকিপার জিয়ানলুইজি ডোন্নারুমা এসি মিলান থেকে ফ্রি ট্রান্সফারে যোগ দিয়েছেন পিএসজিতে। প্রিমিয়ার লিগ ট্রান্সফার রেকর্ড গড়ে ১১৭.৫ মিলিয়ন ইউরোতে এস্টন ভিলা থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে পাড়ি জমিয়েছেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড জ্যাক গ্রিলিশ৷ বর্তমান সিরি ‘এ’ চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলান থেকে ১১৫ মিলিয়ন ইউরোতে চেলসিতে পুনরায় ফিরেছেন বেলজিয়ান স্ট্রাইকার লুকাকু।

ইংলিশ উইঙ্গার সাঞ্চো বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ৮৫ মিলিয়ন ইউরোতে এবং ফ্রেঞ্চ সেন্টার ব্যাক রাফায়েল ভারানে ৪০ মিলিয়ন ইউরোতে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পাড়ি জমিয়েছেন৷ ট্রান্সফার ডেডলাইন ডেতে লোনে বার্সা থেকে সাবেক ক্লাব এথলেটিকো মাদ্রিদে পাড়ি জমিয়েছেন ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড এন্তোনিও গ্রিজম্যান। এম্বাপ্পেকে এই মৌসুমে দলে ভেড়াতে না পারলেও শেষ দিনে ফ্রেঞ্চ সেন্টার মিডফিল্ডার এডুয়ার্ডো কামাভিংগাকে ৩১ মিলিয়ন ইউরোতে দলে ভিড়িয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ৷

লেখক পরিচিতি

I am an aspiring writer who write on various topics including movies, series and sports.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link